পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা আমি বলিনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 15th, April 2025 GMT
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
কমিটির সভা শেষে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, গত ১০ এপ্রিল সুনামগঞ্জে আপনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, জনগণ এই সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চায়, কোন পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছিলেন?
সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি তো বলিনি সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়। এটা জনগণ বলেছে। সরকার তো বলে দিয়েছে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমি রাজনীতিবিদ নই। আমার এই কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে মডেল মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে সরকার একটা বেআইনি কাজ করে ফেলেছে। এই আইন যে ব্যবহৃত হচ্ছে না, তা নয়। তারা আদালতে গেছেন। আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমরা আদালতকে জবাব দেব।
মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়াটা সঠিক হয়নি বলে আইন উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন, আরেক সাংবাদিক এমন প্রসঙ্গ তুলে ধরে খোদা বখস চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন- আইন উপদেষ্টা কোনও প্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন, তা আমরা জানি না। তিনি আমাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতেও চাননি। এখন বিষয়টি আদালতে চলে গেছে।
ডিবির প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পেরিয়ে গেল, পুলিশ এখনো দায়িত্ব পালন করছে না, জনগণের অভিযোগ নিচ্ছে না এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, পুলিশ অভিযোগ নেয় না, এটা আজকের অভিযোগ নয়। বহু পুরোনো। অন্তর্বর্তী সরকার দুটি বিষয় অনলাইনে করতে যাচ্ছে। এক, জেনারেল ডায়েরি (জিডি), দুই, এফআইআর বা অভিযোগপত্র। প্রথমে দুটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে জিডি নেওয়া শুরু হবে। পরে এফআইআর নেওয়া শুরু হবে। ধীরে ধীরে একটা স্থায়ী সমাধান হবে।
জুলাই আন্দোলনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ধরছেন চুনোপুঁটিদের, রাঘববোয়ালদের ধরছেন না, এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাঘববোয়ালদের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তাদের জালে আসতে হবে। রাঘববোয়ালরা জালে আসার পর যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন আপনারা অভিযোগ করতে পারেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ বছর ক ষমত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মতপার্থক্য থাকবে, আলোচনা করে এগিয়ে যাব: তারেক রহমান
দেশে যে কোনো মূল্যে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে। গণতন্ত্রে মতপার্থক্য স্বাভাবিক। তবে আমরা বসব, আলোচনা করব এবং এগিয়ে যাব।
আজ বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি। নেতাকর্মীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, কোনোভাবেই যেন গণতন্ত্রের উত্তরণ, মানুষের ভোটের অধিকার ও রাজনৈতিক অধিকার বাধাগ্রস্ত না হয়। কারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও রাজনৈতিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হলে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ১৫ বছর জনগণের রাজনৈতিক ও ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে আমরা দেখেছি, দেশের বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা– সব ধ্বংস হয়ে গেছে। সমাজে বিভিন্ন অধঃপতন শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি-দাওয়া নিয়ে একসঙ্গে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই। জনগণের সমর্থনে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করব। বিগত ১৫ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমাদের বহু নেতাকর্মী গুম-খুন হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।
কর্মশালায় পঞ্চগড় অংশে তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহপ্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু; ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন এবং দিনাজপুর অংশে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, গণশিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক মোরশেদ হাসান, জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল প্রমুখ প্রশিক্ষণ দেন ও বক্তৃতা করেন।