পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর বন্ধ থাকলেও দিনাজপুরের হিলি বন্দর চালু ছিলো। আর এদিনে ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে এই বন্দরে। ২০১টি ট্রাকে ৮ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন হিলি কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন।

তিনি জানান, চলতি সপ্তাহে গত শনিবার ১৪৭ ট্রাকে ৬ হাজার ২২৭ মেট্রিকটন, রবিবার ১৪৪ ট্রাকে ৬ হাজার ১০২ মেট্রিকটন ও গতকাল পহেলা বৈশাখের দিনে ২০১ ট্রাকে ৮ হাজার ৪৭৫ মেট্রিকটন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) ৮৪ ট্রাকে ৩ হাজার ৬১৭ মেট্রিক টন চাল আমদানির কথা রয়েছে। 

তিনি বলেন, “আজ থেকে চাল আমদানির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেয়াদ বাড়াতেও পারে।”

হিলি বন্দরের চাল আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, “হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ালেও আজ থেকে শেষ হচ্ছে চাল আমদানির দ্বিতীয় মেয়াদ। এ কারণেই শেষদিকে আমদানি বেড়েছে। ভারতের অভ্যন্তরে এখনও চালবোঝাই শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায়।”

ঢাকা/মোসলেম/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ল আমদ ন আমদ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ করা হলো

ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করা হলো। বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুবিধা বাতিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আজ মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়। ওই সব স্থলবন্দর দিয়ে মূলত ভারত থেকে সুতা আমদানি হতো।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বস্ত্র খাতের অন্যতম কাঁচামাল সুতা আমদানি বন্ধের দাবি জানায় বস্ত্রশিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। এরপর গত মার্চ মাসে এক চিঠিতে পোশাকশিল্পে দেশে তৈরি সুতার ব্যবহার বাড়াতে স্থলবন্দর দিয়ে পোশাকশিল্পের সুতা আমদানি বন্ধ করার জন্য এনবিআরকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।

তখন ট্যারিফ কমিশন থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো চিঠিতে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে সব সীমান্তসংলগ্ন সড়ক ও রেলপথ এবং স্থলবন্দর ও কাস্টম হাউসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সুতা কাউন্ট নির্ণয়ে যথাযথ অবকাঠামো প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত আগের মতো সমুদ্রবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুপারিশ করা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন। তবে স্থলপথ ছাড়া সমুদ্রপথে বা অন্য কোনো পথে সুতা আমদানি করা যাবে।

জানা গেছে, ভারতের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে উৎপাদিত সুতা কলকাতায় গুদামজাত করা হয়। এরপর সেখান থেকে সুতা বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এসব সুতা তুলনামূলক কম দামে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ কারণে দেশি সুতার পরিবর্তে স্থলবন্দর দিয়ে আসা সুতা বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে দেশের বস্ত্রশিল্পকারখানাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে দাবি করেছিল বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ)।

জানা গেছে, চীন, তুরস্ক, উজবেকিস্তান এবং দেশে উৎপাদিত সুতার দাম প্রায় একই রকম হলেও স্থলবন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় সুতার দাম অনেক কম থাকে। অর্থাৎ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা সুতা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ঘোষিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে আসে। এতে দেশের সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ
  • ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ করা হলো