বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের ওপর ছুরিকাঘাতের মামলায় নতুন মোড় নিয়েছে। মুম্বাই পুলিশের যে চার্জশিট প্রকাশ পেয়েছে, তাতে অভিনেতার ফ্ল্যাট থেকে সংগৃহীত আঙুলের ছাপের নমুনা অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের নমুনার সঙ্গে মেলেনি। প্রায় ২০টি নমুনা সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো হয়েছিল, এর মধ্যে ১৯টি নমুনা অভিযুক্তের নমুনার সঙ্গে মেলেনি।

পুলিশের চার্জশিটে উল্লেখিত বিবরণ অনুসারে, কালো বাথরুমের দরজা, বেডরুমের স্লাইডিং দরজা এবং আলমারির দরজায় পাওয়া আঙুলের ছাপ শরিফুলের সঙ্গে মেলেনি। একমাত্র যে নমুনার মিল পাওয়া গেছে, সেই আঙুলের ছাপটি বিল্ডিংয়ের অষ্টম তলা থেকে উদ্ধার করা।

মুম্বাই পুলিশ সূত্রের ভাষ্য, আঙুলের ছাপে মিল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে হাজারের মধ্যে একটি! যেহেতু বেশ ক’জনই জিনিসপত্র ব্যবহার এবং স্পর্শ করে, তাই প্রমাণ হিসেবে আঙুলের ছাপ মেলানোই শেষ কথা নয়।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মুম্বাই পুলিশের দাখিল করা ১০০০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে অভিযুক্ত শরিফুলের বিরুদ্ধে বেশকিছু প্রমাণ রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, এই মামলায় অভিযুক্ত শরিফুলের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেছে মুম্বাই পুলিশ। আদালতকে জানিয়েছে যে, অভিনেতার মেরুদণ্ডের কাছে আটকে থাকা ছুরির টুকরো এবং ঘটনাস্থলে পাওয়া ছুরির টুকরোটি অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে মিলে গেছে। সূত্র: সিএনএন ও নিউজ১৮।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক আজ

দেড় দশক পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।

তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের হিস্যা হিসেবে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ এবং আমনা বালুচ পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়সহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে। 

সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।

বৈঠক উপলক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। গতকাল আমনা বালুচ ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশটির ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে  ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। এর একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসা সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। 

পরিকল্পনা কমিশনের মতে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত আসেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাংকিং বিভাগ থেকেই বাংলাদেশ পাবে প্রায় ৬০ কোটি রুপি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ