ঝিনাইদহে পাওনা টাকা চাওয়ায় মোহাম্মদ আলী (৬৫) এক দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। 

নিহত মোহাম্মদ আলী (৬৫) বাদপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, ৮২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কচুয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবলীগ নেতাকে হত্যা

এলাকাবাসী জানান, বাদপুকুরিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মুদি দোকান থেকে বাকিতে পণ্য নিতেন একই গ্রামের আসাদুল ইসলাম। আজ সকালে পার্শ্ববর্তী ত্রিমোহনী বাজারে যাওয়ার সময় আসাদুলের কাছে পাওনা টাকা চান মোহাম্মদ আলী। এসময় আসাদুল মোহাম্মদ আলীর ওপর চড়াও হন। দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আসাদুল ও তার পরিবারের লোকজন মোহাম্মদ আলীকে মারধর করেন। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মোহাম্মদ আলী মারা যান।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‍হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে অভিযুক্ত আসাদুল, তার বাবা আসকর আলীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

কয়েকশত লোক বাড়ি হামলা করে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় সালিশ থেকে গিয়ে কয়েকশত মানুষ বাড়িঘর ভাঙচুর করে নিজ ঘরে বাবা আব্দুল গফুর (৪০) ও ছেলে মেহেদী হাসানকে (১৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যা করার পর রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে গিয়ে হারুন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি, দোকান ও একটি মাজার ভাঙচুর করেছে লোকজন।

বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম প্রায় পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে। যারা গ্রামে আছে, তারাও ভয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি।

আরো পড়ুন:

নরসিংদীতে নারীর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

নড়াইলে ছুরিকাঘাতে মাইক্রোবাস চালক নিহত

নাওগাঁও গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আব্দুল গফুর ও আব্দুল গফুরের ছেলে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রি ও চুরির অভিযোগ ছিল। এ সব কারণে তাদের নিজের গোষ্ঠীর লোকজনও অতিষ্ঠ ছিল বলে গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও চুরি ঘটনায় গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে গ্রামে সালিশে বসার কথা ছিল। দুপুরে গফুরের বাড়ি সংলগ্ন নাওগাঁও হোসেনীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সামনে গ্রামের শত শত মানুষের সালিশ বসে। সালিশে আব্দুল গফুর ও মেহেদী হাসান উপস্থিত না হয়ে নিজ ঘরে রাম দা নিয়ে বসে থাকে। তাদের খোঁজে সালিশের লোকজন বাড়িতে গেলে দা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসে আব্দুল গফুর। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আব্দুল গফুর ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে হত্যা করে। বাবা ও ছেলেকে হত্যা করার পর শত শত মানুষ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে গিয়ে হারুন অর রশিদ নামে একজনের বাসা, দোকান ও একটি মাজার ভাঙচুর করে।

আব্দুল গফুরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, ‘‘স্থানীয় হাবিবুর রহমানসহ শত শত মানুষ সালিশের নামে আমার স্বামী ও ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। যত অপরাধই করে থাকুক দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমে বিচার হতো। বাবা ও ছেলেকে কেন নির্মমভাবে হত্যা করলো?’’

বাবা ও ছেলে নিহত হওয়ার পরপরই সালিশকারীরা ঘা ঢাকা দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান জানান, শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিশ বসেছিল। সালিশ থেকে গিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/মিলন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, ৮২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানসহ ৩ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি পুকুর থেকে উদ্ধার
  • আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ, পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার
  • ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের স্ত্রীকে সাত দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
  • কয়েকশত লোক বাড়ি হামলা করে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা