ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ বা পথনকশা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

মে মাসের প্রথমার্ধে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে এবং একই মাসের মাঝামাঝি ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে তফসিল ও চূড়ান্ত নির্বাচনের তারিখ কবে ঘোষণা করা হবে, সেটি রোডম্যাপে বলা নেই।

আরো পড়ুন:

বিএনপির বর্ধিত সভায় ঐক্যের ডাক, ভোটের জোর প্রস্তুতিতে চোখ

ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে ভোট: প্রেস সচিব

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসন মনে করে ডাকসু প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদেরও ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ আছে। সে কারণেই বর্তমান প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ডাকসু নির্বাচন সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর এবং সুচারুভাবে আয়োজনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ এবং অগ্রগতি সম্বলিত পথনকশা প্রকাশ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত বছর ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চতুর্থ সপ্তাহে ব্যক্তি পর্যায়ের বিভিন্ন অংশীদারীর সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর ডাকসু সংবিধান সংশোধন কমিটি গঠিত হয়। এ বছরের ১৫ জানুয়ারি ডাকসু নির্বাচন আচরণবিধি কমিটি গঠিত হয়, যা সিন্ডিকেটে অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি পরামর্শ প্রদান কমিটি গঠিত হয়, যা এপ্রিলের প্রথমার্ধে চূড়ান্ত করা হবে। 

এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, প্রভোস্ট, ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালকদেরকে অবহিত করা হবে।

জুনের প্রথমার্ধেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ৩৭ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে। স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩ বছরে নির্বাচন হয়েছে মাত্র মাত্র আটবার।

১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত পাঁচ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হন। তারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সুযোগের বিষয় তুলে ধরেন সিনেটে।

২০১৯ সালে সর্ববেশ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল। সেই সংসদের মেয়াদপূর্তির পর পেরিয়ে গেছে আরো পাঁচ বছর। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব শূন্যতা চলতে দীর্ঘদিন ধরে।

গত বছর গণঅভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ডাকসু নির্বাচনের দাবি নিয়ে সোচ্চার হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন। এই নির্বাচনের পক্ষে জোরালো মত রয়েছে দেশের বুদ্ধিজীবীদেরও।

ঢাকা/সৌরভ/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র প রথম র ধ ড স ম বর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াতের সভায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো দলের প্রার্থী হিসেবে

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জামায়েতে ইসলামী আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমানকে দলের সংসদ সদস্য প্রদপ্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় মিরসরাইয়ের সিডিএসপি বাঁধের ভাঙন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে জামায়াতের মিরসরাই উপজেলা শাখা। মিরসরাইয়ের একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামে-১ মিরসরাই আসন থেকে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।

ওসমানপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ইকবাল হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মিরসরাই থানা আমির নুরুল কবির, জোরারগঞ্জ থানা আমির নুরুল হুদা হামিদী, মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির নূরুল কবির প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মিরসরাইয়ের উত্তর পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা ইছাখালী ইউনিয়নে সিডিএসপি বাঁধের ভাঙনের খবরটি জানতে পারি। গতকাল মিরসরাই উপজেলা জামাতের নেতা-কর্মী ও ভুক্তভোগী লোকজন নিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি আমরা। বাঁধটির ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকা শত শত মৎস্য খামার ও জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে। বাঁধ ভাঙার কারণে যে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে তা জানতে পারলে বড় বড় বিনিয়োগকারীরা এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাই আমাদের দলীয় অবস্থান থেকে দ্রুত বাঁধটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ