ছক্কার ঝড় তুলে এক মাসে ৪ সেঞ্চুরি করা কে এই সাহিবজাদা
Published: 15th, April 2025 GMT
তিনি সেঞ্চুরি করেই যাচ্ছেন! পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি। এরপর কাল পিএসএলেও সেঞ্চুরি পেলেন সাহিবজাদা ফারহান। যা গত এক মাসে তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরি।
কাল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ছক্কা মেরেছেন ৫টি। আর ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ছক্কা ছিল ৭ ম্যাচে ৪০টি। জানিয়ে রাখতেই হচ্ছে, ওই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা ছিল ১৩টি। হঠাৎ করে ছক্কা মেশিন বনে যাওয়া কে এই সাহিবজাদা ফারহান?
সাহিবজাদা পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন কেউ নন। পাকিস্তানের হয়ে ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান। অভিষেক সেই ২০১৮ সালে। তবে ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ার পুনর্জীবিত হয়েছে পিএসএলের আগে গত ১৪ মার্চে শুরু হওয়া ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে।
৪০ন্যাশনাল টি–টোয়েন্টি কাপে সাহিবজাদার ছক্কার সংখ্যাপাকিস্তানের হয়ে ছয় বছরে ৯ ম্যাচ খেলে ৮৬ রান করা এই ব্যাটসম্যান সেই টুর্নামেন্টে করেছেন ৬০৫ রান। ৭ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি, ফিফটি ২টি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ৭২ বলে অপরাজিত ১৬২। তাঁর ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।
আরও পড়ুনধোনির বুড়ো হাড়ের ভেলকি৮ ঘণ্টা আগেটুর্নামেন্টে স্ট্রাইকরেটে ১৮৯.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আবার রিশাদের ৩ উইকেট, ‘পিএসএল ক্লাসিকো’ জিতল লাহোর
রিশাদ হোসেন ফিল্ডিং করছিলেন। টিভি ক্যামেরা তখন একবার রিশাদকে খুঁজে নিল। পিএসএলে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে থাকা কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম ঠিক সেই মুহূর্তে বললেন, ‘এই ছেলেকে আমার কাছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মনে হচ্ছে।’
রিশাদের লেগ ব্রেক আর গুগলিরও প্রশংসা করে গেলেন আকরাম। করবেন না–ই বা কেন? রিশাদ যে ততক্ষণে ৩ উইকেট পেয়ে গেছেন!
গত রোববারও ৩ উইকেট নিয়ে পিএসএলে নিজের অভিষেক ম্যাচটা রাঙিয়ে রেখেছিলেন রিশাদ। তাঁর দল লাহোর কালান্দার্স সেদিন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে হারিয়েছিল ৭৯ রানে। বাংলাদেশের এই লেগ স্পিন অলরাউন্ডার আজ উইকেট ৩টি নিলেন আরও অল্প সময়ে, মাত্র ১১ বলের ব্যবধানে। তাতে ‘পিএসএল ক্লাসিকো’ হিসেবে পরিচিত লড়াইয়ে করাচি কিংসকে ৬৫ রানে হারিয়ে দিল লাহোর।
করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২০১ রান করেছিল লাহোর। ফখর জামানের ৭৬ আর ড্যারিল মিচেলের ৭৫ রানের ইনিংস দুটিই মূলত লাহোরের সংগ্রহকে দুইশর ওপারে নিয়ে যায়।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লাহোর অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদির তোপের পর রিশাদের ঘূর্ণিতে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। তিন ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়েই থাকল লাহোর।
দুই ম্যাচে দুই জয় ও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে শীর্ষে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
সংক্ষিপ্ত স্কোরলাহোর কালান্দার্স: ২০ ওভারে ২০১/৬
(ফখর ৭৬, মিচেল ৭৫, বিলিংস ১৯; হাসান ৪/২৮, আব্বাস ১/৪৭)।
করাচি কিংস: ১৯.১ ওভারে ১৩৬ অলআউট
(খুশদিল ৩৯, হাসান ২৭; রিশাদ ৩/২৬, আফ্রিদি ৩/৩৪, রাজা ২/১৩)।
ফল: লাহোর কালান্দার্স ৬৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফখর জামান।