ওয়ানডেতে দুই বলের খেলার শর্ত পরিবর্তনের কথা ভাবছে আইসিসি
Published: 15th, April 2025 GMT
ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বল ব্যবহার করায় খেলাটাকে আরও বেশি করে ব্যাটসম্যানদের খেলা বানিয়ে দিয়েছে। এমন অভিযোগ অনেক আগে থেকে করে আসছেন বোলাররা।
আইসিসির বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বলে খেলা শুরু হয়। তাতে একেকটি বলে ২৫ ওভার করে খেলা হয়। ফলে বল পুরোনো হয় না। রিভার্স করার সুযোগ পান না বোলাররা। যা ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলাটাকে আরো সহজ করে দিয়েছে।
ব্যাট এবং বলের মধ্যে কিছুটা ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ওয়ানডেতে বিদ্যমান দুই বলের খেলার নিয়ম পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করছে আইসিসি। এই সপ্তাহে হারারেতে আইসিসির সভায় ইনিংসের ৩৫তম ওভার থেকে মাত্র একটি বল ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
টিভিতে আজকের খেলা
নববর্ষকে রাঙাতে হাডুডু খেললেন মানিকগঞ্জের প্রবীণরা
সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট কমিটি বোর্ডের প্রধান নির্বাহীদের কাছে এই সুপারিশ করেছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, ফিল্ডিং দলকে ৩৪তম ওভারের পরে কোন বলটি দিয়ে খেলতে চান তা নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হবে, যখন দুটি বলই ১৭ ওভারের পুরনো হবে। যে বলটি বেছে নেওয়া হবে না তা প্রয়োজনে অতিরিক্ত বল হিসেবে রাখা হবে।
ক্রিকেট কমিটি ২৫ ওভারের পর বল পরিবর্তনের কথা আগেই ভেবেছিল। কিন্তু কমিটির মধ্যে খুব বেশি সমর্থন পাওয়া যায়নি। তারা মনে করে ১৭ ওভারের জন্য বল ব্যবহার করার আগে কোনটি ব্যবহার করা বেশি উপযুক্ত তা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বোর্ড এই মাসের শেষের দিকে এই পরিবর্তনের বিষয়ে তাদের মতামত জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি ঐক্যমত্য হয়, তাহলে জুলাই মাসে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় এটি আনুষ্ঠানিকভাবে রূপ দেওয়া হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স ব যবহ র আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ
নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হবে। এতে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাওয়া হবে, কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ বা পথনকশা কবে ঘোষণা করা হবে। উপদেষ্টার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারলে বিএনপি রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নির্বাচন নিয়ে অধ্যাপক ইউনূস একাধিকবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিএনপি জোর দিয়ে বলছে, সরকারকে আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের জানিয়েছেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে দলটির নেতারা এখন মনে করছেন, সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
বিএনপির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তবে, জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন চায়।
আর জুলাই-অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংস্কারের রোডম্যাপ ও গণপরিষদ নির্বাচন।
ঢাকা/হাসান/ইভা