জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ
Published: 14th, April 2025 GMT
বর্ণাঢ্য আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল নববর্ষ শোভাযাত্রা, গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক তৈরি, মেলা, পালা, কনসার্টসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
নববর্ষ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে সাজ সাজ রব ছিল কয়েক দিন ধরেই। সোমবার সকালে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে সূর্যমুখী ও শাপলা ফুল, অরিগামি পাখি, চরকি, তালপাতার সেপাই, লোকজ খেলনা, গরুর গাড়িসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শোভাযাত্রা শেষে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘১৪৩১ বঙ্গাব্দে দেশের মানুষের অসাধারণ ত্যাগ ও সংগ্রামের ফলে আমরা আজ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের নববর্ষ একটি মুক্ত পরিবেশে উদ্যাপন করতে পারছি। এই অর্জনকে ধরে রাখতে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।’
নববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মাঠ ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে বৈশাখী মেলা এবং ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে দুপুরে নাট্যকলা বিভাগ মঞ্চস্থ করে জনপ্রিয় যাত্রাপালা ‘ভেলুয়া সুন্দরী’। এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বিভিন্ন ধরনের পরিবেশনা করে। ব্যান্ড সংগীত ও কনসার্টের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নববর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান ও মানবতার জয়গান’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিবসটি উপলক্ষে সকাল সোয়া ৮টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সকাল পৌনে ১০টায় উপাচার্যের নেতৃত্বে চারুকলা বিভাগের তত্ত্বাবধানে পুরাতন কলা অনুষদ চত্বর থেকে বৈশাখী শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
আরো পড়ুন:
জাবিতে চালু হলো ইলেকট্রিক কার্ট, কমবে দুর্ভোগ
সাইকেলে হিমালয়ের অন্নপূর্ণা জয় করেছেন জাবি শিক্ষার্থী
শোভাযাত্রা শেষে বাংলা নববর্ষে সবার জন্য সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে উপাচার্য বলেন, “বাংলা নববর্ষ উৎসব বাঙালি জাতিসত্ত্বার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। একইসঙ্গে উৎসবটি সবার জন্য সার্বজনীন । চারুকলা বিভাগ আয়োজন সফলে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিভাগ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছে।”
তিনি বলেন, “দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা আমাদের এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার। বৈশাখের আনন্দ আমাদের সার্বজনীন আনন্দ। এ আনন্দ ভাগাভাগি করার দায়িত্ব আমাদের সবার।”
শোভাযাত্রায় অন্যদের মাঝে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবদুর রব, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এ বি এম আজিজুর রহমানসহ প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অফিসার, কর্মচারী, মহিলা ক্লাবের সদস্যবৃন্দ ও জাবি স্কুল ও কলেজের ছাত্র-শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে চারুকলাসহ বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদে পৃথকভাবে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী