Prothomalo:
2025-04-15@22:16:17 GMT

কবে আসবে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট ৫’

Published: 14th, April 2025 GMT

আলোচিত ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর চারটি সিজন শেষ হয়েছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে এই ধারাবাহিকের ৪ নম্বর সিজনের শেষ পর্ব প্রচারিত হয়। দুই বছর পর নতুন সিজনের আভাস দিলেন পরিচালক।
নিজের ফেসবুক পোস্টে যেমন দিয়েছেন, তেমনি ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’–এও ইঙ্গিত দিয়েছেন। পরিচালক বলেন, ‘“ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫’ কবে আসবে—এমন প্রশ্ন অনেক দিন ধরে শুনে আসছি। দর্শকদের আর অপেক্ষা করাতে চাইছি না। শিগগিরই এই সিরিজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।’ পরিচালক কাজল আরেফিনের এই নাটকে পাশা, হাবু, শুভ, কাবিলা, রিয়া, বোরহান, জাকির, অন্তরা চরিত্রগুলো নিয়ে ফেসবুকে প্রায়ই আলোচনা হয়।

আরও পড়ুন‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ কাজ করতে গিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টেছি১৪ আগস্ট ২০২৪

ঈদে মুক্তি পাওয়া পরিচালকের ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’–এর শেষ দৃশ্যে হাজির হন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর পাত্র–পাত্রীরা। সিনেমার শেষে অপূর্ব ও ফারিণের সঙ্গে বিশেষ এক উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নির্মাতা এবার সমাজের মানুষের দম্ভ দেখানোর গল্প বলবেন০৩ জানুয়ারি ২০২৪

তখন থেকেই আলোচিত সিরিজটির নতুন মৌসুমের গুঞ্জন জোরালো হয়। এমনকি ‘হাউ সুইট’–এর গান ও ট্রেলারের নিচে মন্তব্যের ঘরে অনেক দর্শক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর নতুন মৌসুমের কথা জানতে জান। পরিচালকের কথায় এবার মিলল নতুন মৌসুমের আনুষ্ঠানিক খবর।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিমা মাত্র

বাবেলের অধিবাসীরা যখন হজরত ইবরাহিমের (আ.) কথা কর্ণপাত করল না, শক্ত যুক্তিও মেনে নিতে রাজি হলো না, তখন তিনি দাওয়াত দেওয়ার ভিন্ন একটি কৌশল অবলম্বন করলেন। তাদের মন্দিরে অনেকগুলো কাঠের দেবদেবী ছিল, এর মধ্যে একটি ছিল প্রধান দেবতা। তিনি পরিকল্পনা করলেন তার জাতিকে দেখাবেন এই প্রতিমাগুলো কত দুর্বল—নিজের শরীর থেকে একটি মাছি তাড়াবারও শক্তি এদের নেই।

একদিন বাবেলে ধর্মীয় মেলা হবে, লোকজন ইবরাহিমকে (আ.) সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল। ইবরাহিম (আ.) আকাশের তারকার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আমি অসুস্থ।’ তিনি ঠিক মিথ্যা বলেননি, তার জাতির কুফরি কাজকর্মে তিনি আত্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারা তার কথা বিশ্বাস করে। (সুরা সফফাত, আয়াত: ৮৮-৯০) ইবরাহিম (আ.) আস্তে আস্তে বললেন, ‘আল্লাহর কসম, তোমরা চলে যাওয়ার পর আমি অবশ্যই তোমাদের প্রতিমাগুলোর কায়দা করব।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৫৭)

আরও পড়ুন‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কখন পড়ব০৪ মার্চ ২০২৫

এরপর তারা যখন চলে যায়, তিনি চুপি চুপি প্রতিমাগুলোর কাছে গেলেন। যাদের সামনে ছিল থরেথরে সাজানো ফলমূল আর সুস্বাদু খাবার। তিনি বললেন, ‘তোমরা কি খাবে না? তোমাদের কী হয়েছে, কথা বলছো না কেন?’ (সুরা সফফাত, আয়াত: ৯১-৯৩) তিনি সজোরে মূর্তিগুলোর ওপর আঘাত হানলেন। কিন্তু বড় মূর্তিটাকে কিছু করলেন না, যেন ওটার ওপর সব দোষ চাপানো যায়।

লোকজন ধর্মমেলা থেকে ফিরে যখন মন্দিরের এই হাল দেখল, রেগেমেগে একদম বেহাল হয়ে হয়ে গেল। তারা বলল, ‘কে আমাদের দেবদেবীর এই অবস্থা করল? সে নিশ্চয় সীমালংঘনকারী। কেউ কেউ বলল, এক যুবককে দেখেছি এদের সমালোচনা করতে, তার নাম ইবরাহিম। তারা বলল, তাকে জনতার সামনে উপস্থিত করো, যেন তারা তাকে দেখতে পারে।’

ইবরাহিমকে (আ.) উপস্থিত করার পর তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘তুমিই কি আমাদের দেবদেবীদের এই হাল করেছ? ইবরাহিম (আ.) বললেন, ওই বড় দেবতাটাই এসব করেছে, ওটাকে জিজ্ঞেস করো, যদি কথা বলতে পারে!’

এ কথা শুনে তারা চিন্তায় পড়ে গেল। তারা একে অপরকে বলল, তোমরা দেবদেবীদের অরক্ষিত রেখে গেছ, তোমরাই বরং সীমালঙ্ঘনকারী। তারপর লজ্জায় তাদের মাথানত হয়ে গেল। তারা ইবরাহিমকে (আ.) বলল, ‘তুমি তো ভালো করেই জানো এরা কথা বলতে পারে না।’

আরও পড়ুনসুরা ইয়াসিনের সার কথা১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইবরাহিম (আ.) এই মন্তব্য শোনারই অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি বললেন, ‘তবে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত করো, যা তোমাদের কোনো উপকার করতে পারে না এবং কোনো ক্ষতিও করতে পারে না? ধিক তোমাদের এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদের। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না?’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত ৫৯-৬৭)

মূর্তিপূজার অসারতার এমন স্পষ্ট প্রমাণের পর বাবেলের অধিবাসীদের উচিত ছিল এক আল্লাহয় বিশ্বাস করা, হজরত ইবরাহিমকে (আ.) নবী বলে মেনে নেওয়া। কিন্তু তারা তা না করে ফন্দি আঁটতে থাকে কীভাবে মূর্তি ভাঙার প্রতিশোধ নেওয়া যায়, কীভাবে তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া যায়।

আল্লাহর শরিয়ত কোনো প্রাণীকেই জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অনুমতি দেয় না, আর মানুষ তো সবচেয়ে সম্মানিত প্রাণী, তার বেলায় তো আরও আগে না। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৫৪২) কিন্তু কাফেরদের নীতিতে ইনসাফ নাই, মানবতা নাই, আছে কেবল পাশবিকতার জয়গান। আর তাই বাবেলের মূর্তিপূজারীরা সিদ্ধান্ত নেয়—এই যুবককে নিরস্ত করার একটাই উপায় আছে, আর তা হলো জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা।

আরও পড়ুনআল্লাহর কাছে যে দোয়া করেছিলেন নবী সোলায়মান (আ.) ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ