নড়াইলের লোহাগড়ায় এক প্রতিবন্ধী তরুণী (২০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার ব্রামনডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত উলফাত মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মাতব্বরা মীমাংসার নামে অভিযুক্তকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তবে ভুক্তভোগীর চাচা বলেন, ‘ইজ্জত তো চলেই গেছে, টাকা দিয়ে কি হবে? লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না। তাছাড়া ওই সালিশে আমাদের ডাকা হয়নি।’

জানা গেছে , বাকপ্রতিবন্ধী তরুণী রোববার বিকেলে ব্রামনডাঙ্গা বাজারে অভিযুক্ত উলফাতের দোকানে যান কেনাকাটার জন্য। এ সময় দোকানি উলফাত তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকানের ভেতর ডেকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী মেয়েটি বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি। তবে বিষয়টি স্থানীয়রা দেখে ফেলেন এবং মেয়ের মাকে খবর দেন। মেয়ের মা ঘটনার সত্যতা পান। তখন বাজারের লোকজন মেয়ের মাকে উপযুক্ত বিচার পাইবে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী একটি মহল ভুক্তভোগীর পরিবারকে আইনী পদক্ষেপ না নিতে চাপ দেয় এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। রাতেই অভিযুক্ত উলফাত ও স্থানীয় প্রভাবশালী মাতব্বর কামরুল, লাভলু, নাজির, তাইজেল, জাকির, বোরাকসহ ১০-১২ জন বাজারে বৈঠকে বসেন এবং সবার সম্মতিতে উলফাত মোল্লাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেন। 

উলফাত মোল্লার ভাতিজি বলেন, ‘আমার চাচা নির্দোষ। তাকে ফাঁসিয়েছেন মাতব্বররা। ২ লাখ টাকা দিয়ে সমাধান করার পরও আমাদের বাড়িতে পুলিশ ও সাংবাদিকরা কেন এল?’ 

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ‘উলফাতকে সন্ধ্যায় আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উলফ ত

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি থেকে বাদ পড়লেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী

খুলনার তেরখাদা উপজেলার সাচিয়াদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি থেকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এ বি এম আলমগীর শিকদারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তেরখাদা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী কাওসার আলীর সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ২১ এপ্রিল তেরখাদা উপজেলার সাচিয়াদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটিতে ভুলঃবশত এ বি এম আলমগীর শিকদারের নাম অন্তর্ভুক্ত  হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার কারণে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’

ইতোপূর্বে সাচিয়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন এ বি এম আলমগীর শিকদার। ২০১৬ সালে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশ নেন। তবে জিততে পারেননি। ২০২১ সালে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, সেবারও পরাজিত হন। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।

সম্প্রতি তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন হলে কমিটিতে ৫ নম্বর সদস্যের পদ পান আলমগীর শিকদার।

শুক্রবার দৈনিক সমকালে ‘খুলনা বিএনপির কমিটিতে পদ পেলেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিকেলে তাকে অব্যহতি দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ