মিরসরাইয়ে আ.লীগের তিন নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, আহত ২
Published: 14th, April 2025 GMT
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের তিন নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত করেরহাট ইউনিয়নের ভালুকিয়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল হোসেন ও পশ্চিম জোয়ার গ্রামের বাসিন্দা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসীমের বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। হামলা ও ভাঙচুরের সময় দুর্বৃত্তদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করায় কামরুলের মা রাশেদা আক্তার (৬০) ও তার মামা আইনুল কবিরকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হোসেনের এক চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী জানান, সোমবার দেড়টার দিকে প্রথমে চারটি মোটরসাইকেল ও দুইটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ১৮-২০ জনের দুর্বৃত্তের দল বাড়ির প্রধান ফকট টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে। এদের সবার মাথায় হেলমেট মুখে মাস্ক পড়া ছিল। এসময় কামরুলের মা রাশেদা আক্তারকে তিনি ও কামরুলের মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী রান্নার কাজে সহযোগীতা করছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। ঘরের সব ধরণের আসবাবাপত্র ভাঙচুর ও আলমারি ভাঙচুর করে স্বর্ণালংকার, মোবাইলফোন ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে কামরুল বাড়িতে থাকেন না।
পশ্চিম জোয়ার গ্রামের এক বাসিন্দা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, জুলাই আন্দোলনে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সাঊেশ উপজেলা চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন ও করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসীম বাড়িতে থাকেন না। সোমবার দুপুরে ১৮-২০ জনের একটি দল বাড়িতে এসে তাদের ঘরে ভাঙচুর চালিয়ে সব কিছু তছনছ করে দেয়।
সরেজমিনে ভালুকিয়া ও পশ্চিম জোয়ার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কামরুল হোসেনের ঘরের সাতটি কক্ষ, রান্না ঘর ও তিনটি বাথরুমে থাকা সব ধরণের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তছনছ করে দিয়েছে। ঘরের আলমারির দরজা ভেঙ্গে কাপড় চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে। এসময় তারা এক জোড়া স্বণের ছুড়ি, দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানান কামরুলের চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী।
ঘটনার পর কামরুলের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভয়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে চলে গেছে। এনায়েত হোসেন ও জসীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নয়নের ঘরের একটি কক্ষ ও জসীমের ঘরের তিনটি কক্ষে হামলা চালিয়ে সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। তাদের ঘরে গিয়ে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
ভালুকিয়া গ্রামের রুহুল আমিন নামে এক বৃদ্ধ জানান, তারা গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। এসময় কামরুল হোসেনের বাড়িতে শোর চিৎকার শুনে মসজিদ থেকে তারা গ্রামের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখেন ঘরের সব ভাঙচুর করা হচ্ছে। তবে কারা ভাঙচুর করেছে সেটা জানেন না।
জোরারগজ্ঞ থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির আহম্মদ সেলিম জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা তিনি জেনেছেন। কিন্তু লুটপাটের বিষয়টি ঠিক নয়। তবে হামলার ঘটনা নিয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাজি ফাটানো নিয়ে দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে এএসপিসহ অর্ধশত আহত
মাদারীপুরের রাজৈরে বাজি ফাটানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে টানা দুই দিন ধরে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কয়েক ঘণ্টা যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টাব্যাপী রাজৈর উপজেলা সদরের বেপারীপাড়া মোড়ে বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ১০/১২টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
বিস্তারিত আসছে...