আলোচনা ও ঐক্যের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, আমরা একটা আলোচনার মধ্য দিয়ে, ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই। নিঃসন্দেহে আমাদের মধ্যে ঐক্য সম্ভব হবে। এবং আমরা সফল হব।’

সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে আজ সোমবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এ সমস্যারও সমাধান হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, অতীতের যত ধুলোবালি, অতীতের যত জঞ্জাল—সবকিছু উড়িয়ে দিয়ে এই নতুন বৈশাখ আমাদের জন্য সম্পূর্ণ এক নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করবে।’

চিকিৎসার জন্য ৬ এপ্রিল সিঙ্গাপুর যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তাঁর স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নত ন ব ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘ছেলে একদিন দেশের জন্য ভালো কিছু করবে’

আলমগীর-সুমাইয়ার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট এলাকার রাজরামপুর গ্রামে। তাদের বড় ছেলের নাম ইমতিয়াজ হোসেন। তার বয়স ৭ বছর। বড় ছেলের নামের সাথে মিল রেখেই ছোট ছেলের নাম রাখা হবে বলে ভেবে রেখেছেন মা। তবে, নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। এই শিশুকে হাফেজ বানাতে চান বাবা। 

নবজাতকের জন্মানোর সম্ভাব্য সময় ছিল আজ ১৭ এপ্রিল। তবে রোববার রাতে হঠাৎ করে প্রসব বেদনা ওঠে সুমাইয়ার। তখন তড়িঘড়ি করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর স্বামী। তাদের বাড়ি থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ২৭ কিলোমিটার। এই পথ পাড়ি দিয়ে রাত ১টার দিকে তাকে হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। তখন নবজাতকের বাবা-মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে আসেন সুমাইয়ার মামি ও আলমগীরর মামি। তারা সারা রাত জেগে থেকে নবজাতকের মায়ের সেবা করেছেন তারা। আর নবজাতকের বাবা সারারাত চিন্তায় হাসপাতালের বারান্দায় পায়চারি করেছেন। কারণ ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখের আগে ব্যাথা শুরু হওয়ায় ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এভাবেই রাত কেটে যায় তার। পরদিন সকাল ৮টা ২০ মিনিটে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটি পৌনে তিন কেজি ওজন নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়। তার স্বাস্থ্য ভালো হওয়ায় পরিবারের লোকজন দারুণ খুশি। কোনো ধরনের অপারেশন ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয় শিশুটি। নবজাতকের বাবা আলমগীর পেশায় একজন টালি মিস্ত্রী। সুমাইয়া গৃহিনী।  ৮ বছর আগে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। 

নবজাতককে দেখে সবচেয়ে খুশি হয় তার বড়ভাই ইমতিয়াজ। কিছুক্ষণ পরপর মায়ের কাছে আবদার করে যেন ছোটভাইকে তার কোলে দেওয়া হয়। কোলে তুলে নেওয়ার পরই সে ভাইকে আদর করতে থাকে।

মোসাম্মৎ সুমাইয়া উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘গর্ভবতী থাকার পুরো সময়টাই আমি সুস্থ ছিলাম। আমার প্রথম সন্তানও স্বাভাবিকভাবে হয়েছে। দ্বিতীয় সন্তানও স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে আসলো। আজকে বছরের প্রথম দিনে আমার সন্তান জন্মেছে, আবার আজকে হাসপাতালে জন্মানো প্রথম শিশুও আমার ছেলে। এই বিষয় জানার পর খুশি লাগছে। বড় ছেলে ইমতিয়াজের নামের সাথে মিল রেখে ছোট ছেলের নাম রাখব। যেহেতু আগে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তাই বাচ্চা পেটে থাকলে কিভাবে চলতে হবে তার নিয়ম কানুন আগেই জানা ছিল। তাছাড়া পাশেই একটি ক্লিনিকে একজন গাইনি ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়েছি। ছেলে একদিন দেশের জন্য ভালো কিছু করবে এ আশাই করি।’

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার ঘর আলো করে আবারও দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়েছে। আমার দুই সন্তানকে মানুষের মতো করে বড় করতে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। সন্তানকে হাফেজ বানাতে চাই। ছেলের মায়ের স্বাস্থ্য ভালোই ছিল। ভালোভাবেই খাওয়া দাওয়া করতে পারত। তেমন কোনো আশঙ্কা ছিল না।’ সমকালের পক্ষ থেকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানানোয় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
আলমগীরের মামি আলেয়া বেগম নবজাতককে প্রথম কোলে নেন। তিনি বলেন, ‘আজকে পহেলা বৈশাখে আমার নাতি জন্মেছে। বছরের প্রথম দিনে শিশু জন্মেছে, তাই আনন্দ লাগছে। নাতিকে প্রথম কোলে নেওয়ার পর মন প্রশান্তিতে ভরে গেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসুন সবাই ড. ইউনূসকে সাহায্য করি: ফখরুল
  • প্লাস্টিক বোতল দিয়ে ‘শখের বাড়ি’ নির্মাণ করেছেন আলমগীর হোসেন
  • ভাইকে কোলছাড়া করতেই চাচ্ছে না ইমতিয়াজ
  • ‘ছেলে একদিন দেশের জন্য ভালো কিছু করবে’