ডিআরইউতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত
Published: 14th, April 2025 GMT
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বর্ণিল আয়োজনে ও উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল ২০২৫) পয়লা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউ প্রাঙ্গণে সদস্যদের মাঝে মুড়ি-মোয়া, নকুলদানা, মুড়কি, মুড়ালি, কদমা ও বাতাসা পরিবেশন করা হয়।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সঙ্গীত পরিবেশন করেন ডিআরইউ সদস্য, সন্তান ও অতিথি সঙ্গীত শিল্পীরা। দুপুরে ডিআরইউ ক্যান্টিনে সাদা ভাত, ডিম, মুরগি, মাছ, বেগুন ভাজি, শুটকি ভর্তা, সবজি ও আম ডাল পরিবেশন করা হয়। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ডিআরইউ প্রাঙ্গণ ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।
আরো পড়ুন:
‘জীবন রক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’
সাংবাদিককে যুবদল নেতার ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি, থানায় জিডি
দিনভর আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মাসুম, মনির হোসেন লিটন, রাজু আহমেদ, কবির আহমেদ খান, মশিউর রহমান খান, সহসভাপতি গাযী আনোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো.
অনুষ্ঠানে বাউল শিল্পী লাভলী শেখ, ফারজানা ইভা, রেখা সুফিয়ানা, ডিআরইউ সদস্য রেজা করিম, ইসারফ হোসেন ইসা, বিপ্লব বিশ্বাস, সদস্য সন্তান নাবিদ রহমান তুর্য, নওশীন তাবাসসুম তৃণা, আরিশা আরিয়ানা, সানদিহা জাহান দিবা, মুয়ান্তিকা রহমান সানাইয়া, মায়াবী রায়, অনুদীপ রায়, শ্রদ্ধা রায় প্রমুখ গান পরিবেশন করেন।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নববর ষ উৎসব ড আরইউ পর ব শ রহম ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মা-বাবার সঙ্গে হালখাতায় যেতাম: মিমি চক্রবর্তী
বাঙালির কাছে পহেলা বৈশাখ মানেই স্মৃতিবিধুরতা। সাজ-পোশাক থেকে খাবার, আড্ডা, হালখাতা— সবকিছুতেই বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। যদিও সময়ের সঙ্গে এসবের অনেক কিছু বদলে গেছে। নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে স্মৃতিকথা লিখেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
ছোটবেলায় মা বলতেন, ‘নতুন বছরে তুমি যা করবে, সারাবছর সেরকমই চলবে।’ তাই কাজ দিয়ে শুরু করাটাই আমার মনে হয়, সবথেকে ভালো। আর কাজ মানেই আমার কাছে ‘হ্যাপি প্লেস’। এবারের পহেলা বৈশাখে আমার ‘রক্তবীজ টু’-এর শুটিং রয়েছে। সেটেও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নববর্ষে খাওয়াদাওয়া আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শুধু পহেলা বৈশাখ বলে নয়, আমি বরাবরই খাদ্যরসিক। কিন্তু যেদিন থেকে নিরামিষাশী হয়ে গিয়েছি, সেদিন থেকে অবশ্য খুব একটা খাওয়া হয় না। অগত্যা মিষ্টিটাই এখন আমার কাছে সবথেকে প্রিয়। নতুন বছরের শুরুটা হোক মিষ্টি দিয়েই। বছরভর মিষ্টি কাটুক, এই কামনা রাখি। আমি যেহেতু পোলাও খেতে খুব ভালোবাসি, তাই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাড়িতে পোলাও রান্না হবে।
প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে আমাদের বাড়িতে পূজা হয়। ছোটবেলা থেকেই সেই রীতি দেখে আসছি। এদিন আমাদের বাড়ির সব ঠাকুররাও নতুন জামাকাপড় পরেন। শুধু নিজেরাই নতুন পোশাক পরলেই হবে? এছাড়াও মরশুমের প্রথম ফল ওনাকেই উৎসর্গ করা হয়। সারাবছর কাজের সূত্রে তো সকলের তেমন একসঙ্গে হওয়া হয় না। তাই পহেলা বৈশাখে সবাই একজোট হওয়ার চেষ্টা করি। আমার অবশ্য এ বছর সারারাত শুটিং রয়েছে। আর এদিন তো নতুন জামাকাপড় পরা মাস্ট!
আরো পড়ুন:
মিমি চান না বিয়ে হোক, সংসার হোক
মিমিকে ধর্ষণের হুমকিদাতাদের খুঁজছে পুলিশ
আমাদের বাড়িতে নববর্ষ উপলক্ষে একটা চল রয়েছে। সেটা হলো— পরস্পরকে উপহার দেওয়া। বিশেষ করে, এই উৎসবে নতুন জামাকাপড় কেনার সামর্থ নেই, তাদের জন্যই বেশি কেনাকাটা করা হয়। ছোটবেলা থেকে বাড়িতে মা-বাবাকে এই রীতি পালন করতে দেখে এসেছি। আমিও সেটাই করি। আমার দিদা বলতেন, ‘শুধু নিজে খুশি থাকলেই হয় না। অন্যকে খুশি রাখাটাও একটা দায়িত্ব।’ আর নববর্ষে এটা ম্যান্ডেটারি। যাতে তুমি সারাবছর নিজের আনন্দে অন্যকেও শামিল করতে পারো। আমার মনে হয়, এই দায়িত্বটা সবাই নিতে পারেন না। এটা ঈশ্বরপ্রদত্ত। উনি কোনো একজনকে দায়িত্ব দেন, চারপাশের মানুষগুলোকে খুশি রাখার। এটাও একপ্রকার নববর্ষের রেজলিউশন। আমি চেষ্টা করি বছরভর সেটা পালন করার।
মনে পড়ে, ছোটবেলায় জলপাইগুড়িতে এই দিনটায় মা-বাবার সঙ্গে হালখাতায় যেতাম। এছাড়াও সারাদিন সব আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে হইহই করে কাটাতাম। দিদু আমাদের সবাইকে নতুন জামা দিতেন। আর ওই নতুন জামা পরেই পূজায় বসতাম। আমার মামার যেহেতু নিজের হোলসেল মুদিখানার দোকান রয়েছে। কাজেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পূজা হতো। তাই সকাল সকাল মামার দোকানে পৌঁছে যেতাম। আমার দায়িত্ব ছিল, তরমুজ কাটা। কখনো কখনো আবার ফলফলাদি সাজিয়ে রাখা।
যত মিষ্টি আসত, সেগুলো প্যাকেট করার দায়িত্ব আমার আর দিদিভাইয়ের উপর থাকত। বাক্সে দেওয়ার আগে অবশ্য বেশিরভাগ নিজেই খেয়ে ফেলতাম! আর ক্যালেন্ডার সংগ্রহ করতাম। কে কতগুলো কালেক্ট করলাম, সেটা রীতিমতো কম্পিটিশন হতো। মনে পড়ে, হলুদ রঙের প্যাকেটে রকমারি লাড্ডু, দরবেশ আসত। রাত্রিবেলা ভাই-বোনেরা একত্রিত হয়ে দেখতাম, কে কতগুলো, কোন লাড্ডু সংগ্রহ করতে পেরেছে। দারুণ মজার স্মৃতি। আশেপাশের গ্রাম থেকে আমন্ত্রিত অনেকে আসতেন। পহেলা বৈশাখে কেউ যেন মিষ্টিমুখ না করে যান, সেদিকটা বরাবর নজরে থাকত বাড়ির বড়দের।
ঢাকা/শান্ত