ফেনীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে মানুষের ঢল
Published: 14th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট ফেনী’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচি থেকে গণহত্যার বিচার দাবি এবং ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ফেনীর মিজান ময়দানে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে জেলার সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ অংশ নেন। পরে র্যালি বের হয়। এসময় তারা ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘বয়কট ইসরায়েলি পণ্য’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
আয়োজকরা জানান, এটি ফেনীর রাজপথে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ।
আরো পড়ুন:
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ
ওয়াকফ বিল: কলকাতায় বিক্ষোভ চলছেই, মোদির কুশপুতুল দাহ
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মুফতি আব্দুল হান্নান বলেন, “এত গণহত্যার পরও জাতিসংঘ চুপ রয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে নেতানিয়াহু ও তার বাহিনীর বিচার চাই।”
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, “আওয়ামী লীগ আমলে দাঁড়ি-টুপিওয়ালাদের দেখতে অপমান করা হয়েছে। গাজা রক্ষার আগে নিজেদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হবে।”
ফেনী জহিরিয়া মসজিদের খতিব মুফতি ইলিয়াস বিন নাজেম বলেন, “আমরা মেরুদণ্ডহীন জাতিসংঘ চাই না।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কার-নির্বাচনের খেলা বাদ দিয়ে বিচার করুন: সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, সংস্কার না নির্বাচন আপনারা এই খেলা বাদ দিয়ে বিচার নিশ্চিত করুন। বর্তমান সরকারের বৈধতা হচ্ছে শহীদরা। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের হত্যাকাণ্ডের বিচারের আগে বাংলাদেশে কোনো কিছু প্রাসঙ্গিক হতে পারে না।
শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে এ কথা বলেছেন তিনি। ‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে’ এই সমাবেশের আয়োজন করে ইনকিলাব মঞ্চ।
শাহবাগে এই উন্মুক্ত প্রান্তরে তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, সেটা ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে পূরণ হওয়ার কথা ছিল বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন সারজিস আলম। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই তাদের কাছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বলি, তারা আমাদের পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয়।’
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘যখন শাপলা চত্বর, পিলখানা এবং জুলাইয়ে হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কোথায় ছিল?’
তবে সারজিস আলম তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নিয়ে এই অবস্থান ব্যক্তকারী হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা উপদেষ্টা কিংবা পশ্চিমা কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
এ সময় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে সারজিস বলেছেন, ‘এই জেনারেশনকে (প্রজন্ম) ভয় করুন। যদি এই জেনারেশনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আবেগ নিয়ে খেলা করেন, তাহলে এই জেনারেশন সকল ক্ষমতার বিপক্ষে গিয়ে যে কাউকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারে।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির সঞ্চালনায় সভায় শহীদ পরিবার এবং আহতরা, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ থেকে চারটি দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো- আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশ, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। শাপলা চত্বরের ঘটনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে; পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং দেশের সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।