পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 14th, April 2025 GMT
চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট নির্মিতব্য মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে ‘পঞ্চগড়বাসীর’ ব্যানারে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ওই মানববন্ধন হয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পঞ্চগড় জেলা শাখার আমির ইকবাল হোসাইন, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা নাজমুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাই, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পঞ্চগড় জেলা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, পঞ্চগড় সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের আহ্বায়ক আহসান হাবিব সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড় জেলার অন্যতম সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ‘পঞ্চগড় জেলা সব সময়ই অবহেলিত। এরপরের জেলা নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আছে। অথচ পঞ্চগড় থেকে এই জেলাগুলোর দূরত্ব অনেক বেশি। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে গুরুতর আহত একজন রোগী নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর বা দিনাজপুরে স্থানান্তর করা হয়। এতে পথেই অনেকের মৃত্যু হয়। আমরা আর কারও এমন মৃত্যু চাই না। এ জন্য এই জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল দ্রুত প্রয়োজন। আমরা জেনেছি চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করার জন্য সরকারিভাবে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় জমি খোঁজা হচ্ছে। আমরা মনে করি, পঞ্চগড়ের মানুষ এই মেডিকেল কলেজের সঠিক দাবিদার। চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পঞ্চগড়ে হলে ভুটান, নেপাল ও চীনের ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসবে। চিকিৎসাসেবা নিতে আসবে। পঞ্চগড়ের মানুষও বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল চীনের সহযোগিতায় এক হাজার শয্যার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পঞ্চগড়ে করেছিলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও চীনের রাষ্ট্রদূত মি.
বক্তারা ১৬ এপ্রিল বেলা ১১টায় একই দাবিতে জেলা জজ আদালতের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় গণজমায়েত ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানববন্ধন শেষে আসামির বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসামি গ্রেপ্তার ও তার বিচার দাবি করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে আসামির বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার গ্রামে গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধরা। পরে সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার গিয়াস উদ্দিনের কলা বাগানে তারই চাচা আকবর আলীর ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার শিকার হন আকবর আলী (৬৫)। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এই ঘটনার জেরে গত শনিবার গিয়াস উদ্দিনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা হয় এবং ওই রাতে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান।
তবে সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকার ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত জনতার একটি অংশ গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে হামলা হামলার পর অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগের সময় ওই বাড়িতে নারী ও শিশুরা অবস্থান করছিলেন। তবে তারা নিরাপদে সরে যান বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর থানার ওসি বলেন, পুলিশ-সেনাবাহিনীর যৌথ অবস্থানে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।