দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদের কমপ্লেক্সে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সাত শতাধিক অবৈধ ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারী তাণ্ডব চালিয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

আজ সোমবারের এই হামলা ছিল ইহুদি ধর্মীয় উৎসব পাসওভারের দ্বিতীয় দিনের অংশ হিসেবে সংগঠিত তাণ্ডব।

এক বিবৃতিতে জেরুজালেমের গভর্নরেট এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনীর ভারী উপস্থিতিতে এই তাণ্ডব হয়েছে। ইহুদি বসতিরা সেখানে প্রবেশের সময় মসজিদের কমপ্লেক্সে ইসরায়েলি পুলিশ মোতায়েন ছিল।  

আরো পড়ুন:

গাজা সিটির একমাত্র সচল হাসপাতালে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

চোখের জলে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি কামনায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সমাপ্ত

এর আগের দিন রবিবারও (পাসওভারের প্রথম দিনে) প্রায় ৫০০ জন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী একইভাবে আল-আকসায় প্রবেশ করে ও তাণ্ডব চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী ইহুদি পাসওভার ছুটির আগে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা তাদের উস্কানি কার্যকলাপ তীব্র করেছে।   

পাসওভার হলো-ইহুদি ধর্মের অন্যতম পবিত্র উৎসব। এ উৎসব হজরত মূসা (আ.

)-এর সময় মিসর থেকে ইসরায়েলিদের নির্গমন স্মরণে পালিত হয়।

ফিলিস্তিনের আওকাফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, গত মাসে আল-আকসা মসজিদে ২১বার 'তাণ্ডব' চালানো হয়েছে। জেরুজালেমের প্রশাসন জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকেই মসজিদের কমপ্লেক্সে ১৩ হাজার ৬৪ ইহুদি বসতি অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।  

২০০৩ সাল থেকে, ইসরায়েল শুক্র ও শনিবার বাদে প্রায় প্রতিদিনই বসতি স্থাপনকারীদের আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। 

আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। তবে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা একে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে অভিহিত করে। তাদের দাবি, সেখানে তাদের প্রাচীন দুটি উপাসনালয় ছিল।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, যেখানে আল-আকসা অবস্থিত। ১৯৮০ সালে তারা পুরো শহরটিকে নিজেদের সাথে সংযুক্ত করে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও স্বীকৃতি দেয়নি।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল কমপ ল ক স স থ পনক র ইসর য় ল প রব শ মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, শিকড়ে ফেরা, রঙে রাঙানো একদিন

চৈত্রের শেষ বিকেল। সূর্যটা হেলে পড়েছে পশ্চিম আকাশে। ফিকে হতে শুরু করেছে দিনের আলো। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের নীলাভ আকাশে তখন শত রঙিন ঘুড়ির মেলা। কোনোটা সাদা, কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি। রঙের বৈচিত্র্যের সঙ্গে সঙ্গে ঘুড়ির আকার ও নামেও আছে বৈচিত্র্য। শত শত নারী-পুরুষ, শিশুরা রঙিন ঘুড়ির নেশায় মত্ত।

ঘুড়ি নিয়ে কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা ওড়াতে ব্যস্ত। আবার কারও কারও ঘুড়ি না ওড়ায় হতাশ, তবে আকাশে ওড়াতে চেষ্টার শেষ নেই। অন্যদিকে চলছে মোরগ লড়াই, দড়ি টানাটানি খেলা। মাঠের একপাশে নাগরদোলায় চলছে উল্লাস। ছবি, সেলফি আর আড্ডায় খেলার মাঠটি যেন রঙে রঙিন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসবে রোববার বিকেলে এভাবেই মেতে উঠেছিলেন সবাই। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নন, সেই আনন্দে শরিক হয়েছিলেন খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আনন্দ আর প্রাণের এমন উচ্ছ্বাস যেন হারিয়ে যাওয়া এক গ্রামবাংলার চিত্র ফুটে ওঠে মাঠে। ক্লাস আর পরীক্ষার একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীরা এই দিনটিতে নিজেদের সংস্কৃতি ও শিকড়ের সঙ্গে মিশে যান।

চলছে মোড়ক লড়াই। রোববার বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাঙামাটিতে গুর্খা সম্মেলন ও গুণীজন সম্মাননা
  • ডিএনসিসির বৈশাখী মেলা: শহরের বুকে গ্রামীণ আবহ
  • বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বৈশাখী মেলা
  • আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়েই পথ চলতে হবে
  • জাতির আসল পরিচয় তার সংস্কৃতি
  • দেশজুড়ে মেলার উৎসব-উদ্দীপনা
  • সংগীতের আবহে উৎসব
  • চৈত্র সংক্রান্তিতে বেরোবিতে ঘুড়ি উৎসব আয়োজিত
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, শিকড়ে ফেরা, রঙে রাঙানো একদিন