বর্ষবরণের রঙে রঙিন সারা দেশ, জেলায় জেলায় যত আয়োজন
Published: 14th, April 2025 GMT
নতুন সূর্যের প্রথম আভা গায়ে মেখে বাংলা সনের প্রথম দিনে বৈচিত্র্যময় আবহে জেগে উঠেছে বাংলাদেশ। বাঙালির প্রাণের উৎসব ছড়িয়েছে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। উৎসবের রঙে নিজেদের রাঙিয়েছেন অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষও।
শোভাযাত্রা, লোকজ সংস্কৃতি, গান, নাচ, আবৃত্তি—কী ছিল না এসব আয়োজনে! গ্রামগঞ্জে বসেছে বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী মেলা। তাতে দল বেঁধে যাচ্ছেন নারী, পুরুষ, শিশুরা। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ লাঠিখেলা ও হাডুডু দেখতেও ভিড় কম নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আয়োজন করা হচ্ছে নানা অনুষ্ঠানের। জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে নতুন বছরকে বরণ করতে ছিল নানা আয়োজন।
বৈশাখের আয়োজনে আসা এই মানুষেরা বলছেন, গত বছর (১৪৩১ সন) বাংলাদেশের মানুষ অনেক ধরনের পরিবর্তন দেখেছেন। নতুন বছর ১৪৩২–এ এসে একটি চমৎকার সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চান তাঁরা। যেখানে সব ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের মানুষ দলমত–নির্বিশেষে আনন্দে থাকবেন।
বর্ষবরণের আয়োজন নিয়ে খবর পাঠিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিবাদের প্রতীক মুষ্টিবদ্ধ হাত, শান্তির প্রতীক জোড়া পাখি নিয়ে বৈশাখী শোভাযাত্রা করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো কলাভবন এলাকা থেকে বৈশাখী শোভাযাত্রা বের করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের অনেকে রংবেরঙের মুখোশ পরে নেচে-গেয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
মুষ্টিবদ্ধ হাত, শান্তির প্রতীক জোড়াপাখি নিয়ে বৈশাখী শোভাযাত্রা করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কেউ আসছেন না জেনে, কেউ–বা বর্ষবরণের স্থানটি দেখতে
আশুতোষ বড়ুয়া ও শুক্লা বড়ুয়া দম্পতি ডিসি হিলের সিঁড়িতে বসে আছেন সকাল থেকেই। পরনে বৈশাখের লাল-সাদা নতুন পোশাক। নিষ্পলক তাকিয়ে আছেন জনশূন্য মঞ্চের দিকে। একেবারে শূন্য বলা যাবে না। ডিসি হিলের স্থায়ী মঞ্চে তখন দু-একজন প্রতিদিনের মতো সকালের ব্যায়াম সারছেন। এই মঞ্চে প্রতিবারের মতো আজ সোমবার সকাল থেকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। গতকাল রোববার প্রস্তুতি ও সাজসজ্জার সময় ভাঙচুর করা হয় মঞ্চটি।
আশুতোষ বড়ুয়া বললেন, ‘যুগ যুগ ধরে ডিসি হিলের এই উৎসব দেখে বৃদ্ধ হয়েছি। প্রতিদিন ডিসি হিলে হাঁটি। আজ চিন্তা করলাম হাঁটব না। বসে থাকব। প্রতিবছর যেভাবে বসে থাকতাম, সেভাবে বসে আছি। এমন একটি বাঙালি ঐতিহ্যের বর্ষবরণ উৎসব হচ্ছে না দেখে খুব খারাপ লাগছে।’ শুক্লা বড়ুয়া স্বামীর মুখের কথা টেনে বলেন, ‘আমার নাতি-নাতনিদের আজ এখানে থাকার কথা ছিল, সেই সুযোগটা আর হলো না। যারাই কাজটা (ভাঙচুর) করুক, সেটা ভালো হয়নি।’
ডিসি হিলের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বন্ধের কথা জানতেন না, তাই মেলায় পণ্য বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন অনেকেই। আজ সকালে ডিসি হিলের সামনের সড়কে