নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহসান উল্লাহ আছান (৫০) নামের এক গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোড়াশাল পৌরসভার কুমারটেক এলাকার এ ঘটনা ঘটে।

আহসান উল্লাহ আছান উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার কুমারটেক গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় গাড়িচালক ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বলছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পাশের একটি ফার্মেসির সামনে বসে ছিলেন আহসান উল্লাহ আছান। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করে তিনজন দুর্বৃত্ত ওই ফার্মেসির সামনে যায়। তাদের একজন পিস্তল বের করে গুলি ছুড়লে আহসান উল্লাহর ডান পাশের কানের দিকে বিদ্ধ হয়। এ সময় তিনি লুটিয়ে পড়লে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের পর দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১১ আসামিকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার ১১ আসামিকে বিস্ফোরকসহ হত্যাচেষ্টা আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন। 

আসামিরা হলেন– প্রেমনন্দন দাস বুজা, রণব দাস, বিধান দাস, বিকাশ দাস, নর্মিত দাস, রাজ কাপুর, সামির দাস, শিব কুমার দাস, ওম দাস, অজয় দাস ও দেবী চরণ। এ মামলার বাদী নিহত আলিফের ভাই খানে আলম। গত ২৬ জানুয়ারি তারা গ্রেপ্তার হয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর এপিপি মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আইনজীবী আলিফের ভাইয়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিল পুলিশ। শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। 

পরদিন তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিন ঘণ্টা তাঁকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তাঁর সমর্থকরা। এক পর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই সময়ের সংঘাতের ঘটনায় নিহত আলিফের ভাই একটি মামলা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ