আমাদের চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে বিজ্ঞানীদের জানার আগ্রহ অনেক দিনের। এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে। সম্প্রতি চীনের চ্যাং’ই-৬ মহাকাশযানের সংগ্রহ করা নমুনা পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর চাঁদ আসলে প্রাচীন কোনো ধ্বংসাবশেষ। চাঁদের দূরবর্তী দক্ষিণ মেরু-এইটকেন ইমপ্যাক্ট বেসিন থেকে মাটির নমুনা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
অনেক বছর ধরেই বিজ্ঞানীরা চাঁদের উৎপত্তি জানতে গবেষণা করছেন। চীনের চ্যাং’ই–৬ মহাকাশযান চাঁদ থেকে চন্দ্র রেগোলিথ নামে পরিচিত নমুনা সংগ্রহ করেছে। এই নমুনা পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে বিশাল আকারের প্রোটোপ্ল্যানেট পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণে চাঁদের উৎপত্তি হয়েছে। নেচার সাময়িকীতে নতুন এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন চাঁদে কি সত্যিই মানুষের পা পড়েছে২০ জুন ২০২৪চ্যাং’ই-৬ মহাকাশযানের আগে অ্যাপোলো, লুনা ও চ্যাং’ই-৫ মহাকাশযান চাঁদের প্রোসেলারাম ক্রিপ এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল। সেসব নমুনায় থোরিয়াম পাওয়া গেছে। তবে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের দূরবর্তী অংশের ম্যান্টেলে সিলিকেটের উপস্থিতি রয়েছে। পাথরের নমুনার বয়স ইঙ্গিত দিচ্ছে, সৌরজগতের গঠন শুরু হওয়ার প্রায় ছয় কোটি বছর পর চাঁদ গঠিত হয়েছে। শুরুতে কোটি কোটি বছর ম্যাগমার অভ্যন্তরে আবৃত ছিল চাঁদ।
নতুন এ গবেষণার বিষয়ে চীনের বিজ্ঞান একাডেমির ভূতত্ত্ব ও ভূপদার্থবিদ্যা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী হু সেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নতুন ফলাফল চাঁদের ওপরে দৈত্যাকার প্রভাব নিয়ে যে অনুমান তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। চাঁদের দূরবর্তী অংশে পানির উপস্থিতি নতুন তথ্য জানাচ্ছে। নাসার আর্টেমিস ও চীনের পরবর্তী চ্যাং’ই মিশনের মতো ভবিষ্যতে নতুন মিশনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা চাঁদে পানির বিস্তার সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিজিতে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
ফিজি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে ভূমিকম্পের প্রভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টা ৩ মিনিটে দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল ১৭৪ কিলোমিটার (১০৮ মাইল) গভীরতায়।
মার্কিন সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে যে, উৎপত্তিস্থল গভীর সমুদ্রে হওয়ায় তীব্র ভূমিকম্প সত্ত্বেও সুনামির হুমকি নেই। এছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নির্মল সৈকতের জন্য বিখ্যাত ফিজি। ২০২৪ সালে প্রায় ১০ লাখ পর্যটককে আতিথেয়তা দিয়েছে এই দ্বীপপুঞ্জ।