টেস্ট ক্রিকেটের জন্ম ১৮৭৭ সালে। এর ১৩ বছর পর ১৮৯০ সালে ইংল্যান্ডের শীর্ষ ঘরোয়া লিগ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। সেই থেকে দুই বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া আর কিছু বাধা হতে পারেনি প্রথম শ্রেণির এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টের। ১৩৫ বছরের পুরো সেই কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয়টা দেখল এই ২০২৫ সালে এসে। গতকাল কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম বিভাগে উস্টারশায়ারকে ৫০৪ রানে হারিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে ইয়র্কশায়ার।

হেডিংলিতে প্রথম ইনিংসে ৪৫৬ রান করা ইয়র্কশায়ার দ্বিতীয় ইনিংস ছেড়ে দেয় ৩১৫ রান তুলে। তাতে প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানে গুটিয়ে যাওয়া উস্টারশায়ার ৬১০ রানের লক্ষ্য পায়। রান তাড়ায় উস্টার অলআউট ১০৫ রানে। ৭২ থেকে ১০৫, ৩৩ রান তুলতেই শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছে উস্টার।

কাউন্টিতে রানের হিসাবে এই প্রথম ৫০০ রানের ব্যবধানে জিতল কোনো দল। আগের রেকর্ডটি ছিল ৪৮৩ রানে। ২০০২ সালে লিস্টারশায়ারকে এই ব্যবধানে হারিয়েছিল সারে। সারে ভেঙেছিল ৮৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড। ১৯১৩ সালে সাসেক্স গ্লস্টারশায়ারকে ৪৭০ রানে হারিয়ে রেকর্ডটি করেছিল।

ডন ব্র্যাডম্যানের অভিষেক টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে রেকর্ড ৬৭৫ রানে হারে অস্ট্রেলিয়া.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

১১ আসামিকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার ১১ আসামিকে বিস্ফোরকসহ হত্যাচেষ্টা আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন। 

আসামিরা হলেন– প্রেমনন্দন দাস বুজা, রণব দাস, বিধান দাস, বিকাশ দাস, নর্মিত দাস, রাজ কাপুর, সামির দাস, শিব কুমার দাস, ওম দাস, অজয় দাস ও দেবী চরণ। এ মামলার বাদী নিহত আলিফের ভাই খানে আলম। গত ২৬ জানুয়ারি তারা গ্রেপ্তার হয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর এপিপি মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আইনজীবী আলিফের ভাইয়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিল পুলিশ। শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। 

পরদিন তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিন ঘণ্টা তাঁকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তাঁর সমর্থকরা। এক পর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই সময়ের সংঘাতের ঘটনায় নিহত আলিফের ভাই একটি মামলা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ