গত কয়েকমাস ধরেই একের পর এক হুমকি দেওয়া হচ্ছে সালমান খানকে। এবার সপরিবারে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হলো। শুধু তাই নয় তার বাড়ি-গাড়িও উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে। সালমানের হত্যার হুমকিবার্তার খবর ছড়াতেই নতুন করে শঙ্কিত বলিউড।

মুম্বাইয়ের ওরলি পরিবহন বিভাগের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এমন হুমকির মেসেজটি পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওরলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কে এই মেসেজটি পাঠিয়েছে, তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।

হুমকির বার্তায় লেখা, অভিনেতার গাড়িতে বোমা রাখা আছে। পাশাপাশি তাঁর বাসভবন গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টেও হামলা চালাবে দুষ্কৃতকারীরা।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি সালমানের বাড়িতে ঢুকে তাকে খুনের হুমকি দিয়েছে। একইসঙ্গে বিস্ফোরণে তার গাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ওরলি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। যে নম্বর থেকে মেসেজ করা হয়েছে সেই নম্বরটিও ট্র্যাক করা শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই তারা সালমান খানকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকী গত বছর অভিনেতার বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনাতেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের যোগ ছিল। 

বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে সালমানের শত্রুতা নতুন নয়। ‘হাম সাথ-সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল অভিনেতার বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে সালমানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। গত বছর সালমান ঘনিষ্ঠ বাবা সিদ্দিকি খুন হওয়ার পর অভিনেতার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়।

তবে তার আগেই সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চলার ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গেছিল। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাংয়েরই সদস্যরা। মাঝে আবার সালমানকে শর্তও দেওয়া হয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছিল, তাঁর কাছে দুটি রাস্তা রয়েছে। একটি হল কোনও এক বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া, অথবা বেঁচে থাকার জন্য ৫ কোটি টাকা দেওয়া। এই সময়ে সিকান্দার সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন বলিউডের ভাইজান। যদিও কোনও টাকা তিনি দিয়েছেন, এমন তথ্য সামনে আসেনি। 

লাগাতার হুমকি পাওয়ার জন্য সালমানের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। পাশাপাশি বর্তমানে অভিনেতা ওয়াই+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন।

এরই মধ্যে রোববার সালমান খানকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মুম্বাই ছাড়তে দেখা গেছে। তাঁর নিরাপত্তারক্ষী শেরাকে রীতিমতো উদ্বিগ্ন দেখা গেছে। আলোকচিত্রীরা কিছুতেই এদিন ভাইজানের আশপাশে ঘেঁষতে পারেননি। আজকের খবর অভিনেতার প্রাণসংশয়ের।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তুচ্ছ ঘটনার জেরে এনসিপি–বিএনপির সংঘর্ষ, ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর রূপনগরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সোমবার রাতের এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে ২১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৫০–৬০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকাম্মেল হক সমকালকে বলেন, মিরপুরের বিইউবিটির এক ছাত্রীর সঙ্গে উত্তরার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অনিকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তরুণী তার এক সহপাঠী আশিকের সহায়তা চান। এরপর সোমবার রাত ৮টার দিকে তরুণী রূপনগর আবাসিক এলাকার ১২ নম্বর সড়কের ঝিলপাড় এলাকায় তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যান। ওই সময় আশিক সেখানে উপস্থিত হয়ে অনিককে গালমন্দ করেন। এ নিয়ে দুজন বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়ান। 

ওসি আরও বলেন, আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তাদের সঙ্গেও বিতণ্ডায় জড়ান আশিক। একপর্যায়ে রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক টুটুল মিয়াসহ কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হন। অন্যদিকে খবর পেয়ে আশিকের পক্ষের লোকজনও সেখানে যান। এ সময় ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে করা মামলার আসামিরা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।

এদিকে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে শেখ মাহিন আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। 

এজাহারে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কর্মী অনিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য থানায় সংবাদ দেয়। ওই সময় টুটুল মিয়াসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫০–৬০ জন এসে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে টুটুলসহ তার লোকজনের কথা কাটাকাটি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমি সেখানে উপস্থিত হই। তখন টুটুল আমাকে দেখে বলেন, এটাই সেই মাহিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। এরপর তারা লাঠিসোঁটা, ধারালো চাকু, রাম দা, হকিস্টিক, স্ট্যাম্প নিয়ে আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। আমাকে রক্ষার জন্য অন্যরা এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মারধর ও ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার পর দুই পক্ষই মিছিল নিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে জড়ো হয়। এ নিয়ে দীর্ঘ সময় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ