Risingbd:
2025-04-15@18:01:30 GMT

‘বেওয়াচ হোটেল কক্সবাজার’

Published: 14th, April 2025 GMT

‘বেওয়াচ হোটেল কক্সবাজার’

বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে নতুন পর্স, এলিট, নান্দনিক, এক বিশ্বস্ত ও আস্থার নামে পরিণত হচ্ছে ‘বেওয়াচ’। পাঁচ তারকা মানের প্রকৃত সেবা দিয়ে আসছে এই আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট এর ‘বেওয়াচ হোটেল কক্সবাজার’। তাই কক্সবাজারে ঘুরতে গেলে ভ্রমণ পিপাসুরা এখন বেছে নিতে পারেন ‘বেওয়াচ’কে।

এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ নাঈম বলেন, “মূলত কক্সবাজারের ফাইভ-স্টার বেওয়াচ হোটেল শুধু কক্সবাজারে নয়, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী, পর্স, নান্দনিক, এলিট ফাইভ স্টার তারকা হোটেল। কক্সবাজারে বেওয়াচ  আমরা আমাদের গেস্টদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে কোনো আপস করি না।”

তিনি আরো বলেন, “কক্সবাজারকে বলা হয় দেশের পর্যটন রাজধানী। বিশাল সমুদ্র। পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত। যতই মন খারাপ থাকুন, সাগরের বিশালতার সামনে দাঁড়ালে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়। সাথে প্রিয়জন, পরিবার পরিজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধুজন থাকলে তো কথাই নেই। কিন্তু ভ্রমণের জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ, ঝুট-ঝামেলামুক্ত। এজন্যই কক্সবাজারে আছে  পাঁচ তারকা হোটেল বেওয়াচ। সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, বিশাল সমুদ্র। কক্সবাজার গেলে সকালে-বিকেলে সমুদ্রতীরে বেড়াতে মন চাইবে। সাগরের বিশালতার টানেই হোক কিংবা অবকাশ যাপন, জেলাটি সবসময় মুখর থাকে পর্যটকদের অভিবাদন জানাতে। বিপুল পর্যটকদের রাত্রীযাপন নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকতের কাছে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ। কিন্তু সবগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। নেই নিরাপত্তা।”

তিনি বলেন, “অনেক সময় দীর্ঘ ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকরা রুম পান না। অনেক হোটেলে আছে নানা সমস্যা। কিন্তু হোটেল ‘বেওয়াচ’ এসব দিক থেকে ব্যতিক্রম এক ও ঐতিহ্যবাহী, তাদের সাথে আগে যোগাযোগ করে গেলে, রুম, সার্ভিস সব পাবেন নিশ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে একই রকমভাবে গ্রাহকদের পাঁচ তারকা মানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। কক্সবাজারে ঐতিহ্যবাহী পাঁচ তারকা হোটেল এটি। কক্সবাজারে অন্যতম এই হোটেলে নিরাপত্তা, সার্ভিস সুবিধা, কাস্টমারকে সন্তুষ্ট করতে তাদের আছে নানা ব্যবস্থা। এমনকি, তাদের রয়েছে নিজস্ব প্রাইভেট বিচ ও নিরাপত্তা। সেখানে থাকতে দুই রাত, দুই দিনের একোমোডেশান, ব্রেকফাস্টসহ নানা সময়ে তাদের থাকে অসাধারণ প্যাকেজ। থাকে নানা অফার।”

তিনি বলেন, “আমরা গেস্টদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে আপস করি না। আমাদের প্রতিটি ইউনিট শতভাগ কর্পোরেট, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও আন্তরিক। আমাদের সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে অন্যতম ওয়েলকাম ড্রিংকস, ব্রেকফাস্ট (বুফে), এসি ও গিজার ফ্যাসিলিটি, আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই, ইন রুম মিনারেল ওয়াটার, কফি, চা, সুবিশাল সুইমিং পুল, জাকুজি, বাগান, রাতে বীচ সাইড লাইভ মিউজিক ও বারবিকিউ, মজাদার খাবার, ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিস এবং অন্যান্য সুবিধা, প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, পার্কিং সুবিধা, রেস্টুরেন্ট সার্ভিস এবং রুম সার্ভিসসহ অন্যান্য সুবিধা। যা আপনি এবং আপনার ভ্রমণকে আবাসনের ক্ষেত্রে করবে নিরাপদ, আনন্দদায়ক ও আরো মনোমুগ্ধকর।”

‘হোটেল বেওয়াচ’ ইনানী বিচের কাছে অবস্থিত, কক্সবাজার শহর থেকে দূরত্ব মাত্র ২৫ মিনিটের।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরপাড়ে বৈশাখী উৎসব, পর্যটকদের উচ্ছ্বাস

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে জমজমাট বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বৈশাখের প্রথম দিন সকাল থেকেই সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী ও ইনানী পয়েন্টে ভিড় করছেন হাজারো পর্যটক ও স্থানীয় মানুষ।

রঙ-বেরঙের পোশাক, মুখে হাসি আর হাতে পান্তা-ইলিশের থালা—সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট। সৈকতে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে এবং বৈশাখী মেলা বসেছে। লাবণী পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্মুক্ত মঞ্চ করা হয়েছে।

সবার প্রত্যাশা, নতুন বছর মানুষের জীবনে বয়ে আনবে অনাবিল আনন্দ। থাকবে না হিংসা-বিদ্বেষ, দুর্নীতি ও হয়রানি।

সকাল ১০টার পর থেকে সৈকতে ভিড় বাড়তে থাকে। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নানা বয়সের মানুষ যোগ দেন বৈশাখী উৎসবে।

ঢাকার বাসাবো থেকে আসা পর্যটক রণধীর দিব্য বলেছেন, সমুদ্র আর বৈশাখী উৎসব একসঙ্গে উপভোগ করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। কক্সবাজারে নববর্ষ উদযাপন অনেক আনন্দ দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়ের আহমদ বলেছেন, পহেলা বৈশাখে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সমুদ্র দেখতে এলাম। এ ধরনের উৎসব স্থানীয় পর্যটন শিল্পকে যেমন চাঙ্গা করে, তেমনই আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সবাইকে আরো গভীরভাবে যুক্ত করে।

পর্যটক ও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচকর্মীরা সার্বক্ষণিক পর্যটকদের সহায়তা করছেন।

বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন বলেছেন, ঈদের পর সৈকতে এটি দ্বিতীয় বৃহৎ পর্যটক সমাগম। পহেলা বৈশাখে সৈকতে আনন্দ করতে পরিবার ও আপনজনদের নিয়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন বেড়াতে এসেছেন। তাদেরকে আমরা সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

১৪৩২ বঙ্গাব্দের বৈশাখী উৎসব ঘিরে কক্সবাজারে পর্যটকদের উপস্থিতি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। হোটেল-মোটেল, খাবারের দোকান ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায় চাঙাভাব দেখা দিয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. আপেল মাহমুদ বলেছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন উৎসব উদযাপনে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৈকতে প্রতিটি পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা আছেন। পর্যটকরা যে কারো অনিয়মের বিরুদ্ধে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। কেউ পর্যটকদের হয়রানির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মায়াময় মালদ্বীপে
  • মালদ্বীপে ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
  • ইন্দোনেশিয়ার ভবিষ্যৎ রাজধানীকে হুমকিতে ফেলে দিচ্ছে ইঁদুর
  • সমুদ্রসৈকতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, পর্যটকের ঢল
  • সাগরপাড়ে বৈশাখী উৎসব, পর্যটকদের উচ্ছ্বাস