মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে চলছে নববর্ষের কনসার্ট
Published: 14th, April 2025 GMT
জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে কনসার্ট শুরু হয়েছে। পয়লা বৈশাখের দিন আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বান্দরবানের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর গানের দল বেসিক গিটার লার্নিং স্কুলের খুদে শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এ কনসার্ট শুরু হয়েছে।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ কনসার্ট ও ড্রোন শোর আয়োজন করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে চীনা দূতাবাস। অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
শুরুতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমা জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান ও ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ উৎসব সাংগ্রাইয়ের একটি গান পরিবেশন করে বেসিক গিটার লার্নিং স্কুলের খুদে শিল্পীরা। পরে তারা ‘মন কী যে চায় বলো, যারে দেখি লাগে ভালো’ গানটি পরিবেশন করে।
এরপর মঞ্চে ওঠেন রাফি অ্যান্ড রকারস (আর অ্যান্ড আর) ব্যান্ড দলের সদস্যরা। তারা ‘গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া’, ‘সুন্দরী চলেছে একা পথে’র মতো দর্শকপ্রিয় কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। পরে কণ্ঠশিল্পী পারসাসহ কয়েকজন শিল্পী সম্মিলিত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি পরিবেশন করেন।
কনসার্টে সাড়ে চারটার দিকে মঞ্চে ওঠেন মিঠুন চক্র ও জালাল আহমেদ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এফ মাইনর, আতিয়া আনিসা, ইসলাম উদ্দিন পালাকার, আরজ আলী ওস্তাদ, সাগর দেওয়ান, পারসা, অ্যাশেস ব্যান্ড ও জাহিদ নিরবের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ড্রোন শো হবে সন্ধ্যা সাতটায়।
আরও পড়ুনমানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ড্রোন শো ও কনসার্টে যা থাকছে১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কনস র ট
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষকে রাঙাতে হাডুডু খেললেন মানিকগঞ্জের প্রবীণরা
শামসুল আলমের বয়স ৬৫। এই বয়সে তিনি খেলতে নামেন হাডুডু। তার উদ্দীপনা দেখে এলাকার কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে সবাই তাকে দিয়েছেন উৎসাহ। শুধু তিনি একা নন, তার মতো ষাটোর্ধ্ব দুই ডজন প্রবীণ নববর্ষের উৎসবকে রাঙাতে খেলেছেন বাংলাদেশের জাতীয় খেলা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় হাডুডু খেলার উদ্বোধন করেন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম বাদল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাঈদ। খেলা শেষে অতিথিরা খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
প্রবীণ খেলোয়ার শাসসুল আলম বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাগো উৎসব। এদিন হাডুডু খেলবার পাইরা খুব ভালো লাগতাছে। জোয়ান বয়সে কত দুরান্তপানা করছি। আজক্যা সব বুইড়াড়া একসঙ্গে হাডুডু খেললাম, খুব ভালো লাগতেছে।”
আরো পড়ুন:
ড্রোন শোতে ঝলমলে ঢাকার আকাশ
ডিআরইউতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত
পরিবার নিয়ে মানিকগঞ্জ শহরের দাশড়া এলাকা থেকে হাডুডু খেলা দেখতে আসা তৌফিক হোসেন বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিকে ধারণ করে আছে গ্রাম বাংলার অসংখ্য খেলাধুলা। আমার চার বছরের ছেলে খেলা দেখে আনন্দ পেয়েছে। এ ধরনের গ্রামীন খেলাধুলার চর্চা আরো বেশি আয়োজন করা প্রয়োজন।”
খেলা দেখতে আসা ইকবাল মাহমুদ বলেন, “যারা খেলতে নেমেছেন তাদের সবার বয়স ষাটের বেশি। এই বয়সেও তাদের খেলার প্রতি ঝোকই প্রমাণ করে হাডুডু আমাদের খেলা, পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতি। এই খেলা রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্য গোলাম কিবরিয়া সাঈদ বলেন, “সংস্কৃতি ও খেলাধুলার চর্চা সঠিকভাবে হলে মাদকসহ অসামাজিক কার্যকলাপ কমে যায়। নববর্ষের সঙ্গে গ্রামীন খেলাধুলার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। হাডুডু খেলা পহেলা বৈশাখের আনন্দকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামীতে এ ধরনের আয়োজন আরো বাড়াতে হবে।”
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ