ঢোলের তালে মুহুর্মুহু আঘাত, প্রতিরোধের খটাখট শব্দে মুখরিত হয়ে জমে উঠেছে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। চারদিকে উৎসুক জনতা ভিড় করে উপভোগ করে খেলাটি। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য নতুন উদ্যমে ফিরিয়ে আনতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রশাসন এ লাঠি খেলার আয়োজন করে। 

সোমবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ লাঠি খেলা। খেলায় লাঠি খেলার পাশাপাশি বুকের উপর ইট রেখে মাটি কাটার কোদাল দিয়ে আঘাত করে পরপর তিনটি ইট ভাঙা হয়। যা ছিল খেলার অন্যতম আকর্ষণ। উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আবাদপুর এবং পার্শ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রাম থেকে দক্ষ লাঠিয়ালরা খেলা প্রদর্শন করেন।

খেলা দেখতে আসা রুপক হোসেন নামের এক দর্শনার্থী বলেন, আধুনিক যুগে এধরনের গ্রামীণ খেলাধুলা হারিয়ে যেতে বসেছে। এখনকার প্রজন্ম ডিজিটাল মাধ্যমে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এধরনের আয়োজন প্রতিনিয়ত হওয়া প্রয়োজন। খেলা দেখে খুব আনন্দ পেয়েছি। 

মনির হোসেন নামের এক লাঠিয়াল বলেন, আমাদের এ দেশীয় খেলাগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আগে প্রতিনিয়ত গ্রামগঞ্জে এধরনের লাঠি খেলা হতো। আমরা টাকার বিনিময়ে চুক্তিতে খেলতাম। এখন আর আগের মতো খেলা হয় না। এতে আয় রোজগার কমে গেছে। এ খেলাগুলোকে রক্ষা করা দরকার।

আয়োজক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা ফিরিয়ে আনতে আমাদের এ আয়োজন। খেলাটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এধরনের গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নববর্ষেও বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ: দুলু

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, বাঙালি প্রাণের উৎসব নববর্ষ উপলক্ষেও বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা দেখেছি এই পহেলা বৈশাখ আসলেই শেখ হাসিনা র‍্যাব-পুলিশ দিয়ে একটি অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করতো। জঙ্গি জঙ্গি খেলা করতো। এগুলো করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মানুষকে জঙ্গি প্রমাণ করার চেষ্টা করতো। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। আজকে হাসিনা নাই, দেশে জঙ্গিও নাই।

সোমবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে নাটোর জেলা বিএনপি আয়োজিত আনন্দ মিছিল শেষে এক সমাবেশ তিনি এমন মন্তব্য করেন।

দুলু বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ- সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তবে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না নাটোরে যারা আমাদের রক্ত ঝড়িয়েছে, আমাদের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করেছে তাদের কোনোভাবেই ক্ষমা করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, নাটোরের অবৈধ সন্ত্রাসী এমপি গোপনে আস্ফালন করার চেষ্টা করছে। এই সন্ত্রাসীকে দমনে নাটোরের বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। এই সন্ত্রাসীদের জন্য ঈদে বাড়িতে এসে খাবার না খেয়ে ঢাকায় ফিরে যেতে হয়েছে। এগুলো আমরা ভুলে যাইনি। এই সন্ত্রাসীদের বিচার নাটোরের মাটিতেই করবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক, সাইফুল ইসলাম আফতাব, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলল রবীন্দ্রনাথ নজরুল লালনের
  • চড়ক মেলায় মেতে উঠেছিল নাটোরের শংকরভাগ 
  • কুমারখালীতে অন্যরকম আনন্দ শোভাযাত্রা
  • নববর্ষেও বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ: দুলু
  • হালখাতা আছে, নেই নিমন্ত্রণ
  • মারমাদের মাহা সাংগ্রাই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
  • ‌‘তৌহিদী জনতার’ চিঠিতে বাতিল হলো শেষের কবিতা নাটকের প্রদর্শনী
  • রাষ্ট্র ও সমাজকে পথশিশুদের প্রতি মানবিক হতে হবে
  • চন্দনাইশের ‘হাতপাখা’ গ্রামে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা