খাগড়াছড়িতে পানি খেলায় মাতলেন মারমা তরুণ-তরুণীরা
Published: 14th, April 2025 GMT
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বৈসাবিকে ঘিরে পুরো খাগড়াছড়ি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দের রং। উৎসবের জোয়ারে ভাসছে পুরো জনপদ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে মারমা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব। এ উপলক্ষে জেলা সদরের পানখাইয়াপাড়া বটতলা থেকে সাংগ্রাই র্যালি বের করেন তারা। এতে মারমা নারী-পুরুষরা অংশ নেন। সাংগ্রাই এর প্রধানতম আকর্ষণ জলকেলি বা পানি উৎসব।
সকালে শুরু হওয়া র্যালিটি পানখাইয়াপাড়া বটতল হয়ে শহরের শাপলা চত্বরের সামনে দিয়ে কোট বিল্ডিং ঘুরে মারমা উন্নয়ন সংসদের কার্যালয়ের মাঠে গিয়ে শেষ হয়। নেচে গেয়ে খাগড়াছড়ি শহরকে এসময় উৎসবমুখর করে তোলেন মারমা তরুণ-তরুণীরা। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মোহাম্মদ আমান হাসান।
আরো পড়ুন:
ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’ উৎসব শুরু
তারুণ্যের উৎসব
রাজশাহীতে সমতল ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সম্প্রীতি সমারোহ
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা লিলিপ্রু মারমা বলেন, “সাংগ্রাই আমাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব। আমরা সারা বছর এইদিনের অপেক্ষায় থাকি। এদিনে আমরা জলকেলি খেলে একে অপরকে পানি ছিটিয়ে নিজেদের পরিশুদ্ধ করে নতুন বছরকে বরণ করি। জলকেলি উৎসবে সব বয়সী মারমারা অংশ নেন। মূলত তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহনই বেশি থাকে। নেচে গেয়ে আমরা উল্লাস করি।”
খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার শরীফ মোহাম্মদ আমান হাসান বলেন, “প্রতি বছর এখানে পানি খেলা হয়। এই পানি খেলা শুধু মারমাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এখানে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা বাঙ্গালিসহ সবাই অংশগ্রহণ করে উৎসব করেন। আমি মনে করি, এটি একটি সাম্প্রদায়িক মিল বন্ধন।”
খাগড়াছড়িতে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্নিল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল প্রঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে পাহাড়ি, বাঙালিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, পুলিশ সুপার মো.
ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুড়ি উৎসব
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী। এ সময় তিনি বলেন, ঘুড়ি উৎসব উদযাপন আবহমান গ্রামীণ বাংলার একটি ঐহিত্য। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের অংশগ্রহণে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম বলেন, চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুরে উড়ানো বিষয়টা অনেক ভালো লাগে। যখন বাসায় ছিলাম চৈত্র মাসে ঘুড়ি উড়াতাম। এই প্রথম দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই।
মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর শেখ মাজেদুল হক বলেন, বেরোবিতে চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি সেই শৈশবে ফিরে গিয়েছি। যখন এক টাকায় একটি রঙিন ঘুড়ি কিনতাম। একজন আরেকজনের ঘুড়িটাকে কেটে দিতাম। এখন এই নীল আকাশে নীল সাদা রঙের ঘুড়ি উড়ছে যেন মনে হয় এটা একটি ঘুড়ি নয়। এটা একেকটা স্বপ্ন, আশা আকাঙ্ক্ষা। এসব উদ্যোগ দেখে মনে হচ্ছে এটা বাঙালির ঐতিহ্য। আজকের দিনটি আমার বারবার মনে থাকবে। এটিতে যেন শৈশবে ফিরিয়ে দিয়েছে আমাকে।
উপাচার্য জানান, পহেলা বৈশাখে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বাঙালি সমাজের সংস্কৃতি তথা উত্তরবঙ্গের কৃষ্টি কালচার তুলে ধরা হবে। এছাড়া ২২টি বিভাগের আয়োজনে বৈশাখী মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঘুড়ি উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।