আমরা তখন খুব ছোট। ততটুকু ছোট, যতটুকু ছোট থাকলে পড়াশোনার কোনো বালাই থাকে না। সারা দিন খেলা করেই যে বয়সে সময় কেটে যায়। তখন দেখতাম, বৈশাখ এলেই বাড়িতে উৎসব লেগে যেত।
আমার চাচারা ব্যবসা করতেন। বাড়ির সঙ্গে লাগানো বড় দোকান ছিল তাঁদের। এখনকার মতো এত এত দোকান তখন ছিল না। দু-চার গ্রামের মানুষ এসে জিনিস কিনতেন আমাদের বাড়ির দোকান থেকে। সেই দোকানে নগদ কেনাবেচা চলত, বাকিও পড়ত। নতুন বছরের হিসাব শুরু করার জন্য আয়োজন করা হতো হালখাতার।
চৈত্র মাসের শেষ সন্ধ্যায় বাড়িতে ময়রা নিয়ে আসা হতো। ময়রার সঙ্গে তাঁর দু-তিনজন সহকারীও থাকতেন। তাঁরা বিশাল লোহার কড়াইয়ে মাটির চুলায় দুধ জ্বাল দিতেন। তারপর সেই দুধ থেকে তৈরি হতো ছানা। ছানার পানি ঝরানোর জন্য গামছায় পুঁটলি বেঁধে খুঁটিতে ঝুলিয়ে রাখা হতো। রাত ধরে চলত সাদা রসগোল্লা আর হলুদ-কমলা বুন্দিয়া বানানোর কাজ।
হালখাতা উপলক্ষে আগের দিনই রঙিন পাতলা কাগজ কেটে দোকান সাজানো হতো। তারও কয়েক দিন আগে থেকে চলত দোকান সাফসুতরো করে জিনিস সাজানোর কাজ। দোকানের সামনে অভ্যাগতদের বসার জন্য বেঞ্চ আর চেয়ার পাতা থাকত। নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন কাপড় পরে চাচারা দোকানে বসতেন। তাঁদের সামনে থাকত লাল কাপড়ে বাঁধাই করা নতুন হিসাবের খাতা। পুরোনো খাতা দেখে হিসাব করে নতুন খাতায় নাম তোলা হতো। সবাই যে সব বাকি শোধ দিতেন, তা নয়; বরং বেশির ভাগ লোককেই দেখতাম কিছু টাকা বাকি রাখতে। সেদিন দোকানে যিনিই আসতেন, তাঁকেই বাটিতে মিষ্টি খেতে দেওয়া হতো। কারও কারও হাতে ঠোঙায় করে মিষ্টি দিয়ে দিতেও দেখেছি।
সকালের দিকেই দোকানে ভিড় থাকত বেশি। দুপুরের পর ছোটদের মনোযোগ চলে যেত মেলার দিকে। মেলার কথা পাড়তেন বড়রাই। বলতেন, বাজারে মেলা বসেছে। যে বাজার অন্য দিনগুলোয় ছিল কয়েকটি দোকানমাত্র, মেলার দিন সেখানেই অন্তত পঞ্চাশজন নতুন লোক বসতেন পসরা নিয়ে। দুপুরের খাওয়ার পর, সূর্য একটু হেলতেই, সবাই দল বেঁধে যেতাম বৈশাখী মেলায়। দলে ছোটরাই বেশি। আলাদা করে মা-ফুফুরাও যেতেন। অনেকখানি পথ হেঁটে মেলায় যেতে হতো। তবে ‘মেলায় যাচ্ছি’, এই আনন্দে সেই পথ পাড়ি দিতে কষ্ট হতো না।
মেলায় আমার নজর থাকত ডালের তৈরি পাতলা গোল পাঁপড়ের দিকে। ছোট লোহার কড়াইয়ে পাঁপড় ভাজা হতো। ৫ পয়সায় একটা পাঁপড় পাওয়া যেত। মেলায় অনেকে বসতেন জিলাপি, গজা, বাতাসা, কদমা—এসব নিয়ে। সব খাবারের দোকান মেলার একদিকে বসত। মেলার বাকি অংশজুড়ে থাকত নানা রকম পসরা। বেশির ভাগ দোকানি পণ্য নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে আসতেন। তাঁরা মাটিতে বসেই জিনিস বেচাবিক্রির কাজ করতেন। মেলায় মাটির হাঁড়ি, হাতি, ঘোড়া, পুতুল বিক্রি হতো। কাঠের ঢেঁকি, ঘোড়া—এসবও পাওয়া যেত। পাওয়া যেত চুড়ি, ফিতা, আলতা। বাঁশ ও বেতের জিনিস, বাঁশি, হাতপাখা, কাগজের ফুলও বিক্রি হতো। ছোট-বড় সবার বিশেষ আকর্ষণ ছিল চক্রাকারে ঘোরা নাগরদোলার দিকে।
বৈশাখ উদ্যাপনের অনেক রীতি এখনো দেখা যায়। সময়ের বদলের কারণে বৈশাখী মেলায় অনেক পণ্যের বদল ঘটেছে। তা ছাড়া হালখাতার বাস্তব প্রয়োজনও কমেছে। এখন শহর ও গ্রামের যেসব দোকানে হালখাতা করা হয়, তা মূলত ঐতিহ্যের অনুকরণ। এসব রীতিনীতি ও অনুষ্ঠান কবে থেকে শুরু হলো, খুব নির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। ঐতিহাসিক নানা সূত্র বলে, মোগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে নতুন বর্ষগণনা পদ্ধতি চালু হয়। এর সঙ্গে খাজনা পরিশোধের একটা সম্পর্ক আছে। এই সূত্র ধরেই পরে হালখাতা ও পুণ্যাহ চালু হয় বৈশাখ মাসে। নতুন বছরে মেলা আয়োজনের ব্যাপারটিও মোগল আমলের, তবে এটি আরেকটু আগের।
কারও কারও ধারণা, রাজা শশাঙ্কের রাজ্যভার গ্রহণের সঙ্গে বাংলা সনের সম্পর্ক আছে। খ্রিষ্টীয় সাল থেকে বাংলা সন বিয়োগ করলে পাওয়া যায় ৫৯৩। ইতিহাস বলে, খ্রিষ্টীয় ছয় শতকের শেষভাগে কিংবা সাত শতকের প্রথম ভাগে শশাঙ্ক বাংলার রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। তাই মনে হতে পারে, ছয় শতকের শেষ থেকে বাংলা সনের সূচনা হওয়া অসম্ভব নয়। কিন্তু এর পক্ষে সংখ্যা ছাড়া আর কোনো জোরালো মত নেই। বরং আকবরের জীবনী ও অন্যান্য সমর্থন থেকে নতুন সাল গণনার সূত্র পাওয়া যায়। আকবরের আমলে সংস্কার করা সালই বাংলা অঞ্চলে বঙ্গাব্দ বলে পরিচিত হয়।
আকবর সিংহাসনে আরোহণ করেন ১৫৫৬ সালে। এর ৩০ বছর পর তাঁর উৎসাহেই ‘তারিখ-ই-ইলাহি’ প্রবর্তিত হয়। জ্যোতির্বিদ ফতেউল্লাহ শিরাজি নতুন সাল গণনার পদ্ধতি তৈরি করে দেন। অনেকে এটিকে ফসলি সনও বলেন। কারণ, ফসল তোলার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এর হিসাব করা হয়। এর আগপর্যন্ত সরকারি কাজকর্মে হিজরি সনের ব্যবহার দেখা যায়। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে খাজনাও আদায় করা হতো। হিজরি সন সৌরবর্ষের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না, প্রতিবছর ১০ দিন করে কমতে থাকে। আর চাষবাসের কাজে কৃষকেরা অনুসরণ করতেন প্রচলিত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসের হিসাব। সম্রাট আকবর চেয়েছিলেন, সৌরবৎসরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে রাজস্ব আদায় করতে। কারণ, তখন অর্থনীতি ছিল কৃষিনির্ভর। আর কৃষকেরা খাজনা পরিশোধ করতেন ফসল দিয়ে।
খুব সম্ভব শকাব্দের সঙ্গে হিজরি সনের একটা সমন্বয় করা হয়। কারণ, ভারতবর্ষে তখন শকাব্দের প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। কাব্যরচনার ক্ষেত্রে কবিরা অনেক সময়ে হেঁয়ালি দিয়ে সালের কথা বলেছেন। সেখানেও শকাব্দের প্রাধান্য। শকাব্দেও বঙ্গাব্দের মতো বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়—এ রকম বারোটি মাস রয়েছে। তবে শকাব্দের বছর শুরু হয় চৈত্র দিয়ে, আর বাংলা সনের শুরু বৈশাখে। যত দূর জানা যায়, একসময় বছর শুরু হতো অগ্রহায়ণ মাসে। অগ্র মানে শুরু, আর হায়ণ মানে বছর। এই নাম থেকেই ধারণাটি আরও জোরালো হয়। আকবরের প্রবর্তিত ‘তারিখ-ই-ইলাহি’ ভারতের বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত হয়েছে। কিছু কিছু পার্থক্যও আছে এসব সালের মধ্যে। তবে পাঞ্জাবি, মারাঠি, গুজরাটি, তামিল, বাংলা—সব সালেই মাসগুলোর নাম অভিন্ন।
গত শতকের পঞ্চাশের দশকে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা বাংলা সন সংস্কারের সুপারিশ করেন। তিনি এই কাজে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানকে ব্যবহার করেন। তাঁর মতের ওপর ভিত্তি করে পরের দশকে বাংলাদেশে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বাংলা সনের আরেক দফা সংস্কার হয়। এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন ড.
সাল গণনায় যে সমস্যাই থাক, বৈশাখ উদ্যাপনে সর্বসাধারণের আনন্দের ঘাটতি থাকে না। এই উৎসবকে বাঙালি সর্বজনীন উৎসব বলে মনে করে। দেখা গেছে, সুলতানি আমল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে নববর্ষ উদ্যাপনে শাসকেরা পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। ফলে আয়োজন আরও জাঁকজমকপূর্ণ হয়েছে।
বৈশাখের সবচেয়ে আনন্দময় উদ্যাপন বৈশাখী মেলা। এই মেলার সূত্র পাওয়া যায় ‘নওরোজ’ পালনের মধ্যে। নওরোজ হলো ইরানি শাসকদের তত্ত্বাবধানে নতুন বছর উদ্যাপনের একটি প্রাচীন ধারা। এতে ছয় দিন ধরে উৎসব পালন করা হতো। আকবরের বাবা হুমায়ুনের সময় উত্তর ভারতে নওরোজ পালনের রেওয়াজ দেখা যায়। সেই ধারায় সম্রাট হুমায়ুন রাজপুরীর ভেতরেই মীনাবাজার বা রকমারি পণ্যে দোকান সাজানোর আয়োজন করতেন।
বৈশাখে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বার্ষিক মেলা আয়োজন হতে দেখা যায় বহু বছর ধরে। এই মেলা এক দিন, তিন দিন, সাত দিন, এমনকি মাসজুড়ে হয়। মেলা উপলক্ষে নাচগান, যাত্রাপালা ও খেলাধুলার আয়োজনও থাকে। সুলতানি আমলে ঢাকায় নতুন বছরে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রমাণ মেলে। এ ছাড়া কালের পরিক্রমায় বিভিন্ন জায়গায় পায়রা ওড়ানো, ঘোড়া ও গরুর দৌড়, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগলড়াই, পুতুলনাচ, বলীখেলা জনপ্রিয় হয়েছে।
বাংলা নববর্ষের আনুষ্ঠানিক আয়োজনের সঙ্গে পুণ্যাহ নামটিও জড়িয়ে আছে। ‘পুণ্যাহ’ জমিদারদের খাজনা আদায়ের অনুষ্ঠান। জমিদার ও তালুকদারদের কাছে অনুষ্ঠানটির বিশেষ গুরুত্ব আছে। আকবরের শাসনক্ষমতার শেষ দিকে পুণ্যাহ আয়োজন হতে থাকে বৈশাখ মাসে। মাসজুড়েই খাজনা আদায় হতো। গরিব প্রজার কাছে এটি জনপ্রিয় হয়নি। জমিদারি ব্যবস্থার অবসানের পর গত শতকের বিশের দশক থেকে পুণ্যাহ আয়োজনের অবসান ঘটতে থাকে। তবে পুঁজির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে হালখাতা আরও জনপ্রিয় হয়েছে। হালখাতার মধ্য দিয়ে মানুষের সামাজিক সম্পর্কও গাঢ় হয়েছে।
দেশে দেশে নতুন বছর পালনের নানা রকম রীতি দেখা যায়। আজ বাংলা নববর্ষ ও পয়লা বৈশাখ একই অর্থপ্রকাশক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় নতুন বছর উদ্যাপনের যে রীতি চালু হয়, তার সঙ্গে ঋতুপরিক্রমার একটি ব্যাপার রয়েছে। ঋতুর সঙ্গে বর্ষগণনার যেমন সম্পর্ক আছে, তেমনি সম্পর্ক আছে উৎসব পালনের। উৎসবের মধ্য দিয়ে মানুষ জাতি-পরিচয়ের সম্পর্কসূত্র অনুভব করে, অনুভব করে ঐতিহ্যকে ধারণ করার গৌরব।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আকবর র র একট শতক র করত ন
এছাড়াও পড়ুন:
আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলা সাহিত্যের অমর কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, ফকির লালন সাঁই, মুঘল সম্রাট আকবর, গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথসহ অন্তত ৩৮ জন বিখ্যাত মনীষীর। তবে তারা আসল নয়, ডামি। ডামি হলেও তাদের মাধ্যমে দারুণভাবে ফুটেছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের চেহারা ও অবয়ব। তাদের দেখে মুগ্ধ নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরা।
এছাড়াও শোভাযাত্রায় বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের সচিত্র দেখা গেছে।
সোমবার সকালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে এমন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল সাগে ৯টায় কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমি থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে উপজেলা প্রশাসন। আনন্দ শোভাযাত্রাটি হলবাজার, গণমোড়, থানামোড়, গোলচত্বর, উপজেলা সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়ামে চত্বরে শেষ হয়। পরে সেখানে দই চিড়া খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমীর ১২৫ জন সংগীত ও নৃত্যশিল্পী নেন এবং শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুহিনা ইসলাম প্রজ্ঞা বলেন, বৈশাখী শোভাযাত্রায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিয়ারী সুন্দরী, কাজী মিয়াজান, মীর মশাররফ হোসেনসহ অসংখ্য মনীষীদের দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে।
কলেজ ছাত্র শুভ মোল্লা বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি জাঁকজমক হয়েছে আয়োজন। বন্ধুরা মিলে খুবই আনন্দ করছি।
সুবর্ণা খাতুন নামের এক শিশু জানায়, পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে নৃত্য করেছি। দই চিড়া খেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।
প্রায় ১৮ ধরে বৈশাখের শোভাযাত্রায় মীর মশাররফ হোসেনের ডামি চরিত্রে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান মানু। তিনি বলেন, প্রতি বৈশাখে একই চরিত্রে থাকি। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে। যতদিন বাঁচি, এ চরিত্রেই থাকতে চাই।
আধুনিকতার বাইরে এসে যেন বাংলা সংস্কৃতি ধরে রাখতে পারি। সেজন্য সম্রাট আকবরের ডামি সেজেছিলাম। কথাগুলো বলছিলেন চয়ন শেখ।
পরিচয় জানতেই 'বল বীর, বল উন্নত মম শির! শির নেহারি আমারই নত শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!' কবিতার কয়েকটি লাইন বলতে থাকেন পান্টি এলাকার মিলন হোসেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ডামি ছিলেন।
নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির ইতিহাস ঐহিত্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের পরিচিত করতে রবীন্দ্রনাথ, মশাররফ, কাঙাল, বাঘা যতীনসহ ৩৮টি ডামি চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা, ২৪ এর গণ অভ্যর্থান, প্যালেস্টাইনের চিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানান ডামি পরিচালক কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাস বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রায় বিখ্যাত ব্যক্তি ও মনীষীদের চরিত্র দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। তা দেখে মুগ্ধ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। ডামি ছাড়াও চিড়া দই খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।