শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ককটেল বিস্ফোরিত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) জাজিরা থানার ওসি দুলাল আখন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ওই দুই নেতা আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের অনুপস্থিতিতে এখন স্থানীয় পর্যায়ে পক্ষ দুইটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।

আরো পড়ুন:

নলকূপের পানি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

সিরাজগঞ্জে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, বিএনপির ২ নেতার পদ স্থগিত

গতকাল রবিবার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

সংঘর্ষের কিছু অংশ স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ডবন্দি হয়। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চার মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর নিক্ষেপ করছে। 

জাজিরা থানার ওসি দুলাল আখন্দ বলেন, ‍“গতকাল দুইটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জানতে পেরেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ককট ল ব স ফ র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মিরসরাইয়ে আ.লীগের তিন নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, আহত ২

মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের তিন নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত করেরহাট ইউনিয়নের ভালুকিয়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল হোসেন ও পশ্চিম জোয়ার গ্রামের বাসিন্দা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসীমের বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। হামলা ও ভাঙচুরের সময় দুর্বৃত্তদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করায় কামরুলের মা রাশেদা আক্তার (৬০) ও তার মামা আইনুল কবিরকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হোসেনের এক চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী জানান, সোমবার দেড়টার দিকে প্রথমে চারটি মোটরসাইকেল ও দুইটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ১৮-২০ জনের দুর্বৃত্তের দল বাড়ির প্রধান ফকট টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে। এদের সবার মাথায় হেলমেট মুখে মাস্ক পড়া ছিল। এসময় কামরুলের মা রাশেদা আক্তারকে তিনি ও কামরুলের মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী রান্নার কাজে সহযোগীতা করছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। ঘরের সব ধরণের আসবাবাপত্র ভাঙচুর ও আলমারি ভাঙচুর করে স্বর্ণালংকার, মোবাইলফোন ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। 

তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে কামরুল বাড়িতে থাকেন না। 

পশ্চিম জোয়ার গ্রামের এক বাসিন্দা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, জুলাই আন্দোলনে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সাঊেশ উপজেলা চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন ও করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসীম বাড়িতে থাকেন না। সোমবার দুপুরে ১৮-২০ জনের একটি দল বাড়িতে এসে তাদের ঘরে ভাঙচুর চালিয়ে সব কিছু তছনছ করে দেয়।

সরেজমিনে ভালুকিয়া ও পশ্চিম জোয়ার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কামরুল হোসেনের ঘরের সাতটি কক্ষ, রান্না ঘর ও তিনটি বাথরুমে থাকা সব ধরণের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তছনছ করে দিয়েছে। ঘরের আলমারির দরজা ভেঙ্গে কাপড় চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে। এসময় তারা এক জোড়া স্বণের ছুড়ি, দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানান কামরুলের চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী। 

ঘটনার পর কামরুলের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভয়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে চলে গেছে। এনায়েত হোসেন ও জসীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নয়নের ঘরের একটি কক্ষ ও জসীমের ঘরের তিনটি কক্ষে হামলা চালিয়ে সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। তাদের ঘরে গিয়ে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।

ভালুকিয়া গ্রামের রুহুল আমিন নামে এক বৃদ্ধ জানান, তারা গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। এসময় কামরুল হোসেনের বাড়িতে শোর চিৎকার শুনে মসজিদ থেকে তারা গ্রামের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখেন ঘরের সব ভাঙচুর করা হচ্ছে। তবে কারা ভাঙচুর করেছে সেটা জানেন না।
 
জোরারগজ্ঞ থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির আহম্মদ সেলিম জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা তিনি জেনেছেন। কিন্তু লুটপাটের বিষয়টি ঠিক নয়। তবে হামলার ঘটনা নিয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় নকলের অভিযোগে ১১ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার
  • কলমাকান্দায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মুদি দোকানি গ্রেপ্তার
  • জামালপুরে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
  • মিরসরাইয়ে আ.লীগের তিন নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, আহত ২
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিশোরগ্যাংয়ের হামলা, আহত ৪
  • শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ
  • জাজিরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আবারও ‘খইয়ের মতো’ ফুটল ককটেল
  • ওসির ‘অনিয়মে’ জনতা অতিষ্ঠ, ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের আশ্বাস
  • ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবিতে গাজীপুরে গার্মেন্টস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা