কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৫) নামে এক যুবককে অপহরণ করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ ঘটনায় অপহরণকারী দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। 

জানা যায়, মোহাম্মদ দেলোয়ার মারিশবনিয়া এলাকার মৃত আব্দুল করিম মিস্ত্রীর ছেলে।

সোমবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফের বাহারছড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ। 

তিনি বলেন, সকালে এলাকার তিনজন মিলে পাহাড়ে ছন আনতে যায়। ওই সময় সশস্ত্র গোষ্ঠী ধাওয়া করে একজনকে ধরে নিয়ে যায়। অপর দুজন কোন রকম পালিয়ে এসেছে। এরপর দুপুরে অপহরণকারীরা অপহৃত পরিবারের কাছে ফোনে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। 

এ বিষয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) শুভ রঞ্জন সাহা বলেন, এক যুবক অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় পুলিশ কাজ করছে। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি আমরা অবগত নই।

এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত ১৫ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্য বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কন ফ

এছাড়াও পড়ুন:

অপহরণের ৩ দিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার  

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অপহরণের তিন দিন পর সাব্বির হোসেনের (১৬) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম এলাকার পরিত্যক্ত টয়লেটের ভিতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অপহৃত কিশোর সাব্বির হোসেন উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সাব্বির একই ইউনিয়ন বিশুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে সাব্বিরের দুই বন্ধু রামনাথপুর গ্রামের আব্দুল ছাত্তারের ছেলে রবিউল ইসলাম (১৮) ও বিশুবাড়ি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আব্দুল আলিম (১৮) বেড়ানোর কথা বলে সাব্বিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কের সাহেবগঞ্জ বাজার এলাকায় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মূল অপহরণকারী ইউনুস আলীসহ কয়েকজন তাকে মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। রাত ঘনিয়ে এলেও সাব্বির বাসায় না ফেরায় তার দুই বন্ধু রবিউল ও আব্দুল আলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা টাকার বিনিময়ে সাব্বিরকে ইউনুস আলীর হাতে তুলে দেয় বলে স্বীকার করে। এ সময় সাব্বিরের পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রবিউল ও আলিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 

আরো পড়ুন:

শেরপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সেবায় ছাত্রদল

তিয়ানশির জালে কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা, স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা

নিহতের স্বজনরা জানান, গত শনিবার দুপুরে সাব্বিরের দুই বন্ধু বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার (১৫ এ্রপ্রিল) সকালে পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে সাব্বিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে ওরা বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’’ 

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, দুদিন আগে সাব্বির নামে এক কিশোরকে অপহরণের অভিযোগ পান। ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রবিউল ও আলিম নামের দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর কবিরুল নামের আরো একজনকে আটক করা হয়। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুরের বিশুবাড়ি গ্রামে।

ওসি আরো বলেন, কিছুক্ষণ আগে মূল অপহরণকারী ইউনুস আলীকে (৩৫) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ইউনুস আলী পার্শ্ববর্তী শালমারা ইউনিয়নের তরফকামাল গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/মাসুম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় অপহরণের চার দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
  • অপহরণের ৩ দিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার  
  • পাহাড়ে শণ কাটতে গিয়েছিলেন যুবক, অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
  • অপহরণকারী আখ্যা দিয়ে বাবাকে পেটাচ্ছিল, পাশে কাঁদছিল শিশু রাইসা
  • মেয়েলি কণ্ঠে সম্পর্ক করে অপহরণ, যুবক গ্রেপ্তার
  • যশোর থেকে অপহৃত যুবক গোপালগঞ্জে উদ্ধার, অপহরণকারী আটক
  • টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় দিনমজুর অপহৃত
  • মায়ের জন্য কাঁদছিল শিশুটি, অপহরণকারী ভেবে বাবাকে পেটালেন জনতা
  • স্কুলছাত্রী অপহরণের মামলা করায় পরিবারকে হুমকি