শেষবার কবে আপনি আপনার ফোনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের কাছে আবহাওয়ার খবর জানতে চেয়েছিলেন? অথবা টেক্সট বার্তায় কোনো বানান ভুল ঠিক করতে অটোকরেক্টের সাহায্য নিয়েছিলেন, তা কি মনে আছে? সেই মুহূর্তে যন্ত্রটি আর নিছক একটি নিষ্ক্রিয় সরঞ্জাম ছিল না। সেটি যেন এক সহায়ক সহকর্মীর মতোই আপনার ছোট্ট একটি কাজে সাহায্য করেছিল। বিশ্বজুড়ে এবং বাংলাদেশেও এখন এমন ঘটনা ক্রমেই বেশি দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু ডিজিটাল যন্ত্র সাধারণ হাতিয়ার থেকে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। অর্থাৎ, মানুষ এখন যন্ত্রকে আর শুধু ব্যবহারই করছে না, বরং তাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছে বন্ধু ও সহযোগীর মতো।
মানব–ইতিহাসের বেশির ভাগ সময়জুড়ে যন্ত্র ছিল বাধ্য কর্মচারীর মতো। আমরা বোতাম চাপতাম আর যন্ত্র নির্দিষ্ট একটি কাজ করত। যেমন ক্যালকুলেটর শুধু সংখ্যা গণনা করত, কম্পিউটারও নির্দিষ্টভাবে প্রোগ্রাম করে দেওয়া কাজটাই করত। অন্য যন্ত্রগুলোকেও শুধু কী করতে হবে বললে হতো না; কীভাবে করবে, প্রতিটি ধাপ বলে দিতে হতো। কিন্তু আজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অগ্রগতির ফলে যন্ত্রগুলো শেখার ও মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করেছে। এর মানে, আগেকার বাধ্য কর্মচারী মতো ধাপে ধাপে নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা না করে যন্ত্র এখন একটি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং পারস্পরিক ও পারিপার্শ্বিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা শিখছে।
শিক্ষাক্ষেত্রেও এআই হাত বাড়িয়ে সহায়তা করছে। বাংলাদেশের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন শিক্ষা সফটওয়্যার (ইন্টেলিজেন্ট টিউটরিং সিস্টেম) প্রতিটি শিশুর জন্য উত্তর-প্রত্যুত্তরের মাধ্যমে শিশুর ব্যক্তিগত সক্ষমতার স্তর অনুযায়ী প্রতিটি বিষয় সাজিয়ে দিতে পারে। এর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দিক হচ্ছে শিশুটি যত বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিক্ষা সফটওয়্যারটির ব্যবহার করবে, সফটওয়্যারটিও শিশুটির বিষয়ভিত্তিক সক্ষমতার স্তরগুলো অধিকতর বিশ্লেষণ করে তার জন্য বিশ্বস্ত ও চাহিদা অনুযায়ী উপযোগী হয়ে উঠবে।
যন্ত্রগুলো সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক সুযোগও নিয়ে আসছে। এগুলো একঘেয়ে বা বিপজ্জনক কাজ নিজের কাঁধে তুলে নিতে পারে। সেকেন্ডের মধ্যে বিশাল ডেটা সেট বিশ্লেষণ করতে পারে। এমনকি সৃজনশীল ধারণাও দিতে পারে। ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং উদ্ভাবনে গতি সঞ্চার হয়।
তবু বিশ্লেষকদের মতে, এআই এখনো কোনো একটি কাজ শতভাগ করার মতো কৌশল আয়ত্ত করতে পারেনি। সে শুধু আংশিক কাজই করতে পারে। একটি গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে, প্রযুক্তি দিয়ে মোট কাজের মাত্র ৫ শতাংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা সম্ভব। অধিকাংশ পেশায় এখনো কাজের বড় অংশের জন্য প্রয়োজন হয় মানুষের সরাসরি হস্তক্ষেপ। তবে মানুষের বিকল্প হিসেবে যন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত করা বা যন্ত্রের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পরিবেশ তৈরিতে ব্যস্ত প্রযুক্তিবিদেরা।
অবশ্য যন্ত্রের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীলতায় উদ্বেগ অনেক। যেমন জবাবদিহির প্রশ্নে যদি কোনো স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ভুল করে, তবে দায় কার ওপর পড়বে? এ ধরনের প্রশ্ন এখনো আলোচনা ও বিতর্কের বিষয় হয়ে আছে। মানব-রোবট সহযোগিতার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম্যাথিয়াস ক্লাম্প উল্লেখ করেছেন, ‘বিপুল হারে চাকরি হারানোর ব্যাপারে অতিরিক্ত ভয় আমাদের দৃষ্টিতে যথার্থ নয়।’ তাঁর বিশ্বাস, এআই চাকরি বিলুপ্ত না করে বরং কাজের প্রকৃতি পরিবর্তন করবে। রুটিন কাজগুলো এআই দিয়ে করানো যাবে। আর মানুষ মনোযোগ দেবে সেই কাজগুলোয়, যেগুলো যন্ত্র ভালো পারে না।
সৃজনী শক্তির কথাই ধরুন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যত ভালো কাজই করুক না কেন, মানুষের চেয়ে বেশি সৃজনশীল হতে পারেনি। আর এটিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর মানুষের সক্ষমতার মধ্যে বিস্তর পার্থক্যরেখা টেনে দেয়। এ জন্য এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন কিছু চিন্তা করা ও ভবিষ্যতে ভালো ফল পাওয়ার জন্য সৃজনশীল কর্মীর সন্ধান করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক কাজের একক সমাধান হলেও মানবমস্তিষ্কের সাধারণ বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ভবিষ্যতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সৃজনীক্ষমতা সংযোজন করতে পারলে তা নিশ্চয়ই চমৎকার হবে। তবে সেটি পরিপূর্ণ মানুষের প্রতিস্থাপন করার পরিবর্তে মানুষের সহকারী হিসেবে কাজ করবে। আবার জটিল চিন্তাশক্তির ক্ষেত্রে তা কেমন হতে পারে, তা ভাবার বিষয়।
চারপাশে তথ্য-উপাত্তের কোনো কমতি নেই। কিন্তু সেগুলো যাচাই-বাছাই করে বিশ্বস্ত উৎস নির্বাচন করার ক্ষমতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেই। সর্বত্র যখন মিথ্যা, প্রতারণা ও গুজবের ছড়াছড়ি, তখন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই জটিলভাবে চিন্তা করে সঠিকতা খুঁজে বের করার জন্য এমন দক্ষ কর্মী চায়, যারা তথ্যের গুণগত বিষয় যাচাই করে নির্ভুল উৎস বাছাই করার ক্ষমতা রাখে। জটিল চিন্তার দক্ষতা মানে কেবল নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকার পরিবর্তে বিশ্বস্ততাকে বোঝায়। আর এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে এখনো আশা করা যায় না।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করা গেলেও কোন তথ্য দিয়ে কী নির্দেশ করে, তা বিচার করার ক্ষমতা কেবল মানুষেরই আছে। তথ্য বিবেচনা করে কোন সিদ্ধান্তের প্রভাব সমাজের প্রেক্ষাপটে সুফল বয়ে আনবে, তা যন্ত্র বা সফটওয়্যার বুঝবে না। ঠিক একইভাবে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নৈতিকতার মানদণ্ডে কতটুকু ইতিবাচক, তা জানার জন্য মানুষের প্রয়োজন অস্বীকার করার উপায় নেই।
সিদ্ধান্ত প্রায়ই জটিল হয়ে যায়। তাই নির্দিষ্ট তথ্য দ্বারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফলাফল বাতলে দিলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন তথ্য যুক্ত করার ফলে পুনঃসিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সক্ষমতা আছে কেবল মানুষের। অন্যদিকে মানুষের আবেগ সচেতনতা, নিয়ন্ত্রণ ও প্রকাশ করার ক্ষমতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে আলাদা বিশেষত্ব বহন করে। সামাজিক ও মুঠোফোনপ্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণের ফলে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের উপায়কে ভিন্ন করেছে। যার ফলে ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি আসক্তি মানুষের আবেগিক বুদ্ধিমত্তা ও সহানুভূতি কমিয়ে দিচ্ছে। অর্থাৎ প্রযুক্তির উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মানবশক্তি অগ্রাহ্য করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে—এমনটা ভাবা ভুলই বটে।
আবার দেখুন, মানুষের মধ্যে রাগ, ভয়, ঘৃণা, ভালোবাসার মতো অনুভূতি রয়েছে। কিন্তু রোবট মানুষের বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সৃষ্ট। তারা মানুষের মতো দেখতে ও কথা বললেও এর মধ্যে অনুভূতি বলে কিছু নেই। সে চিন্তা করবে কীভাবে? এটি চলে প্রোগ্রাম দিয়ে। এর ভেতর যতগুলো প্রোগ্রাম সেট করা থাকে, ততটুকুই সে করবে। এর বাইরে কিছুই না। অর্থাৎ একজন মানুষ হয়তো একটি আদর্শ রোবট বানাতে পারে, কিন্তু একটি রোবট একজন আদর্শ মানুষ বানাতে পারবে না।
তবু যন্ত্রের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎকে কাজে লাগাতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নেওয়াই হবে ভবিষ্যৎ সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তাই স্কুলগুলোয় কেবল মৌলিক কম্পিউটার দক্ষতাই নয়, এআইয়ের সঙ্গে কাজ করার কৌশলও রপ্ত করাতে হবে। কারণ, যন্ত্র আর নিছক বুদ্ধিহীন যন্ত্রপাতি নয়। মানুষ ও যন্ত্র পরস্পরের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একসঙ্গে কাজ করার এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন ‘মানুষ বনাম যন্ত্র’ নয়, বরং ‘মানুষ ও যন্ত্র একসঙ্গে’, একে অপরের বিশ্বস্ত সহকর্মী হিসেবে পরিগণিত হয়।
ড.
মতিন সাদ আবদুল্লাহ অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
ড. এম মেসবাহউদ্দিন সরকার অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত র জন য ক জ কর সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমাকে ক্ষমা করো মা’, নিহত হওয়ার আগমুহূর্তে কেন বলেছিলেন রিফাত রাদওয়ান
ছেলের শেষ কথাটা মা ঘালিয়া রাদওয়ানকে তাড়িয়ে বেড়ায়। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ঠান্ডা মাথায় গুলিবর্ষণে নিহত ২৪ বছর বয়সী রিফাত রাদওয়ানের শেষ কথা ছিল, ‘আমাকে ক্ষমা করো মা।’
গত ২৩ মার্চ এক উদ্ধার মিশনে থাকার সময় এই তরুণ স্বাস্থ্যকর্মীকে তাঁর আরও ১৪ সহকর্মীর সঙ্গে গুলি করে মারা হয়। শেষনিশ্বাস ত্যাগ করার আগমুহূর্ত পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাদের হামলার বিবরণ রেকর্ড করে গেছেন তিনি।
রিফাত মায়ের কাছে ওই ক্ষমা চেয়েছিলেন এ উদ্দেশ্যে যে, এতে হয়তো তাঁর মৃত্যুযন্ত্রণা কিছুটা লাঘব হবে। তিনি জানতেন, প্যারামেডিক হওয়ার পর মা তাঁর জন্য প্রতিদিন দুশ্চিন্তায় থাকতেন।
রিফাত মায়ের কাছে ওই ক্ষমা চেয়েছিলেন এ উদ্দেশ্যে যে, এতে হয়তো তাঁর মৃত্যুযন্ত্রণা কিছুটা লাঘব হবে। তিনি জানতেন, প্যারামেডিক হওয়ার পর মা তাঁর জন্য প্রতিদিন দুশ্চিন্তায় থাকতেন।ছেলের ক্ষমা চাওয়ার কথা শোনার পর থেকে অসংখ্যবার সিক্ত নয়নে ঘালিয়া বলেছেন, ‘আমি তোমাকে ক্ষমা করেছি, ছেলে।’ মা ঘালিয়া জানতেন, দক্ষিণ গাজায় আরও ১৪ সহকর্মীর সঙ্গে নিহত হওয়ার আগে রিফাত তাঁর বিবেককে পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন।
মায়ের আশা, তাঁর ছেলে জানতেন, তিনি সব সময়ই তাঁকে ক্ষমা করে এসেছেন।
‘যেন চাকু দিয়ে আমার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে’
২২ মার্চ ভোরে অন্যান্য দিনের চেয়ে খানিকটা দেরিতে ওঠেন ঘালিয়া। ঘুম থেকে জেগে রিফাতকে দেখতে ছুটে যান। কিন্তু আগেই ছেলেটা কাজে বেরিয়ে গেছে।
সেদিন রিফাতের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় ঘালিয়ার মনটা কষ্টে ভরে যায়। বলছিলেন, ‘আগের রাতে সে যখন ঘুমাচ্ছিল, আমি বারবারই তাকে দেখছিলাম।’
২১ মার্চের রাতটা ছিল অন্য দশটা রাতের মতোই। সারা দিন রোজা রেখে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে রিফাত তাঁবুতে আসেন। ইসরায়েলের হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে এই তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।
সাদামাটা ইফতার শেষে মা–বাবার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন রিফাত। পরে সারা দিনের ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েন।
‘(রিফাতের নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনে) আমি হন্যে হয়ে একবার এদিকে গেছি, আরেকবার ওদিকে। কেঁদেছি, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেছি, রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান অভিযান চালাতে ইসরায়েলকে রাজি করানোর চেষ্টা করে গেছে। কিন্তু প্রতিবার তারা (কর্তৃপক্ষ) বলেছে, ইসরায়েল সহযোগিতা করতে সম্মত হয়নি। তা শুনে মানসিক যন্ত্রণায় আমি মূর্ছা গেছি।’ঘালিয়া রাদওয়ান, নিহত স্বাস্থ্যকর্মী রিফাতের মারিফাতের বাবা (৫২) আনোয়ার রাদওয়ান বলেন, ‘রিফাত ঘরে না থাকলে আমি তার জন্য খুবই শূন্যতা অনুভব করি। সব সময় অপেক্ষায় থাকি, কখন ফিরবে, আমরা গল্প করব। আমাদের সঙ্গে গল্প করতে, রাত জাগতে তাকে কখনো ক্লান্ত হতে দেখিনি।’
ঘালিয়া বলেন, ‘ঘরে এলে আমি তার (রিফাত) কাপড় ধুয়ে দিতাম। বিছানা ঠিক করে দিতাম, যেন বিশ্রাম নিয়ে কাজে বেরোতে পারে।’
২২ মার্চ ভোরে কাজে বেরিয়ে যাওয়ার আগে রিফাত সাহ্রি খেতে উঠেছিলেন কি না, নিশ্চিত না হলেও মা ঘালিয়ার ধারণা, তিনি রাতে উঠেছিলেন। সাহ্রি খেয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রোজা শুরু করেন। কাজে যেতে ওই দিন সকাল ছয়টায় রিফাতের সহকর্মীরা এসে তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। সেদিন ঘর থেকে বেরিয়ে রাতে আর বাসায় ফেরেননি রিফাত। এর পরিবর্তে দ্রুত সাড়াদানে নিয়োজিত উদ্ধারকর্মীদের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রে থাকেন।
সহকর্মী ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় মুষড়ে পড়েন অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা