সাইমুল হক, ফয়সাল মাহমুদ, মো. ফরহান, হৃদয় ও মাসুম। তাঁরা বন্ধু। সময়–সুযোগ পেলেই একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করেন। এবারও ছুটির দিনে একসঙ্গে যাচ্ছিলেন বান্দরবানের লামা উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র মিরিঞ্জা ভ্যালিতে। তবে কাছাকাছি গিয়েও পর্যটনকেন্দ্রটি পৌঁছাতে পারেননি তাঁরা। এর আগেই তাঁদের বহনকারী জিপ থেকে ছিটকে পড়ে আহত হন সাইমুল হক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

গত শনিবার রাত সোয়া আটটার দিকে মিরিঞ্জা ভ্যালির আগে লামা-আলীকদম সড়কে জিপ থেকে ছিটকে পড়ে আহত হন সাইমুল। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাইমুল চট্টগ্রামের আনোয়ারা সদরের বাসিন্দা নুরুল হকের ছেলে। তিনি একটি মুঠোফোন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করতেন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে সাইমুলের বন্ধু ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চকরিয়া থেকে জিপে উঠি মিরিঞ্জা ভ্যালিতে যাওয়ার জন্য। লামা-আলীকদম সড়কের হাঁসের দিঘি এলাকা পার হওয়ার পরই পাহাড়ি উঁচুনিচু ও বিপজ্জনক সড়ক। গাড়ি চলার সময় সাইমুল কখনো গাড়িতে ঝুলে, কখনো পেছনে বসে যাচ্ছিল। আমরা তাকে নিষেধ করলেও সে শুনছিল না। মিরিঞ্জা ভ্যালি পৌঁছানোর পাঁচ কিলোমিটার আগে গাড়িটি বাঁক নেওয়ার সময় সাইমুল ছিটকে পড়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছিটকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইমুলের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে। এরপর আমরা আর মিরিঞ্জা ভ্যালি না গিয়ে আহত সাইমুলকে নিয়ে চকরিয়া হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে রাতে চট্টগ্রাম শহরের হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

বন্ধুদের সঙ্গে সাইমুল হক.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হিংসা-বিদ্বেষবিহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অহিংসবাদ, সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষবিহীন দেশ, এটাই আমরা গড়ে তুলতে চাই। এদেশ সবার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবার এই দেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বাস করতে চাই।

আজ রোববার সকালে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ‘সম্প্রীতি ভবন’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত এবং এ জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা করতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। সমগ্র দেশের সম্প্রদায় সম্প্রতি রক্ষার জন্য যা কিছু করতে হয়, সেটা করতে সদায় প্রস্তুত থাকবো।

ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা সবাই মিলে এই দেশ ও জাতিকে একটা শান্তির জায়গা নিয়ে যেতে চাই। গৌতম বুদ্ধের বাণী এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। আমরা এখানে হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না। সবার সমস্ত বিভিন্ন মত থাকতে পারে। অবশেষে আমরা সবাই সবাইকে যেন শ্রদ্ধা করি। একে অপরের বক্তব্য, মতামতকে যেন শ্রদ্ধা করি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে সেই অনুযায়ী কাজ করব।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অহিংসবাদ সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষ বিহীন দেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই একসঙ্গে এখানে সুন্দরভাবে বসবাস করব। এই উদ্দেশ্যেই আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি।

সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আমরা সবসময় এ দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে অত্যন্ত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা একসঙ্গে বাস করি। বাংলাদেশ একটা সম্প্রীতির দেশ। এদেশে হাজার হাজার বছর ধরে সব ধর্ম-বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আমরা শান্তিতে বসবাস করে আসছি। সেটারই একটা প্রতিফলন আজকের এই অনুষ্ঠান। এটা শুধু সম্প্রীতি ভবন ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠান নয়, এখানে আমরা একটা সম্প্রীতির সমাবেশ করেছি। যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ গোত্রের লোকজন আছে। আমরা আমাদের দেশটাকে এভাবেই দেখতে চাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গরমে স্বস্তির পানীয়
  • লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ
  • আংটি পরে জর্জিনা লিখলেন ‘আমিন’, তবে কি বিয়ে করছেন রোনালদো
  • বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল: সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা
  • একসঙ্গে উঠলেন নাগরদোলায়, হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা   
  • হিংসা-বিদ্বেষহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
  • হিংসা-বিদ্বেষবিহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
  • ঘোষণা দিয়ে বন্ধ ক্যাম্পাসে ঢুকছেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা
  • পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে মারামারি, রাজনীতি এবং রক্ত দিয়ে লেখা প্রেমপত্র