ডিএনসিসির বৈশাখী মেলা: শহরের বুকে গ্রামীণ আবহ
Published: 14th, April 2025 GMT
বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনের সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে জড়ো হন অনেকে। তাঁদের পরনে রঙিন পোশাক। সবার চোখে-মুখে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের ছাপ। তাঁদের কেউ কেউ গানের তালে মেতে ওঠেন।
পার্কে চলছে ‘বৈশাখী মেলা ও নগর উৎসব’। আয়োজক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তিন দিনের এই উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার।
বৈশাখী মেলা ও নগর উৎসবের আয়োজক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি).উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, শিকড়ে ফেরা, রঙে রাঙানো একদিন
চৈত্রের শেষ বিকেল। সূর্যটা হেলে পড়েছে পশ্চিম আকাশে। ফিকে হতে শুরু করেছে দিনের আলো। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের নীলাভ আকাশে তখন শত রঙিন ঘুড়ির মেলা। কোনোটা সাদা, কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি। রঙের বৈচিত্র্যের সঙ্গে সঙ্গে ঘুড়ির আকার ও নামেও আছে বৈচিত্র্য। শত শত নারী-পুরুষ, শিশুরা রঙিন ঘুড়ির নেশায় মত্ত।
ঘুড়ি নিয়ে কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা ওড়াতে ব্যস্ত। আবার কারও কারও ঘুড়ি না ওড়ায় হতাশ, তবে আকাশে ওড়াতে চেষ্টার শেষ নেই। অন্যদিকে চলছে মোরগ লড়াই, দড়ি টানাটানি খেলা। মাঠের একপাশে নাগরদোলায় চলছে উল্লাস। ছবি, সেলফি আর আড্ডায় খেলার মাঠটি যেন রঙে রঙিন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসবে রোববার বিকেলে এভাবেই মেতে উঠেছিলেন সবাই। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নন, সেই আনন্দে শরিক হয়েছিলেন খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আনন্দ আর প্রাণের এমন উচ্ছ্বাস যেন হারিয়ে যাওয়া এক গ্রামবাংলার চিত্র ফুটে ওঠে মাঠে। ক্লাস আর পরীক্ষার একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীরা এই দিনটিতে নিজেদের সংস্কৃতি ও শিকড়ের সঙ্গে মিশে যান।
চলছে মোড়ক লড়াই। রোববার বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে