গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে গত ২৩ মার্চ আড্ডার মেজাজে পাওয়া গেল জেমসকে। প্রথম আলোর সঙ্গে আড্ডায় জীবনের নানা অজানা কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় উঠে আসে দর্শন, জীবনের পূর্ণতা–অপূর্ণতা থেকে শৈশব ও কৈশোরের মধুর স্মৃতি।
জেমসের গায়ক–জীবন চাননি বাবা মোজাম্মেল হক ও মা জাহানারা খাতুন। আর তাই অভিমানী জেমসকে ঘর ছেড়ে পথে নামতে হয়। সেই পথ চলতে চলতে তাঁর ঠিকানা হয়ে যায় চট্টগ্রামের কদমতলীর পাঠানটুলি রোডে মতিয়ার পুলের সেই আজিজ বোর্ডিংয়ের ৩৬ নম্বর কক্ষটি। তারকাখ্যাতি পেলেও তা দেখে যেতে পারেননি তাঁর মা–বাবা।

আরও পড়ুনজেমস বললেন, ‘আত্মজীবনী? একদমই না, নেভার’১৩ এপ্রিল ২০২৫

জেমসের জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘মা’ ও ‘বাবা’। গানগুলো গাওয়ার সময় আবেগতাড়িত হতে দেখা যায় তাঁকে। কনসার্টে শ্রোতার সমুদ্রে আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি যখন গাইতে থাকেন, ‘বাবা কত দিন কত দিন দেখিনা তোমায়, কেউ বলে না তোমার মতো, কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়.

..’ কিংবা মাকে খুঁজে ‘রাতের তারা আমায় কি তুই বলতে পারিস? কোথায় আছে কেমন আছে মা?’ তখন মা–বাবাহারা সব সন্তানের হাহাকার যেন মিলে জেমসের সঙ্গে এক বিন্দুতে। আড্ডায় মায়ের প্রসঙ্গ এলে ছলছল করছিল জেমসের চোখ।

তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, মায়ের হাতের কোনো রান্নার স্বাদ কি তাঁর মনে পড়ে, কোনো ঘ্রাণ কি এখনো পান। জবাবে জেমস বললেন, ‘তা তো মনে থাকবেই, ভুলে যাওয়ার কিছুই নেই। সব, সবকিছুই—মায়ের হাতের সব খাবার অনেক মিস করি। মায়ের হাতের রান্না তো সবারই ভালো লাগে, এটা তো আর ভুলে যাওয়া যায় না।’
জেমস নগরবাউল। নগরজীবনের ক্লান্তি হয়তো তাঁকেও গ্রাস করে। কোথাও একবার বলেছিলেন, একদিন হুট করে এই শহর ছেড়ে চলে যাবেন নিজ গ্রামে। জেমস কি এই শহর ছাড়তে চান এখনো?

তিনি বললেন, ‘এখনো খুব ইচ্ছা আছে শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার। সব সময় মনে হয়, শান্ত কোথাও চলে যাই। নাগরিক এ জীবনের ক্লান্তি বলতে আমার মধ্যে দুই ধরনের বিষয় কাজ করে। এখানে থাকতে বিরক্ত লাগে, আবার দূরে গেলে মিস করি। মানে একটা দোটানা। একবার শহর ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছা হয়, শহর ছেড়ে চলে গেলে মনে হয়, এ শহর আমাকে ডাকছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শহর ছ ড় জ বন র

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের প্রসঙ্গ এলে ছলছল করছিল জেমসের চোখ

গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে গত ২৩ মার্চ আড্ডার মেজাজে পাওয়া গেল জেমসকে। প্রথম আলোর সঙ্গে আড্ডায় জীবনের নানা অজানা কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় উঠে আসে দর্শন, জীবনের পূর্ণতা–অপূর্ণতা থেকে শৈশব ও কৈশোরের মধুর স্মৃতি।
জেমসের গায়ক–জীবন চাননি বাবা মোজাম্মেল হক ও মা জাহানারা খাতুন। আর তাই অভিমানী জেমসকে ঘর ছেড়ে পথে নামতে হয়। সেই পথ চলতে চলতে তাঁর ঠিকানা হয়ে যায় চট্টগ্রামের কদমতলীর পাঠানটুলি রোডে মতিয়ার পুলের সেই আজিজ বোর্ডিংয়ের ৩৬ নম্বর কক্ষটি। তারকাখ্যাতি পেলেও তা দেখে যেতে পারেননি তাঁর মা–বাবা।

আরও পড়ুনজেমস বললেন, ‘আত্মজীবনী? একদমই না, নেভার’১৩ এপ্রিল ২০২৫

জেমসের জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘মা’ ও ‘বাবা’। গানগুলো গাওয়ার সময় আবেগতাড়িত হতে দেখা যায় তাঁকে। কনসার্টে শ্রোতার সমুদ্রে আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি যখন গাইতে থাকেন, ‘বাবা কত দিন কত দিন দেখিনা তোমায়, কেউ বলে না তোমার মতো, কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়...’ কিংবা মাকে খুঁজে ‘রাতের তারা আমায় কি তুই বলতে পারিস? কোথায় আছে কেমন আছে মা?’ তখন মা–বাবাহারা সব সন্তানের হাহাকার যেন মিলে জেমসের সঙ্গে এক বিন্দুতে। আড্ডায় মায়ের প্রসঙ্গ এলে ছলছল করছিল জেমসের চোখ।

তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, মায়ের হাতের কোনো রান্নার স্বাদ কি তাঁর মনে পড়ে, কোনো ঘ্রাণ কি এখনো পান। জবাবে জেমস বললেন, ‘তা তো মনে থাকবেই, ভুলে যাওয়ার কিছুই নেই। সব, সবকিছুই—মায়ের হাতের সব খাবার অনেক মিস করি। মায়ের হাতের রান্না তো সবারই ভালো লাগে, এটা তো আর ভুলে যাওয়া যায় না।’
জেমস নগরবাউল। নগরজীবনের ক্লান্তি হয়তো তাঁকেও গ্রাস করে। কোথাও একবার বলেছিলেন, একদিন হুট করে এই শহর ছেড়ে চলে যাবেন নিজ গ্রামে। জেমস কি এই শহর ছাড়তে চান এখনো?

তিনি বললেন, ‘এখনো খুব ইচ্ছা আছে শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার। সব সময় মনে হয়, শান্ত কোথাও চলে যাই। নাগরিক এ জীবনের ক্লান্তি বলতে আমার মধ্যে দুই ধরনের বিষয় কাজ করে। এখানে থাকতে বিরক্ত লাগে, আবার দূরে গেলে মিস করি। মানে একটা দোটানা। একবার শহর ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছা হয়, শহর ছেড়ে চলে গেলে মনে হয়, এ শহর আমাকে ডাকছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ