কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা তরুণ নিহত, আহত ২
Published: 14th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে দুই কিশোর। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আশ্রয়শিবিরের সি ব্লকে কিশোর-তরুণদের দুটি পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণের নাম নুর হোসেন ওরফে সাইফুল। তিনি সি ব্লকেরই বাসিন্দা। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত দুই কিশোরকেও চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা শঙ্কাজনক।
পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতারা জানান, এক রোহিঙ্গা তরুণীকে উত্ত্যক্তের জেরে আশ্রয়শিবিরের পাশে ফুটবল খেলার মাঠে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মারামারি শুরু হলে ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত হন। তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফ হোসাইন বলেন, এক তরুণীকে উত্ত্যক্তের জেরে দুই পক্ষের মারামারির মধ্যে ছুরিকাঘাতে নুর হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল
গাজাজুড়ে বিমান ও স্থল হামলা পুনরায় শুরু করার প্রায় এক মাস পর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এ তথ্য জানিয়েছে।
হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হামাস ‘সম্ভবত’ প্রস্তাবে সাড়া দেবে।
যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী মিশরীয় কর্মকর্তারা সপ্তাহান্তে কায়রোতে গ্রুপের প্রতিনিধি দলের কাছে এই প্রস্তাবটি পৌঁছে দেন।
সোমবার রাতে হামাসের আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েল ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। এর বিনিময়ে, ইসরায়েল এক হাজার ২৩১ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ২৫১ জনকে ইসরায়েল থেকে অপহরণ করে। এদের মধ্যে ৫৮ জন এখনও গাজায় বন্দি। ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির ফলে প্রায় এক হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে দুই মাস পর সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়।
ঢাকা/শাহেদ