১০-২০ ওভারের ক্রিকেট যখন সোনার খনি
Published: 14th, April 2025 GMT
একসময় ছিল শুধু টেস্ট ক্রিকেট। এরপর এল ওয়ানডে। তারপর টি-টোয়েন্টি।
ক্রিকেট আরও নানাভাবে খেলা হয়। তবে আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্বীকৃত সংস্করণ এই তিনটাই। এবার টি-টেন ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাওয়া হচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে টি-টেনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছে সংস্থাটির অন্তত দুটি পূর্ণ সদস্যদেশ। জিম্বাবুয়ের হারারেতে ১০ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলা আইসিসির সর্বশেষ বোর্ড মিটিংয়ে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
যদিও আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না, তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে এটি উত্থাপন করা হয়েছিল। বলা হচ্ছে, বৈঠকে উপস্থিত বেশির ভাগ সদস্যের কাছ থেকে তেমন সমর্থন পাওয়া যায়নি। তবে যদি ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও সমর্থন আসে, তাহলে বিষয়টি আবারও বিবেচনা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হয়তো একসময় ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সংস্করণ তিনটি থেকে বেড়ে চারটি হবে, টি-টেনের পরিসংখ্যানও যোগ হবে ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক প্রোফাইলে।
আইপিএলের বড় আকর্ষণ এর বিনোদনদায়ী চরিত্র.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা শুরু
চাটমোহর পৌর শহরের অদূরের গ্রামে বোঁথড়। এ গ্রামে প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও তিন দিনব্যাপী মেলা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই মেলায় মানুষের ঢল নামে। হাজার বছরের প্রাচীন এই চড়ক পূজায় দেশ-বিদেশে থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন।
চড়ক পূজা ও মেলা পরিচালনা কমিটি প্রতি বছরের মতো এবারও মেলা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছেন।
পাটে ধুপ দেওয়ার মধ্যে দিয়ে উপমহাদেশের মধ্যে বিখ্যাত এই চড়ক পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
রোববার মন্দিরের পাশের পুকুর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে চড়ক গাছ। এরপর মন্দিরে মহাদেবের মূর্তি স্থাপনের মধ্যে দিয়ে পূজা শুরু হবে। চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। এদিকে পূজা ও মেলা উপলক্ষ্যে এখন প্রতিটি হিন্দু বাড়িতেই এখন অতিথি আপ্যায়ন চলছে। তবে, কবে থেকে এই পূজা ও মেলা শুরু হয়েছে তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায়নি। অনেকের ধারণা, সিন্ধু সভ্যতা থেকেই এ পূজা বা মেলার প্রচলন। আবার অনেকে বলছেন, এ পূজার প্রচলন হয় বান রাজার আমল থেকে।
জানা গেছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে চড়ক মেলা চলছে হাজার বছর ধরে। একটি চড়ক গাছকে কেন্দ্র করে চৈত্রের শেষ সপ্তাহে এ মেলা বসে ও পূজা শুরু হয়। একসময় পুরো বৈশাখ মাসজুড়ে চলতো মেলা। বোঁথড়ে এমন একসময় ছিল, যখন মেলার দেড়-দু’মাস আগেই বোঁথড় গ্রামটিতে পড়ে যেত সাজ সাজ রব। দূরদূরান্ত থেকে দোকানিরা এসে তাদের পসরা সাজিয়ে বসতো। যাত্রা, সার্কাস, নাগরদোলা, যাদু প্রদর্শন, ঘোড়াদোলা ও পুতুল নাচে এক উৎসব আমেজে ভরে উঠতো গোটা চাটমোহর অঞ্চল। মেলার সেই জৌলুস আজ আর নেই, নেই জাঁকজমকতা। তবে, আছে চড়ক গাছ, পাঠ ঠাকুর, বিগ্রহ মন্দির। তাই বছর শেষের এ মাসটিতে এখনো মেলা বসে, চলে তিন দিনব্যাপী। জনশ্রুতি আছে, বান রাজার আমল থেকে এই পূজা ও মেলার প্রচলন শুরু হয়।
এখনো বোঁথড় মেলার ঐতিহ্যবাহী আনুষ্ঠানিকতা ঠিকঠাক আছে। শুধু কমেছে মেলার জৌলুস। এ মেলাকে কেন্দ্র করে একদা সব ধর্মের মানুষের মাঝে যে সম্প্রীতি লক্ষণীয় ছিল, এখন তা আর নেই।
চাটমোহর পৌর শহরের বাসিন্দা রনি রায় জানান, দেশ-বিদেশের অনেক ভক্ত এ মেলায় আসেন। মনের বাসনা পূরণার্থে অনেক ভক্ত মানত করে থাকেন। কেউ পাঁঠাবলি দেন, কবুতর উৎসর্গ করেন, আবার কেউ বা পূজার অর্ঘ্য সাজানো ভরণ চালুন দেন। চালুন মাথায় দিয়ে মন্দিরে চারপাশে সাতপাক ঘুরে সাজানো চালুন মন্দিরে দিয়ে দেন। মেলা উপলক্ষ্যে দূরদূরান্তের আত্মীয়-স্বজন আসেন। কদিন বিরাজ করে উৎসবের আমেজ।
বোঁথড় মহাদেব মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিংকর সাহা জানান, হাজার বছর ধরে চলে আসছে এতিহ্যবাহী চড়ক পূজা। দেশ-বিদেশের অনেক পূণ্যার্থী এ পূজায় অংশ নিয়ে থাকেন। পূজা উপলক্ষ্যে আমাদের এলাকায় উৎসবের আমেজ চলছে। বরাবরের মতো এবারও তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।