২ ওভারে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে দরকার ২৩ রান। মু্ম্বাই ইন্ডিয়ানসের যশপ্রীত বুমরার করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা দুই বাউন্ডারি মেরে প্রয়োজনটাকে ৯ বলে ১৫ রান বানিয়ে ফেললেন দিল্লি ক্যাপিটালসের আশুতোষ শর্মা।

কিন্তু এরপর জয়টা দুরস্তই হয়ে রইল দিল্লির জন্য। এরপর অবিশ্বাস্যভাবে টানা তিন বলে তিনটি রানআউট করে ওই ওভারেই ম্যাচটি জিতে দিল্লি-জয় করে ফেলল মুম্বাই।
২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি অলআউট ১৯৩ রানে। ১২ রানের এই হারে পাঁচে পাঁচ জয় হলো না দিল্লির। অন্যদিকে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ষষ্ঠ ম্যাচে পেল দ্বিতীয় জয়।

১৯তম মুম্বাইয়ের রানআউটের উৎসবে প্রথম কাটা পড়েন আশুতোষ। বুমরার ইয়র্কারটাকে পয়েন্টে ঠেলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে বিপদে পড়েন আশুতোষ। উইল জ্যাকসের থ্রো ধরে তাঁকে রানআউট করে দেন উইকেটকিপার রায়ান রিকেলটন।
পরের বলটাকে ডিপ মিডউইকেটে পাঠিয়ে ২ রান নিতে গিয়ে রানআউট কুলদীপ যাদব। এবার বদলি ফিল্ডার রাজ বাওয়ার থ্রো ধরে উইকেট ভাঙেন রিকেলটন।

রানআউটের হ্যাটট্রিক বলটায় রিকেলটনকে আর গ্লাভস গলাতে দেননি মিচেল স্যান্টনার। মিড অন থেকে সরাসরি থ্রোতে ননস্ট্রাইকিং প্রান্তে উইকেট ভেঙে ১ রান নিতে যাওয়া মোহিত শর্মাকে আউট করে দেন মিচেল স্যান্টনার।

দারুণ থ্রোতে মোহিতকে রানআউট করা স্যান্টনার এর আগে বোল্ড করেছেন দিল্লির ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার করুণ নায়ারকে। ৪০ বলে ৫ ছক্কায় ৮৯ রান করে নায়ার যখন ফিরলেন দিল্লির স্কোর ১৩৫/৩। এরপর ৫০ বলে ৭১ রান দরকার ছিল দলটির। সেটি আর হলো না।

এর আগে মুম্বাইয়ের হয়ে ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন তিলক বর্মা। এ ছাড়া সূর্যকুমার যাদব ২৮ বলে ৪০, রায়ান রিকেলটন ২৫ বলে ৪১ ও নমন ধীর ১৭ বলে ৩৮ রান করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

দর্শককে আশাহত না করে সুন্দর সিনেমা দেওয়া উচিত: নিশো

অভিনেতা আফরান নিশো। রাজধানীর সিনেপ্লেক্সসহ দেশের আরও কিছু প্রেক্ষাগৃহে চলছে এই তার নতুন সিনেমা ‘দাগি’। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তির দিন এ সিনেমা দেখতে দর্শকের ভিড় দেখা গেছে। সম্প্রতি এ সিনেমাসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।

‘দাগি’ মুক্তির দিন থেকে এ সিনেমা দেখতে দর্শকের ভিড় দেখা গেছে। দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন লক্ষ্য করছেন...
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমি খুব একটা সরব না। তারপরও সিনেমার রিভিউ অনেক চোখে পড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে আমি অনেকগুলো সিনেমা হলে গিয়েছি। তখন সরাসরি দর্শকের প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। সিনেমাটি মানুষ দারুণ পছন্দ করেছে। নিজের কাজ দর্শকের কাছে প্রশংসিত হলে, মনে অনেক আনন্দ জাগে। নিজের ছবি নিয়ে একটা তো ইমোশন কাজ করে। সে জায়গা থেকে সবার প্রশংসা আমার কাছে উৎসাহ বলে মনে করি।

‘দাগি’ সিনেমায় নিজেকে ও অন্য শিল্পীদের কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
‘দাগি’ সিনেমার সব চরিত্র ভীষণ জটিল এবং কঠিন। এ চরিত্রগুলো যদি ভালোভাবে উপস্থাপন না হতো তাহলে নিশান (আমার) চরিত্রটা আসতই না। সব চরিত্রের ওপর দিয়ে নিশান চরিত্রের যাত্রা। ফলে নিশান চরিত্রটা দর্শক ভালোভাবে নিয়েছে। এ ছাড়া তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, রাশেদ মামুন অপু যা করেছেন, তাদের অভিনয় মুগ্ধ হয়ে দেখেছি। এখানে তমা মির্জা, সুনেরাহসহ যারা অভিনয়ে ছিলেন তাদের সবাইকে আমি একেকটি পিলার বলব। এর মধ্যে একটা পিলার যদি পড়ে যেত তাহলে এ সিনেমার কিছু থাকত না।

এর আগে একটি টিভি নাটকের জন্য গান করেছিলেন। এবার নিজের সিনেমার জন্য গাইলেন...
দাগির টাইটেল ট্র্যাক নিয়ে প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি একদিন আমাকে গানটির একটা ডেমো ভার্সন শুনিয়ে জানতে চাইলেন, কেমন লেগেছে। আমি বললাম, ক্যাচি অ্যান্ড পাওয়ারফুল। গানটা নিয়ে কী করা যায়? এটি ভাবতে ভাবতে একসময় আমাকে জানানো হয়, গানটিতে আমি কণ্ঠ দিলে কেমন হয়? এটি তাঁর জন্য একরকম সারপ্রাইজ ছিল। এরপর নিধি [আরাফাত মহসীন] আমাকে ফোন করে স্টুডিওতে ডাকে। কিছু সংযোজন-বিয়োজনের পর গানটিতে ভয়েস দিই। নিধি সব ঠিকঠাক করে ৪৫-৪৫ মিনিটের মধ্যে গানটি রেডি করে আমাকে দিয়েছে। ফলে এ গানের পুরো কৃতিত্ব নিধির।

‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ গল্পনির্ভর সিনেমা। এ ধারাতেই এগিয়ে যাবেন?
আপনি যদি টেলিভিশনে আমার কাজগুলো দেখেন, তাহলে দেখবেন, শুরু থেকেই আমি ভালো গল্পের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি সবসময়। সেই সূত্র ধরে আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘সড়ঙ্গ’তে কাজ করেছি। এরপর গল্পের কারণে দুই বছর পর ‘দাগি’ করলাম। আমি সব সময় চাই, গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে সিনেমায় অভিনয় করতে, যেখানে গল্পটিও একটি চরিত্র হবে। সেই দিক থেকে ‘দাগি’র গল্প খুব ভালো লেগেছে। সামনে আমি কমেডি, অ্যাকশন আর রোমান্টিক যে ঘরানার কাজ করি না কেন, সেখানেও একই চিন্তা থাকবে।

এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এখন থেকে নিয়মিত সিনেমায় কাজ করবেন। তা বছরে কয়টি সিনেমায় অভিনয়ের পরিকল্পনা আছে?
দেখুন, আমাদের দেশে দর্শক অনুপাতে কিন্তু ভালো সিনেমা নেই। একেক জনের তিনটি করে সিনেমা হলে ভালো সিনেমার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ থেকে ২০-এর ঘরে। দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী সিনেমা বানানো উচিত। দর্শক ঈদের মধ্যে ভালো সিনেমা দেখছে। পুরো বছর সিনেমা না থাকলে দর্শক দেখবে কী! দর্শককে আশাহত না করে সুন্দর সিনেমা দেওয়া উচিত। সেই জায়গা থেকে আমি চিন্তা করেছি ঈদসহ বছরে তিনটি সিনেমায় অভিনয় করব। শুধু একা বেঁচে লাভ নেই। আমাদের সবার বাঁচতে হবে।

নাটক-ওটিটিতে আপনাকে আর দেখা যাবে না?
নাটক দিয়ে আমার অভিনয়ে যাত্রা শুরু। নাটক আমার শিকড়। এটি আমি কখনোই ভুলি না, ভুলবোও না। মাঝে ওটিটিতে কিছু কাজ করেছি। বড়পর্দায় কাজ করতে গেলে ছোটপর্দায় সময় বের করাটা অনেক কঠিন। আমার পক্ষ থেকে কোনো মাধ্যমে না নেই। সময় সুযোগ এলে সব মাধ্যমে কাজ করব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোপ টেস্ট দিয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
  • ক্রসবারে মেসির দুই ফ্রি কক, অফসাইডে বাতিল সুয়ারেজের গোল
  • রিতুর ব্যাটে নাটকীয় জয়, বিশ্বকাপের আরও কাছে বাংলাদেশ
  • বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য দিল আয়ারল্যান্ড
  • নাটকের প্রদর্শনী হবে, কর্মসূচি স্থগিত করেছেন নাট্যকর্মীরা
  • শিল্পীদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত নয়: জেমস
  • ভালো সিনেমা নিয়ে নিশোর প্রশ্ন, জানালেন পরিকল্পনার কথা
  • ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিম মল্লিককে
  • দর্শককে আশাহত না করে সুন্দর সিনেমা দেওয়া উচিত: নিশো