জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) অধীনে চালু হচ্ছে চীনা ভাষা কোর্স।

কোর্সটি চালু হবে আগামী জুলাই মাস থেকে। এ লক্ষ্যে জবি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমঝোতা স্মরক স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

রবিবার (১৩ এপ্রিল) জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমে উপস্থিতিতে ঢাবি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক (চীনা ভাষা) ড.

ইয়ং হুই ও জবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় ড. ইয়ং হুই বলেন, “চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আমরা দুই দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে চীনা ভাষা শিক্ষার উদ্যোগ নিয়েছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে।”

চীনা ভাষা কোর্স বাস্তবায়নের কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন পরিচালক অধ্যাপক ড. নাসির আহমাদ বলেন, “বর্তমানে চীন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে চীনা ভাষা শিক্ষা সময়োপযোগী। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।”

জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। ভবিষ্যতে জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে একটি পূর্ণাঙ্গ কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

জবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেজবাহ-উল-আজম সওদাগরের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক, ঢাবির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মি. ইয়িন জু, মি. রাও জিহাও প্রমুখ।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনফ স

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদুল ফিতরে ভূয়া তালিকা করে ভিজিএফ’র চাল আত্মসাত 

দিনাজপুরের হাকিমপুরে উপজেলার খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপনের বিরুদ্ধে দুস্থদের ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এর কয়েকজন ইউপি সদস্য জড়িত আছেন বলেও অভিযোগ। প্রায় ১৮০০ জনের নামে-বেনামে ভূয়া তালিকা করে ১৮ মেট্রিকটন চাল আত্মসাত করেন তারা। এমন কি মৃত ব্যক্তিরও নাম রয়েছে ওই তালিকায়। 

অভিযোগ থেকে জানা যায়, এই পবিত্র ঈদুল ফিতরে খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের ৪ হাজার ১৬৯ জনের ভিজিএফ চালের তালিকা করেন ওই প্যানেল চেয়ারম্যান। এ তালিকায় একজনের নাম একাধিকবার তোলেন। এক ওয়ার্ডের তালিকাভুক্তদের অন্য ওয়ার্ডের তালিকায়ও নাম ওঠান। এমনকি ওই তালিকায় মৃত ব্যক্তিরও নাম রয়েছে। এভাবে চাল আত্মসাত প্রক্রিয়ায় প্যানেল চেয়ারম্যান স্বপনের সঙ্গে ৩ ইউপি সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহানুর রহমান, ৭নং ইউপি সদস্য আবুল কাশেম ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। 

এ ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন বঞ্চিত সুবিধাভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ইউনিয়নের মংলা বাজারের বাসিন্দা তাহাজ্জত আলী বলেন, “আমার প্রতিবেশী মৃত রবিউল ইসলামের নাম ভিজিএফ তালিকায় রয়েছে। কিন্তু  তিনি গত ৩ বছর আগে মারা গেছেন। এক বছর পূর্বে তার স্ত্রীর অন্যত্র বিয়েও হয়েছে। চেয়ারম্যান চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভিজিএফের তালিকায় এই মৃত ব্যক্তির নাম তালিকাভুক্ত করেছেন।”  

অভিযোগকারী মাধবপাড়া গ্রামের কাশেম আলীর স্ত্রী বেগম জানান, ভিজিএফএর তালিকায় তার নামের সিরিয়াল ২৩৭৬। অথচ কয়েকবার চেয়ারম্যানের নিকট ভিজিএফ চালের জন্য গেলে তার নাম তালিকায় নেই বলে ফিরিয়ে দেন। 

তিনি জানান, শুধু তাকে নয় এরকম আরও অনেক মেয়ে মানুষকে চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। 

অভিযোগকারী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম জানান, তার মাস্টার রোলের সিরিয়াল নম্বর ২১০। তালিকায় তার নাম নেই বলে তাকেও ওই দিন চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “আমরা গরীব মানুষ ঈদের আগে ভিজিএফের চালের অপেক্ষায় থাকি। সেই চাল যদি চেয়ারম্যান  খেয়ে ফেলেন তাহলে তো গরীবের তো আর বাঁচার পথ নাই। সরকারের উচিত গরীবের চাল মেরে খাওয়া চেয়ারম্যানকে শাস্তি দেওয়া।” 

লিখিত অভিযোগকারী সাইমুমুর রহমান ডলার জানান, ১নং ওয়ার্ডের ৮৬ জন , ২নং ওয়ার্ডের ৭৫ জন, ৩নং ওয়ার্ডের ৬৩ জন, ৪নং ওয়ার্ডের ৫৬ জন,  ৫নং ওয়ার্ডের ১১১ জন, ৬নং ওয়ার্ডের ১৩১ জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৯২ জন, ৮নং ওয়ার্ডের ১০৯ জন ও ৯নং ওয়ার্ডের ৮৩ জনের মোট ৮০৬ জনের নাম অন্য ওয়ার্ডের মাস্টার সিরিয়ালে একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ও তার লোকেরা এসব নামের বিপরীতে বরদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ করেছেন। 

এ ব্যাপারে প্যানেল চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপন বলেন, “ভিজিএফ এর চাল বিতরণে সময় ট্যাগ অফিসারসহ সব ওয়ার্ডের মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন। আমি সব চাল সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করেছি।”

এবিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন, “খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। পিআইওকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মোসলেম/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ