লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে রূপকথা লিখলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। শেষ দশ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫৯ রান। হাতে ছিল ৪ উইকেট। এমন জায়গা থেকে অনেকেই ম্যাচের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে তখনও আশার প্রদীপ হয়ে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন রিতু মণি। নিভু নিভু হয়ে জ্বলতে থাকা সেই রিতুতেই শেষ পর্যন্ত আলো খুঁজে পেলো বাংলাদেশ। তার অপরাজিত ফিফটিতে আয়ারল্যান্ডকে ২ উইকেটে হারিয়েছে টাইগ্রেসরা।

নারী বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে লাহোরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ডেলানি। জবাবে খেলতে নেমে ৪৮ ওভার ৪ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। টাইগ্রেসদের হয়ে ৬১ বলে অপরাজিত ৬৭ রান করেছেন রিতু।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে হেরে বোলিং পেয়ে ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৬ রানেই ৮ বল খেলে ৪ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন সারা। এই ওপেনারের বিদায়ে চতুর্থ ওভারে মাত্র ৬ রানের মাথায় ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। 

তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দেন লুইস ও অ্যামি হান্টার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৫০ রান। ১৪তম ওভারে জান্নাতুল ফেরদৌসকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৩ বলে ২৪ রান করেছেন লুইস। অধিনায়কের বিদায়ের পর হান্টারের সঙ্গে যোগ দেন ওরলা পেন্ডারগেস্ট। তবে এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হান্টার। ভালো শুরুর পর ফিরেছেন দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে।  সাজঘরে ফেরার আগে ৩৮ বলে ৩৩ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। 

এরপর ৪র্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে ৭২ রানের জুটি গড়েন পেন্ডারগেস্ট ও লরা ডেলানি। দলীয় ১৪৯ রানে রাবেয়া খানের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ৪১ রানে ফেরেন পেন্ডারগেস্ট। এরপর লিহ পলকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন ডেলানি। তার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৭৫ বলে ৬৩ রান করেন ডেলানি। এরপর ছোট ছোট জুটিতে দলীয় স্কোর ২৩৫ রানে নিয়ে যায় আইরিশদের লোয়ার অর্ডার। ক্রিস্টিনা ১০, ক্যানিং ৪ রান করেন। ২৪ রানে কেলি ও ৭ রানে অপরাজিত থাকেন মাগুইরে।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন রাবেয়া। ২টি ফাহিমার ও ১টি নেন জান্নাতুল ফেরদৌস।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন কর ছ ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

১০ ছক্কায় অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১, এরপর চিঠি রহস্য

ব্যক্তিগত ২৮ রানের সময় আউট হয়েও বেঁচে গেলেন নো বলের কল্যাণে। একেই মনে হয় বলে চ্যাম্পিয়ন্স লাক! এরপর অভিষেক শর্মা আইপিএলকে উপহার দিলেন এক স্মরণীয় রাত। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর ৫৫ বলে খেললেন অবিশ্বাস্য ১৪১ রানের এক ইনিংস। যা আইপিএলের ইতিহাসে কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানের আইপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।

অভিষেকের বিস্ফোরক ইনিংসের কল্যাণে পাঞ্জাব কিংসের ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে করা ২৪৫ রানকে মামুলি মনে হলো। প্রায় আড়াইশ ছুঁইছুঁই রান তাড়া করতে নেমে ১৫ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (২৪৭/২)। যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড। গত মৌসুমে (২৬ এপ্রিল, ২০২৪) ক্লকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ২৬১ রানের ইনিংস তাড়া করতে নেমে ৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পাঙজাব জিতেছিল, যা আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড।

আরো পড়ুন:

চেন্নাই প্লে’অফ খেলবে, দাবি ব্যাটিং কোচের

ধোনির অধিনায়কত্বেও ভাগ্য বদলালো না চেন্নাইর

গতরাতে রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরন সিং। দুজন মিলে করেন ৬৬ রান। ১৩ বলে ৩৬ রান করে আউট হন প্রিয়াংশ। এরপর দলীয় ৯১ রানে ফেরেন প্রভসিমরন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৪২। তবে পাঞ্জাবের হয়ে আসল ঝড়টা তোলেন শ্রেয়াস আইয়ার। ৩৬ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় করেন ৮২ রান। আর শেষ দিকে ১১ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস।

জবাব দিতে নেমে অভিষেকের এই মহাকাব্যিক ইনিংস যেন এক রূপকথার মত প্রত্যাবর্তন। চলমান আসরে এই ২৪ বছর বয়সী ওপেনারের ব্যাট ঠিক হাসছিল না। তবে পাঞ্জাবের সাথে ঠিকই অভিষেক জানান দিলেন, হারিয়ে যাননি তিনি। ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন। পাওয়ারপ্লে’র পর হেড যখন ছন্দে ব্যাট করছিলেন, তখন অভিষেক গিয়ার বদলে ঝড় তোলা শুরু করেন।

হেডের সঙ্গে ১৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন অভিষেক। যা হায়দরাবাদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। হেডের ৩৭ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

এরপর অভিষেক ব্যক্তিগত প্রথম আইপিএল শতরানটি করেন মাত্র ৪০ বলে, যা আইপিএলের ইতিহাসে ষষ্ঠ দ্রুততম সেঞ্চুরি। কিন্তু তখনো চমকের বাকী ছিল। শতরান পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, অভিষেক নিজের পকেট থেকে একটি সাদা কাগজ বের করে উপরে তুলে ধরেন, যেখানে হাতে লেখা ছিল, ‘এই ইনিংসটি কমলা আর্মিদের জন্য’। পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়াসও সেই মুহূর্তে কাছে চলে আসেন বার্তাটি পড়তে।

অভিষেক প্রায় ২৫৭ স্ট্রাইক রেটে ১৪ চার ও ১০টি ছক্কায় তাঁর ইনিংসটি সাজান।

হায়দরাবাদের হয়ে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটিই। এর আগে ডেভিড ওয়ার্নারের ১২৬ ছিল চূড়ায়। আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। কেবল ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের আছেন সামনে।

টানা ৪ ম্যাচ হারার পর আসরে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল হায়দরাবাদ। ৬ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে আছে প্যাট কামিন্সের দল।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোপ টেস্ট দিয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
  • ক্রসবারে মেসির দুই ফ্রি কক, অফসাইডে বাতিল সুয়ারেজের গোল
  • বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য দিল আয়ারল্যান্ড
  • নাটকের প্রদর্শনী হবে, কর্মসূচি স্থগিত করেছেন নাট্যকর্মীরা
  • শিল্পীদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত নয়: জেমস
  • ভালো সিনেমা নিয়ে নিশোর প্রশ্ন, জানালেন পরিকল্পনার কথা
  • ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিম মল্লিককে
  • দর্শককে আশাহত না করে সুন্দর সিনেমা দেওয়া উচিত: নিশো
  • ১০ ছক্কায় অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১, এরপর চিঠি রহস্য