জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার একটি গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক বৃদ্ধকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে ওই বৃদ্ধকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার বৃদ্ধের নাম আলম সরদার (৬৫)। তিনি পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তিনি শিশুটির প্রতিবেশী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে শিশুটি নিজ বাড়িতে একাই খেলাধুলা করছিল। এ সময় প্রতিবেশী আলম সরদার পান খাওয়ার কথা বলে ওই বাড়িতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুটি ভয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে ঘটনাটি বলেনি। ওই দিন রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় বুকে ব্যথা করছে বলে তার মাকে জানায়। পরে রোববার সকালে শিশুটি তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। এদিকে অভিযুক্ত আলম সরদার রোববার সকালে কাজে চলে যান। কাজ শেষে বিকেলে তিনি বাড়িতে পৌঁছার আগে শিশুটির স্বজনেরা তাঁকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে গ্রামের কিছু লোকও বৃদ্ধকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

আক্কেলপুর থানার উপপরির্দশক রাকিবুল ইসলাম বলেন, বৃদ্ধ আলম সরদারের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আলম সরদ র

এছাড়াও পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় আন্তঃসাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বে প্রাণ হারিয়েছে ৫৪ জন

নাইজেরিয়ায় আন্তঃসাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব এবং ভূমি বিরোধের জন্য পরিচিত একটি অঞ্চলে সহিংসতায় ঘটনায় ৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

সোমবার মানবাধিকার সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে বলেছে, মুসলিম বন্দুকধারীরা মধ্য উত্তর রাজ্যের একটি খ্রিষ্টান কৃষক সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর ডয়েচে ভ্যালির।

স্থানীয় সময় রোববার রাত ১২ টার পর বাসসা এলাকার জিকে এবং কিমাকপা গ্রামে ওই হামলা চালানো হয়। চলতি মাসে ওই একই রাজ্যের বোক্কোস এলাকার গ্রামে এর আগেও সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে ৫২ জনকে হত্যা করে।

মালভূমি রাজ্যের রাজধানী জোস থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ওই হামলা চালানো হয়। মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই রাজ্যে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু এই সঙ্কট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সেখানে হামলার ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত এবং আরও ৩০টি বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে এবং এক বাসিন্দা জানায়, প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র লোক পুরো গ্রামে হামলা চালিয়েছে।

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলছে, ‘বন্দুকধারীরা গ্রামগুলোও ধ্বংস করেছে এবং বাড়িঘর লুট করেছে, তাদের পথের সবকিছু ধ্বংস করেছে। যখন নিহতদের গণ দাফনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, তখন ঝোপের মধ্যে আরও মৃতদেহ আবিষ্কৃত হচ্ছে।’ 

অধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি এতো মৃত্যুর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর ত্রুটিকে দায়ী করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ