কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবৈধভাবে বালু তোলায় পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর গ্রামে এই ভাঙন দেখা যায়। এতে নদীতে বিলীনের মুখে অন্তত অর্ধ কিলোমিটার এলাকা। এ ছাড়া ঝুঁকির মুখে পড়েছে নদীর তীররক্ষা বাঁধ। 
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসীর বাধা সত্ত্বেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার রাইটা-ফয়জুল্লাহপুর ঘাট-সংলগ্ন পদ্মা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে আসছে। প্রশাসন মাঝেমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও অদৃশ্য কারণে বালু তোলা বন্ধ হয়নি। বর্তমানে নদীর এই অংশে ভাঙন কবলিত স্থান থেকে নদী রক্ষা বাঁধের দূরত্ব মাত্র ৫০-৬০ মিটার। বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বর্ষা মৌসুমে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের বাসিন্দা ইবাদত আলী বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমার দেড় বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে গোটা এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। তখন লাখো মানুষকে ঘরছাড়া হতে হবে।’ 
জুনিয়াদহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান জানান, ফয়জুল্লাহপুর নদীরক্ষা বাঁধের পাশে বেশ কিছু জায়গা নদীতে বিলীন হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। নদী তীরবর্তী এলাকা রক্ষায় দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার তিনি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি শিগগিরই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগামী মৌসুমে এ অঞ্চলের বালুমহালের ইজারা স্থগিত করা হয়েছে। তা যেন আর চালু করা না হয়, সে জন্য জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর সমকালকে বলেন, বালু উত্তোলনের ফলেই সাধারণত নদীর তীরবর্তী এলাকা ও নদীরক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় আন্তঃসাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বে প্রাণ হারিয়েছে ৫৪ জন

নাইজেরিয়ায় আন্তঃসাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব এবং ভূমি বিরোধের জন্য পরিচিত একটি অঞ্চলে সহিংসতায় ঘটনায় ৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

সোমবার মানবাধিকার সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে বলেছে, মুসলিম বন্দুকধারীরা মধ্য উত্তর রাজ্যের একটি খ্রিষ্টান কৃষক সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর ডয়েচে ভ্যালির।

স্থানীয় সময় রোববার রাত ১২ টার পর বাসসা এলাকার জিকে এবং কিমাকপা গ্রামে ওই হামলা চালানো হয়। চলতি মাসে ওই একই রাজ্যের বোক্কোস এলাকার গ্রামে এর আগেও সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে ৫২ জনকে হত্যা করে।

মালভূমি রাজ্যের রাজধানী জোস থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ওই হামলা চালানো হয়। মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই রাজ্যে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু এই সঙ্কট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সেখানে হামলার ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত এবং আরও ৩০টি বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে এবং এক বাসিন্দা জানায়, প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র লোক পুরো গ্রামে হামলা চালিয়েছে।

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলছে, ‘বন্দুকধারীরা গ্রামগুলোও ধ্বংস করেছে এবং বাড়িঘর লুট করেছে, তাদের পথের সবকিছু ধ্বংস করেছে। যখন নিহতদের গণ দাফনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, তখন ঝোপের মধ্যে আরও মৃতদেহ আবিষ্কৃত হচ্ছে।’ 

অধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি এতো মৃত্যুর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর ত্রুটিকে দায়ী করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ