চট্টগ্রাম মহানগরের ডিসি হিলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতকৃত মঞ্চ, প্যান্ডেল ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে ঘটনা ঘটে। 

ডিসি হিলের এই মঞ্চে চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি ছিল। ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো.

আলমগীর হোসেন জানান, ভাঙচুরের ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় জামায়াতের গণসংযোগে আ.লীগের হামলা, আহত ২  

শ্রমিক দল নেতার হামলায় ৩ পুলিশ আহত, গ্রেপ্তার ২

ডিসি হিলে নববর্ষ উদযাপন পরিষদের অন্যতম সংগঠক প্রণব চৌধুরী। তিনি বলেন, “সোমবার সকাল থেকেই ডিসি হিলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক কর্মীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার প্রস্তুতি ছিল। প্রস্তুত ছিল মঞ্চ। আজ রাত সাড়ে ৭টা থেকে পৌনে ৮টার দিকে একদল যুবক ডিসি হিলের অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে মঞ্চ, চেয়ার, প্যান্ডেল এবং বিভিন্ন সাজসজ্জা ভেঙে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।”

সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের সমন্বয়কারী সুচরিত দাশ খোকন বলেন, “ভাঙচুর করে সব তছনছ করে দিয়েছে। এখানে অনুষ্ঠান করা আর সম্ভব হবে না। তা ছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক কর্মীরা ঘটনার প্রতিবাদে বৈশাখের অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” 

চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখান থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।” 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক র অন ষ ঠ ন প রস ত ত ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

চারুকলার শোভাযাত্রায় নেচে-গেয়ে বর্ষবরণ

বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে শোভাযাত্রাটি বের করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ঢোল ও বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে–গেয়ে তাঁরা বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানান।

প্রতিবার শোভাযাত্রার ব্যানারে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ লেখা থাকলেও এবার ছিল না। এবার লেখা ছিল ‘বর্ষবরণ ২০৩২, চারুকলা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’। শোভাযাত্রার শুরুতে ইনস্টিটিউটের পরিচালক কাজল দেবনাথও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘মূলত শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন করে থাকে। ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে শুরুতে আমি ছিলাম।’

শোভাযাত্রায় কাগজের তৈরি বড় একটি ঘোড়া ও একটি ইলিশ মাছ মোটিফ শোভা পায়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মুখোশ ও পুতুল হাতে হাতে দেখা যায়। চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে কাজীর দেউড়ি হয়ে জামালখান মোড়ে যায় শোভাযাত্রাটি। সেখান থেকে আবার সার্সন রোড হয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটে গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় আনন্দে মেতে উঠেছেন কয়েক জন তরুণী। আজ বেলা ১১টায় নগরের চটেশ্বরী মন্দির এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগ
  • বর্ষবরণ শোভাযাত্রায় ডিসি-এসপির সঙ্গে মামলার আসামি আ.লীগ নেতা
  • বর্ণিল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
  • দেশজুড়ে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা
  • কুড়িগ্রামে বর্ষবরণে নানা আয়োজন
  • রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়
  • ছবিতে রমনার বটমূলের বর্ষবরণ
  • চারুকলার শোভাযাত্রায় নেচে-গেয়ে বর্ষবরণ
  • চট্টগ্রাম ডিসি হিলে পহেলা বৈশাখের মঞ্চ ভাঙচুর, আটক ৬