মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে দিকে মাগুরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আইয়ুব আলী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযোগপত্রে শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/২ ধারায় ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন (দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারা) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে অপরাধের আলামত নষ্টের (দণ্ডবিধির ২০১ ধারা) অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে ধর্ষণের ঘটনাটি সকালে ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

৭ এপ্রিল ডিএনএ প্রতিবেদনে শিশু ধর্ষণের মামলায় মূল অভিযুক্তের (বোনের শ্বশুর) সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রেজাউল হক। এর আগে একাই শিশুটিকে ধর্ষণ করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন শিশুটির বোনের শ্বশুর। ১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় ওই আসামির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে ওই ব্যক্তি জানান, ৬ মার্চ সকালে তাঁর ছোট ছেলের (বোনের স্বামী) কক্ষে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা চালান তিনি।

মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আসামির জবানবন্দির সঙ্গে মামলার বাদী শিশুটির মায়ের এজাহারের অমিল আছে। বাদী বলেছিলেন, ঘটনা ঘটেছে রাতে। শিশুটির বোনের স্বামী ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার পর তাঁর বাবা শিশুটিকে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।

১ মার্চ মাগুরার শিশুটি নিজ বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। প্রথম জানাজা শেষে উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

এর আগে ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। বর্তমানে আসামিরা সবাই কারাগারে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

আইডিএলসি ফাইন্যান্সের পর্ষদ সভার তারিখ আবারো পরিবর্তন

পুঁজিবাজারে অর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ সভার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা আগামী ১৭ এপ্রিল বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা গত ১৩ এপ্রিলের পরিবর্তে ১৭ এপ্রিল বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা গত ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

আরো পড়ুন:

২ বছর মেয়াদের নতুন ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু

রানার অটোর পরিচালকের ৩৪ লাখ শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা

আলোচিত সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

সভায় বিদায়ী হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ঢাকা/এনটি/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ