মাগুরার ৮ বছরের সেই শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। রোববার রাত ৯ টার পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন। এতে শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ‘চার্জশিটে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি হিসেবে আভিযুক্ত করা হয়েছে। নিহত শিশুর বোনের জামাই সজিব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন পরিবর্তনের পর চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।’

গত ১ মার্চ মাগুরার শিশুটি নিজ বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৫ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

এর আগে ৮ মার্চ এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা খাতুন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় ভুক্তভোগীর বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। তারা সবাই কারাগারে আছেন। এর মধ্যে প্রধান আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ ঘটনায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মাগুরাসহ সারা দেশে ব্যাপক আন্দোলন হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় আন্তঃসাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বে প্রাণ হারিয়েছে ৫৪ জন

নাইজেরিয়ায় আন্তঃসাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব এবং ভূমি বিরোধের জন্য পরিচিত একটি অঞ্চলে সহিংসতায় ঘটনায় ৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

সোমবার মানবাধিকার সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে বলেছে, মুসলিম বন্দুকধারীরা মধ্য উত্তর রাজ্যের একটি খ্রিষ্টান কৃষক সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর ডয়েচে ভ্যালির।

স্থানীয় সময় রোববার রাত ১২ টার পর বাসসা এলাকার জিকে এবং কিমাকপা গ্রামে ওই হামলা চালানো হয়। চলতি মাসে ওই একই রাজ্যের বোক্কোস এলাকার গ্রামে এর আগেও সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে ৫২ জনকে হত্যা করে।

মালভূমি রাজ্যের রাজধানী জোস থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ওই হামলা চালানো হয়। মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই রাজ্যে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু এই সঙ্কট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সেখানে হামলার ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত এবং আরও ৩০টি বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে এবং এক বাসিন্দা জানায়, প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র লোক পুরো গ্রামে হামলা চালিয়েছে।

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলছে, ‘বন্দুকধারীরা গ্রামগুলোও ধ্বংস করেছে এবং বাড়িঘর লুট করেছে, তাদের পথের সবকিছু ধ্বংস করেছে। যখন নিহতদের গণ দাফনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, তখন ঝোপের মধ্যে আরও মৃতদেহ আবিষ্কৃত হচ্ছে।’ 

অধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি এতো মৃত্যুর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর ত্রুটিকে দায়ী করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ