বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা রোববার রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় শতাধিক শিক্ষার্থী প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন। রাতভর সেখানে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। 

শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুরে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এরপর বিকেল ৪টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষকদের কাছে লিখিত আবেদন করেন তারা। কিন্তু কুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি বাস্তবায়ন করেনি। এ অবস্থায় রাতভর তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকালে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, হল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে বাইরে টিউশনি করেন। তারা টিউশনি করতে পারছেন না। 

কুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড.

মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতেও ক্যাম্পাসের দুটি গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিল কুয়েট কর্তৃপক্ষ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় আন্তঃসাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বে প্রাণ হারিয়েছে ৫৪ জন

নাইজেরিয়ায় আন্তঃসাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব এবং ভূমি বিরোধের জন্য পরিচিত একটি অঞ্চলে সহিংসতায় ঘটনায় ৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

সোমবার মানবাধিকার সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে বলেছে, মুসলিম বন্দুকধারীরা মধ্য উত্তর রাজ্যের একটি খ্রিষ্টান কৃষক সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর ডয়েচে ভ্যালির।

স্থানীয় সময় রোববার রাত ১২ টার পর বাসসা এলাকার জিকে এবং কিমাকপা গ্রামে ওই হামলা চালানো হয়। চলতি মাসে ওই একই রাজ্যের বোক্কোস এলাকার গ্রামে এর আগেও সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে ৫২ জনকে হত্যা করে।

মালভূমি রাজ্যের রাজধানী জোস থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ওই হামলা চালানো হয়। মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই রাজ্যে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু এই সঙ্কট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সেখানে হামলার ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত এবং আরও ৩০টি বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে এবং এক বাসিন্দা জানায়, প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র লোক পুরো গ্রামে হামলা চালিয়েছে।

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলছে, ‘বন্দুকধারীরা গ্রামগুলোও ধ্বংস করেছে এবং বাড়িঘর লুট করেছে, তাদের পথের সবকিছু ধ্বংস করেছে। যখন নিহতদের গণ দাফনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, তখন ঝোপের মধ্যে আরও মৃতদেহ আবিষ্কৃত হচ্ছে।’ 

অধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি এতো মৃত্যুর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর ত্রুটিকে দায়ী করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ