ককশিট দিয়ে পুনরায় বানানো হচ্ছে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি
Published: 13th, April 2025 GMT
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ‘ফ্যাসিবাদীদের মুখাকৃতি’ পুনরায় বানানো হচ্ছে। সময় কম থাকায় ককশিট দিয়ে মোটিফটি তৈরির কাজ করছেন শিল্পীরা। এ ছাড়া আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রক্টরিয়াল টিমের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়।
রোববার সন্ধ্যায় চারুকলার গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীরা দ্রুত হাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অবয়ব ফুটে উঠেছে। পুড়ে যাওয়া মোটিফের আকৃতি হুবহু রাখার চেষ্টা হচ্ছে। অন্যান্য মোটিফগুলো তৈরি করে গাড়িতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ককশিট দিয়ে ফ্যাসিবাদীদের মুখাকৃতি তৈরির কাজ করছিলেন চারুকলার ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, শোভাযাত্রা শুরুর আগ পর্যন্ত কাজ হবে। অর্থাৎ সারারাত ধরে কাজ চলবে।
শিল্পী আনোয়ার আরও বলেন, যত কাজ হবে ততই এটি সুচারু হয়ে উঠবে। তবে আগের মতো হবে না, যতটুকু ফুটিয়ে তোলা যায়।
এদিকে মোটিফের চতুর্পাশে প্রক্টরিয়াল টিমের ৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
টিমের সদস্য রাজু চৌহান বলেন, আমরা বিকেল থেকে এখানে রয়েছি। আমরা রাত দশটা পর্যন্ত থাকব। এরপর অন্য টিম আসবে। সার্বক্ষণিক এখানে প্রক্টরিয়াল টিম থাকবে।
অন্যদিকে পুরো চারুকলা জুড়ে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এবার শোভাযাত্রায় সাতটি বড় মোটিফ থাকবে। এ ছাড়া কয়েকটি পটচিত্র থাকবে।
শনিবার ভোরে চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে মাস্ক পরা এক যুবককে আগুন দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ র কল
এছাড়াও পড়ুন:
তাপপ্রবাহের মধ্যেই কিছু স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল সোমবার বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। দেশের কিছু স্থানে কয়েক দিন থেকেই তাপপ্রবাহ চলছে। তবে এরই মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে নানা স্থানে। বৃষ্টির পরও কিন্তু গরম তেমন কমছে না। আজ মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আবার দুই বিভাগের কয়েক স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বাকি বিভাগে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। তাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, আবহাওয়াবিদেরা এমনটাই বলছেন।
গতকাল দেশের ১৪টি স্থানে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আছে ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী জেলা এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ড অঞ্চল।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সীতাকুণ্ডে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই তুলনায় গতকাল তাপমাত্রা সামান্য কমেছিল। কিন্তু তাপপ্রবাহের এলাকা খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজ প্রথম আলোকে বলেন, আজ তাপমাত্রা গতকালের মতোই থাকতে পারে। সামান্য একটু কমতে পারে। তবে এটা নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপর। আসলে বৃষ্টি হলেই এ সময়ে তাপমাত্রা কমে আসে।
কয়েক দিন ধরে এই তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। তাতে অবশ্য গরম তেমন কমেনি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, খুলনার মোংলা, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। এভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পরও তাপমাত্রা কমছে না কেন?
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা বেশি থাকে দিনের বেলায়। এটি প্রশমিত হতে গেলে বৃষ্টি হতে হবে দিনে। কিন্তু এখন যেসব বৃষ্টি হচ্ছে, তা বেশির ভাগই সন্ধ্যা বা রাতে। তাতে প্রশান্তি মেলে। কিন্তু পরে দিনের তাপ আবারও বাড়ে। অবশ্য এ সময়ের বৃষ্টির প্রবণতাই এমন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এ সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।
রাজধানীতে এ সময় বৃষ্টি হতে পারে কি না, এ প্রশ্নে শাহীনুল ইসলাম বলেন, আজ মাদারীপুর অঞ্চলে মেঘ আছে। সেটি রাজধানী পর্যন্ত আসবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। আসার সম্ভাবনা কিছুটা কম।