নলকূপের পানি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
Published: 13th, April 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় গভীর নলকূপ থেকে পানি নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মীরহাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আজমীরিগঞ্জ থানার ওসি এবিএম মাঈদুল হাছান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়- উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের কিছু এলাকায় কয়েকদিন থেকে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মীরহাটি গ্রামের অলি মিয়ার ২০ বছর বয়সী মেয়ে মধ্যপাড়া গ্রামের মাদরাসার পেছনে ওয়াহিদ মিয়ার বাড়ির সামনের সরকারি গভীর নলকূপ থেকে পানি আনতে যান। এ সময় ওই গ্রামের আজমান মিয়ার ছেলে ওয়াসিম মিয়া পানি নিতে বাধা দেন। মেয়েটি প্রতিবাদ জানালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
আরো পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, বিএনপির ২ নেতার পদ স্থগিত
ঝিনাইদহে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
এ ঘটনার জেরে আজ রবিবার সকালে জলসুখা বাজারে আজমান মিয়া ও অলি মিয়ার স্বজনদের মধ্য হাতাহাতি হয়। পরে আজমান মিয়ার পক্ষ নিয়ে একদল লোক অলি মিয়ার স্বজনদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।
আজমীরিগঞ্জ থানার ওসি এবিএম মাঈদুল হাছান বলেন, “সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ তিন রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় আন্তঃসাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বে প্রাণ হারিয়েছে ৫৪ জন
নাইজেরিয়ায় আন্তঃসাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব এবং ভূমি বিরোধের জন্য পরিচিত একটি অঞ্চলে সহিংসতায় ঘটনায় ৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সোমবার মানবাধিকার সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে বলেছে, মুসলিম বন্দুকধারীরা মধ্য উত্তর রাজ্যের একটি খ্রিষ্টান কৃষক সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর ডয়েচে ভ্যালির।
স্থানীয় সময় রোববার রাত ১২ টার পর বাসসা এলাকার জিকে এবং কিমাকপা গ্রামে ওই হামলা চালানো হয়। চলতি মাসে ওই একই রাজ্যের বোক্কোস এলাকার গ্রামে এর আগেও সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে ৫২ জনকে হত্যা করে।
মালভূমি রাজ্যের রাজধানী জোস থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ওই হামলা চালানো হয়। মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই রাজ্যে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু এই সঙ্কট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সেখানে হামলার ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত এবং আরও ৩০টি বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে এবং এক বাসিন্দা জানায়, প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র লোক পুরো গ্রামে হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলছে, ‘বন্দুকধারীরা গ্রামগুলোও ধ্বংস করেছে এবং বাড়িঘর লুট করেছে, তাদের পথের সবকিছু ধ্বংস করেছে। যখন নিহতদের গণ দাফনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, তখন ঝোপের মধ্যে আরও মৃতদেহ আবিষ্কৃত হচ্ছে।’
অধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি এতো মৃত্যুর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর ত্রুটিকে দায়ী করেছে।