টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বাধা, সংঘর্ষে আহত ৫০
Published: 13th, April 2025 GMT
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সরকারি টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বাধা দেওয়ার জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। রোববার জলসুখা ইউনিয়নের মধ্যপাড়ায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আব্দুর রহমান ওরফে বক্কা মেম্বার এবং আলাউদ্দিন মেম্বারের লোকজনের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্যও। এ সময় পুলিশ সংঘর্ষে জড়িতদের ছত্রভঙ্গ করতে তিন রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংঘর্ষে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে এনামুল, বাহার, মেহেদী, কাওসার, ফয়সাল, জাহিদুল, ভুট্টু মিয়া, আফদাল, তকদির, জিয়াউর, রাতুল, শামিম, জফর উদ্দিন, শাওন ও শামীমের পরিচয় জানা গেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এনামুল, কাউছার ও শামীম মিয়াকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকালে বক্কা মেম্বারের পক্ষের অলি মিয়ার মেয়ে ফারজানা বেগম বাড়ির পাশের আলাউদ্দিন মেম্বারের মেয়ের জামাতা ওয়াহিদ মিয়ার বাড়ির সামনে স্থাপিত সরকারি নলকূপ থেকে খাবার পানি আনতে যায়। এ সময় আলাউদ্দিন মেম্বারের অনুসারী আজমান মিয়ার ছেলে ওয়াসিম মিয়া তাঁকে পানি নিতে বারণ করেন। এতে দু’জনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে রোববার জলসুখা বাজারে অলি মিয়া ও আজমান মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে বক্কা মেম্বার ও আলাউদ্দিন মেম্বারের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান এবং আরও এক পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ তিন রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশকে সহায়তা দেয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এ বি এম মাঈদুল হাছান বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ আহত পর স থ ত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বাধা, সংঘর্ষে আহত ৫০
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সরকারি টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বাধা দেওয়ার জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। রোববার জলসুখা ইউনিয়নের মধ্যপাড়ায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আব্দুর রহমান ওরফে বক্কা মেম্বার এবং আলাউদ্দিন মেম্বারের লোকজনের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্যও। এ সময় পুলিশ সংঘর্ষে জড়িতদের ছত্রভঙ্গ করতে তিন রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংঘর্ষে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে এনামুল, বাহার, মেহেদী, কাওসার, ফয়সাল, জাহিদুল, ভুট্টু মিয়া, আফদাল, তকদির, জিয়াউর, রাতুল, শামিম, জফর উদ্দিন, শাওন ও শামীমের পরিচয় জানা গেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এনামুল, কাউছার ও শামীম মিয়াকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকালে বক্কা মেম্বারের পক্ষের অলি মিয়ার মেয়ে ফারজানা বেগম বাড়ির পাশের আলাউদ্দিন মেম্বারের মেয়ের জামাতা ওয়াহিদ মিয়ার বাড়ির সামনে স্থাপিত সরকারি নলকূপ থেকে খাবার পানি আনতে যায়। এ সময় আলাউদ্দিন মেম্বারের অনুসারী আজমান মিয়ার ছেলে ওয়াসিম মিয়া তাঁকে পানি নিতে বারণ করেন। এতে দু’জনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে রোববার জলসুখা বাজারে অলি মিয়া ও আজমান মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে বক্কা মেম্বার ও আলাউদ্দিন মেম্বারের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান এবং আরও এক পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ তিন রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশকে সহায়তা দেয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এ বি এম মাঈদুল হাছান বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।