বাংলাদেশে তিনটি বড় হাসপাতাল করতে চায় চীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
Published: 13th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হাসপাতাল করবে চীন। নীলফামারীতে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি করা হবে। হাসপাতাল করার জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এসব তথ্য জানান।
একই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ওষুধ ‘চুরি’, আটক ২
লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল নবজাতক, হাসপাতালে ভর্তি
তিনি বলেন, “নীলফামারীতে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল করবে চীন। প্রাথমিকভাবে ১৬ একরের মতো একটি জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। এটার দেখভাল করছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। আর একটি হাসপাতাল তৈরি করা হবে সাভার ধামরাইয়ে। এটি হবে পুর্নবাসন প্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় আহতদের সেবা দেওয়া হবে। এছাড়া চট্টগ্রামে ৫০০ থেকে ৭০০ শয্যার আরো একটি হাসপাতাল তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। এর বাইরে চীনের অর্থায়নে চট্টগ্রামে বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিট পরিচালিত হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “চীনের রাষ্ট্রদূতকে আমরা বলেছিলাম, রবোটিক ফিজিওথেরাপির সেট একটি আমাদের উপহার হিসেবে দিতে। আমাদের শুধু আন্দোলনে আহতদের জন্য না, ভবিষ্যতেও দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য লাগবে। চীন আমাদের কথা রেখেছ, একটি সেট আমাদের উপহার হিসেবে দিয়েছে। এটা বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে আছে। এটা স্থাপন করতে আমাদের ৬ হাজার স্কয়ার ফুটের মতো জায়গা লাগবে। আমরা সেই জায়গা ঠিক করেছি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক বিএসএমএমইউ)। সেখানে এটা ডেডিকেটেড করা থাকবে। আমাদের আহতরা সেখানে ফিজিওথেরাপি নিতে পারবে। তার জন্য আমরা একটি দলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দিব। ব্যাংকক থেকে আমরা বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসব, তারা এখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে গেলে ভবিষ্যতে সবাই এখান থেকে সহায়তা পাবেন। আমাদের এখানে একটা রবোটিক ফিজিওথেরাপি বসালে হবে না, আমরা উত্তরবঙ্গে এবং চট্টগ্রামে দেওয়ার চেষ্টা করবো। যাতে ওখানকার রোগীদের এখানে ফিজিওথেরাপি দিতে আনতে না হয়।”
এ সময় উপদেষ্টা জানান, অভ্যুত্থানে ১ চোখ হারিয়েছে ৪৫০ জন, দুই চোখ হারিয়েছে ২১ জন।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত বাসেত খান মুসার চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। অভ্যুত্থানে আহতরা আজীবন ফ্রি চিকিৎসাসহ স্বাস্থ্য কার্ড পাবেন বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ৪০ জনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। দেশে আহতদের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে ২৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল খায়ের, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক ডা. মো.আবুল কেনান, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট আহতদ র র জন য পর চ ল আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৭, আহত ২৯
ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের ওপর বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ রবিবার (১৩) রাতের হামলায় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২৯ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সানার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, রবিবার রাতে রাজধানীর কাছে একটি সিরামিক কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এতে ৭ জন নিহত এবং আরো অন্তত ২৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশু এবং একজন নারী রয়েছেন। নিহতরা কারখানার শ্রমিক এবং এর পাশের বাড়ির বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
ইউক্রেনে সুমি শহরে রাশিয়ার হামলায় নিহত ৩৪, ‘ভয়াবহ ঘটনা’ বললেন ট্রাম্প
মার্কিন দূতাবাসের কড়া বার্তা
যে কারণে কখনো যুক্তরাষ্ট্র যেতে পারবেন না
এদিকে হুতিদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, হাজ্জাহ গভর্নরেটের আকাশসীমায় একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
হুতিদের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, হাজ্জাহ গভর্নরেটের আকাশসীমায় এমকিউ-৯ মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী গত ১৫ মার্চ থেকে হুতিদের ওপর বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করার লক্ষ্যে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে এই অভিযান বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে হুতি গোষ্ঠী বলেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে এবং তাদের বাহিনী হামলার জবাব দেবে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে ইরান সমর্থিত হুতিরা। ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলই এখন তাদের দখলে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে এর প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে তারা ১০০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে।
এরপর হুতিদের থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে হামলা শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। তাই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে আবারো হুতিদের ওপর হামলা জোরদার করার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ফিরোজ