সালাহর রেকর্ডে শিরোপা থেকে ৬ পয়েন্ট দূরে লিভারপুল
Published: 13th, April 2025 GMT
শনিবার রাতে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে আর্সেনাল ড্র করার পর শিরোপা জিততে লিভারপুলের প্রয়োজন ছিল ৭ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট। আজ রোববার ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে লিভারপুলের ২-১ গোলের জয়ে ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্টের।
এখন নিজেদের পরের দুই ম্যাচে জিতলেই শিরোপা উদ্যাপন করবে লিভারপুল। অর্থাৎ লেস্টার সিটি এবং টটেনহামকে হারালেই ৪ ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা উদ্যাপনে মাততে পারবে অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি। তবে আর্সেনাল পরের ম্যাচে ইপসউইচের কাছে হেরে গেলে, লিভারপুল আর একটি ম্যাচ জিতে আগামী রোববারই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারে।
আজকের জয়ের পর লিভারপুলের পয়েন্ট এখন ৩২ ম্যাচে ৭৬। সমান ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৩। অন্য দিকে লিভারপুলের বিপক্ষে হারের পর ৩২ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট ১৭ নম্বর অবস্থানে থাকল ওয়েস্ট হাম।
আরও পড়ুনলিভারপুলের হাতে ট্রফি তুলে দিচ্ছে আর্সেনাল২০ ঘণ্টা আগেলিভারপুলের জয়ের রাতে লুইস দিয়াজের প্রথম গোলে সহায়তা করে নতুন একটি রেকর্ড গড়েছেন মোহাম্মদ সালাহ। ৩৮ ম্যাচের প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান এখন সালাহর।
এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩২ ম্যাচে সালাহ অবদান রেখেছেন ৪৫ গোলে (২৭ গোল ও ১৮ সহায়তা)। এর আগে ৪৪ গোলে অবদান রেখে সবার ওপরে ছিলেন থিয়েরি অঁরি ও আর্লিং হলান্ড।
লিভারপুলের গোল উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর স ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলা একাডেমিতে চলছে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে বাংলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২’।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।
বৈশাখী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “পাহাড় থেকে সমতল, সারা দেশে আজ নববর্ষের আমেজ। বাংলাদেশের মানুষ আজ এক হয়ে পালন করছে নববর্ষ। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা চলছে সারা দেশে। আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে ফ্যাসিবাদোত্তর বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছি। আমরা এই উৎসব ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।”
উপদেষ্টা আরো বলেন, “বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, খাদ্যজাত পণ্যের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উদ্যোক্তারা এই মেলার মাধ্যমে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানিযোগ্য করে তুলবে। উদ্যোক্তারা যেভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে আরেকটি শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।”
বাংলা একাডেমি আয়োজিত এই মেলা উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আমরা ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। আজকের র্যালিতে সব জাতিগোষ্ঠী একসাথে অংশগ্রহণ করেছে এবং একসাথে আনন্দ করছে। এটা একটা অন্তর্ভূক্তিমূলক ও রঙিন উৎসব। মেলা এমন একটা জায়গা যেখানে দুইপক্ষ খুশি থাকে। একজন ক্রয় করে এবং অন্যজন বিক্রি করে। মেলার সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে।”
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “বৈশাখী মেলার আয়োজন আমাদের জন্য একটা ভালো উদ্যোগ। বাংলা নববর্ষ আমরা উদ্যাপন করবো জাতীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে। আমাদের উজ্জ্বল অতীত ছিল, সমৃদ্ধ আগামী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করতে হবে।”
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
ঢাকা/এএএম/টিপু