সোনারগাঁয়ে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বৈশাখের ছুটির দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছে চৈত্রি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। 

স্থানীয়রা জানায়, রবিবার (১৩ এপ্রিল) ওই এলাকার চৈতি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক (চৈতি গ্রুপ) নামক একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বৈশাখের ছুটি না দেওয়া ও বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের বিক্ষোভ করেন। এতে যানজটের আটক ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী এবং চালকরা।

আকলিমা নামের এক শ্রমিক জানান, প্রতিমাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা কোনো মাসেই দেওয়া হয়না। এবং আগামীকালের বৈশাখের ছুটিও দেয়নি এজন্যই আমরা বিক্ষোভে নেমেছি।

আশরাফুল আলম নামের আরেকজন বলে, আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। 
এ বিষয়ে চৈতি কারখানার এডমিন (জিএম) মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকদের দাবি বলতে আমরা পূর্বের সব বেতন দিয়ে দিয়েছি।

আমরা তাদের বলেছিলাম এ মাসের বেতনটা ১৫ তারিখ দিবো, কিন্তু তারা না মেনে নেমেছিল। এবং দাবি মেনে নেওয়ার হয়েছে। 

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা নেমেছিল এখন সমাধান হয়েছে। 

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ জানান, চৈতি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিক্ষোভ নামায় এই যানজট লেগেছিল।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলা একাডেমিতে চলছে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে বাংলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২’।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।

বৈশাখী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “পাহাড় থেকে সমতল, সারা দেশে আজ নববর্ষের আমেজ। বাংলাদেশের মানুষ আজ এক হয়ে পালন করছে নববর্ষ। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা চলছে সারা দেশে। আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে ফ্যাসিবাদোত্তর বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছি। আমরা এই উৎসব ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।”

উপদেষ্টা আরো বলেন, “বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, খাদ্যজাত পণ্যের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উদ্যোক্তারা এই মেলার মাধ্যমে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানিযোগ্য করে তুলবে। উদ্যোক্তারা যেভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে আরেকটি শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।” 

বাংলা একাডেমি আয়োজিত এই মেলা উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আমরা ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। আজকের র‌্যালিতে সব জাতিগোষ্ঠী একসাথে অংশগ্রহণ করেছে এবং একসাথে আনন্দ করছে। এটা একটা অন্তর্ভূক্তিমূলক ও রঙিন উৎসব। মেলা এমন একটা জায়গা যেখানে দুইপক্ষ খুশি থাকে। একজন ক্রয় করে এবং অন্যজন বিক্রি করে। মেলার সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে।”

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “বৈশাখী মেলার আয়োজন আমাদের জন্য একটা ভালো উদ্যোগ। বাংলা নববর্ষ আমরা উদ্‌যাপন করবো জাতীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে। আমাদের উজ্জ্বল অতীত ছিল, সমৃদ্ধ আগামী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করতে হবে।”

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।

ঢাকা/এএএম/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ