বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ২য় গেইটে টিকেট বুথ উদ্বোধন
Published: 13th, April 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ২য় গেইটে টিকেট বুথ উদ্ধোধন করা হয়ছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে সহজের কারিগরী সহযোগিতা ও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ব্যবস্থাপনায় টিকেট বুথ উদ্ধোধ করেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম।
এ সময় কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, লোক ও কারুশিল্পদের সার্বিক উন্নয়নে আমাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, ২নং গেইটের কাছে যেহেতু কারুপল্লী দর্শানাথীরা সহজে এই গেইট টি উদ্ধোধন ফলে সহজে ঘুরতে পারবে। সবচেয়ে বেশী উপকিত হবে লোক কারুশিল্পীরা।
আশা করি বিলুপ্ত হাত থেকে এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কারুশিল্প রক্ষা পাবে। কারুশিল্পীরা যে সঠিক মূল্য কারুপন্য বিক্রি করে বলেন। কারুশিল্পীরা প্লাস্টিকের পণ্য ও পলিথিন বর্জন করার আহবান জানায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লোক ও কারুশিল্প রেজিষ্টার অফিসার এ কে এম মুজাম্মেল হক, নিরাপত্তা কর্মী সাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন, সহজ লিমিটেড এর পরিচালক শাকিল জওয়াত রহিম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সুমা আক্তার তুহিন, টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার সাদিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম রিমু, কারুপল্লী দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সহসভাপতি এম এ বাছেদ, যুগ্ম সম্পাদক তাইজ উদ্দীন, কোষাধক্ষ্য অমল চন্দ্র দত্ত প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে, নারীকে শিকল দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন
বরগুনার আমতলীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে যাওয়ায় এক নারীকে (৩২) মারধর করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, ওই বাড়ির লোকজন তাঁকে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। আহত ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে ওই নারীর সঙ্গে খালাতো দেবর আবুল কালাম মীরের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ ঘটনার জেরে গত মার্চ মাসে স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ওই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। ওই তিন সন্তান তাদের দাদির কাছে থাকে। বিবাহবিচ্ছেদের পর ওই নারী আবুল কালাম মীরকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। তবে আবুল কালাম মীর রাজি হচ্ছিলেন না। গত রোববার সন্ধ্যায় ওই নারী কালামের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন। ওই সময় কালাম বাড়িতে ছিল না। রাতে কালামের মা-ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা ওই নারীকে লোহার শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। তাঁর দুই হাত, দুই পা, বাহু, কোমরসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাম সিকদার ও হাসনেহেনা বেগম তাঁকে উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে গতকাল সোমবার তাঁকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী বলেন, ‘বিয়ের দাবিতে আবুল কালাম মীরের বাড়িতে অনশনে বসেছিলাম। তাঁর পরিবারের সদস্যরা আমাকে লোহার শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন। আমাকে তিন ঘণ্টা নির্যাতন করেছেন। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে আবুল কালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তাঁর বড় ভাই আবুল হোসেন মীর বলেন, ‘যে নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, তিনি ও তাঁর স্বামী কালামের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছেন। ওই টাকা যাতে শোধ করতে না হয়, সে জন্য তাঁরা প্রেমের সম্পর্কের নাটক সাজিয়েছেন। আমার ভাইয়ের সঙ্গে কারও কোনো সম্পর্ক ছিল না।’
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ওই নারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাকা নেওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁরা একটি নাটক সাজিয়েছেন। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করব।’
আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’